Friday, September 15, 2023

Barasat Medical College: ক্যানসার বিশেষজ্ঞ থেকে অর্থোপেডিক, যোগ আরও ৫০ চিকিৎসকের! ২৬টি বিভাগ চালু বারাসত মেডিক্যালে

 জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে বারাসত হাসপাতাল। যার ফলে ব্যাপক স্বস্তিতে দত্তপুকুর, অশোকনগর বনগাঁর প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা। আগে গুরুতর কিছু হলেই গাঁটের কড়ি খরচা সঙ্গী অজস্র হয়রানি। হয় বেসরকারি হাসপাতাল নইলে পরিষেবা পেতে হলে শহরতলি থেকে এতদিন ছুটে আসতে হত কলকাতার আর জি কর, নীলরতন সরকার অথবা পিজি-তে।


কী পরিবর্তন?

কয়েক বছরে আমূল পরিবর্তন। আগে হাসপাতালে ঢুকলেই নাকে কাপড় দিতে হত দুর্গন্ধে। আজ সেখানে ঝাঁ চকচকে গগন চুম্বী নতুন বিল্ডিংয়ে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা। জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হওয়ার পর উত্তর ২৪ পরগনার মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ। ফলে বেড়েছে রোগীর চাপ, দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আসছেন চিকিৎসা পরিষেবা নিতে। শুধু এই জেলাই নয় অন্যান্য জেলার রোগীরাও চিকিৎসার সুবিধা নিতে আসছে। হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডলের দাবি, ধীরে ধীরে কলকাতার হাসপাতালের সঙ্গে টেক্কা দিতে তৈরি বারাসত হাসপাতাল।



বারাসত হাসপাতালে মিলবে কোন কোন পরিষেবা?

মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হওয়ার পর আরও উন্নত হয়েছে বারাসত হাসপাতালের পরিষেবা। সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, আর পাঁচটা বিখ্যাত মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে এই হাসপাতালের পরিষেবায় কোনও পার্থক্য নেই। কয়েকটি সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত বিভাগের সুবিধা রয়েছে এই হাসপাতালে। প্রতিদিনই চলে আউটডোর। সপ্তাহে ৬ দিন আউটডোরে মেলে সমস্ত ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা। ২৪X৭ খোলা এমারজেন্সি । শনি রবিবারেও সপ্তাহের বাকি দিনের মতোই উপস্থিত থাকেন চিকিৎসকেরা বলে দাবি হাসপাতাল সুপারের।


এই হাসপাতালে রয়েছে মেডিসিন বিভাগের অন্তর্গত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, রেসপিরেটরি, এন্ড্রোকনোলজি, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, অ্যাজমা ও চেস্ট স্পেশালিস্ট, থাইরয়েড, হরমোন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ, লিভার বিশেষজ্ঞ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।


এছাড়া অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সার্জারি বিভাগের মধ্যে রয়েছে জেনারেল সার্জারি বিশেষজ্ঞ, হাড় জোড়া ও বাত ব্যথা বিশেষজ্ঞ, নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ, নিউরো সার্জেন ও যৌনাঙ্গ বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, বার্ণ।


এছাড়া এই হাসপাতালে রয়েছেন প্রথম সারির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। মনোরোগের চিকিৎসার জন্যেও রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আছে মুখ ও দন্ত বিভাগ, রেডিওলজিস্ট, রিউমাটোলজিস্ট ও হেমাটোলজিস্ট বা রক্ত রোগ বিভাগ ইত্যাদি। HIV রোগীদের জন্য ART সেন্টার, হোমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া বিভাগও রয়েছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে।



নতুন কী-

বর্তমানে এই হাসপাতালে বেড়েছে বেডের সংখ্যাও। বর্তমানে ৬০০ বেড,যা আগামীতে আরও বাড়তে চলেছে। মেডিকেল কলেজের নতুন বিল্ডিং গুলিতেও বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়েছে, আগামী দিনেও আরও অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে এই বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেই বলে মত হাসপাতাল সুপারের। শুধু তাই নয় করোনাকালীন পরিস্থিতিতে যেভাবে হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে তারপর পরবর্তীতে নানা ছোটখাটো সমস্যার কথা মাথায় রেখেই তা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। পর্যাপ্ত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টা মানুষের পরিষেবা দিতে ব্যস্ত।


ইতিমধ্যেই ভেন্টিলেশনের বিশেষ সুবিধার জন্য নানা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে। হাসপাতাল চত্বরেই বসানো হয়েছে অক্সিজেনের প্ল্যান্ট আর তার মাধ্যমেই সারা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগীদের বেডে বেডে পৌঁছে যাচ্ছে অক্সিজেন। ফলে অক্সিজেনের ঘাটতির কোনও সম্ভাবনাই নেই বলেও জানানো হয় হাসপাতালের তরফ থেকে। রোগী চাপ সামাল দেওয়ার জন্য নতুন করে ৫২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বারাসত মেডিক্যাল কলেজে যোগ দিয়েছেন।


হাসপাতাল সুপার বলেন, একসময় একটু সিরিয়াস রোগী এলেই তাকে দ্রুত স্থানান্তরিত করে দেওয়া হত কলকাতায়। আজ রেফারের হার প্রায় শূন্য। যারা নিজেরা অন্যত্র তাদের রোগীকে নিয়ে যেতে চায় তাদেরকে বাদ দিলে বারাসত হাসপাতাল এখন আর কোন রোগীকে রেফার করে না।

জেলায় ভয় ধরিয়েছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাই ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথেষ্টই প্রস্তুত রয়েছে বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রক্ত পরীক্ষা থেকে শুরু করে যাবতীয় চিকিৎসাই মিলছে এই হাসপাতালে।


বিশেষ পরিষেবা

চিকিৎসা পরিষেবা সহ রোগীদের সুবিধার দিকটি মাথায় রেখে একদিকে যেমন মিউজিক থেরাপি ও টিভি স্ক্রিনেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে । সন্তান জন্মের পর সদ্য মায়েদের অবসাদের প্রবণতা কাটাতে ও সদ্যজাতকে ভালো করে যত্ন করার বিভিন্ন টিপস দেওয়া হয়। কেবিনে স্ক্রিনে চলে এমনই শিক্ষামূলক ও মন ভালো করা ভিডিয়ো। দীর্ঘ সময়ে আউটডোরে এসে রোগীর বা রোগীর আত্মীয়দের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও একঘেয়েমি না আসে।


ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালে বেশ কিছু বিরল চিকিৎসা নজির তৈরি হয়েছে বলেও জানান বিশিষ্ট এই চিকিৎসক। হাসপাতালে পরিষেবা ভালো হওয়ার কারণে শুধু উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নয় পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও মানুষজন এখন এই বারাসত জেলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা পরিষেবা নিতে। আরও বেশ কিছু চিন্তা-ভাবনা পরিকল্পনা রয়েছে যা আগামী দিনে খুব দ্রুত বাস্তবায়ন ঘটবে বলেও আশাবাদী হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সুপার সুব্রত মণ্ডল।


Source: Ei Samay

Wednesday, May 24, 2023

বারাসত রুটে মেট্রোর কাজে বড় সাফল্য

 নোয়াপাড়া-বারাসত ভায়া বিমানবন্দর রুটে মাইকেলনগরে মেট্রোর টানেলের আগে বসল বিশেষ দেওয়াল। ব্যস্ততম জাতীয় সড়কের গাড়ির চাপ সামলে এটা করা সম্ভব হল অবশেষে। 



নোয়াপাড়া-বারাসত ভায়া বিমানবন্দর রুটে মাইকেলনগরে মেট্রোর কাজের বিরাট অগ্রগতি। ২৪.৮ মিটার ডায়াফ্রাম দেওয়ালে খাঁচা আটকানো সম্ভব হল। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯ মে থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। জাতীয় সড়ক ১২তে বাঁকরা এলাকায় অবশেষে সেই খাঁচা বসানো সম্ভব হয়েছে। এটি ২৬.১২৫ মিটার লম্বা ও ৫ মিটার চওড়া। অত্যন্ত ব্যস্ততম রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় এটা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।


মেট্রোর তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশক মিত্র জানিয়েছেন,  জাতীয় সড়কের ব্যস্ততম মাইকেলনগর স্টেশনে ঢোকার মুখে তিনটি ডায়াফ্রাম ওয়াল স্থাপন করাটা চ্য়ালেঞ্জিং ছিল। সুপরিকল্পনা ও নানা মেশিনারির মাধ্যমে এটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

বিমানবন্দর স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে এই রুট। সহায়তা করার জন্য সকলকে ধন্য়বাদ জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে শহরের একাধিক মেট্রো প্রকল্প একেবারে পুরোদমে চলছে। 



মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি নিয়মিত কাজের উপর নজর রাখছেন। তিনি নিজেও বিভিন্ন সাইটে গিয়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে দেখে আসছেন। তবে এবার ভায়া বিমানবন্দর -বারাসাত রুটে বড় কাজ হয়ে গেল। একটা বড় চ্য়ালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে উতরে গেল কর্তৃপক্ষ।  কলকাতা মেট্রো। 


Friday, May 19, 2023

অ্যাস্ট্রোটার্ফের বদলে প্রাকৃতিক ঘাস লাগানোর সিদ্ধান্ত বারাসত স্টেডিয়ামে

 আগামী মরশুম থেকেই বারাসত স্টেডিয়ামে বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। তার জন‌্য মাঠে লাগানো কৃত্রিম ঘাস তুলে ফেলে প্রাকৃতিক ঘাস লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।


বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে কৃত্রিম ঘাস বা অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসিয়েছিল আইএফএ (IFA)। তারপর এই বারাসত স্টেডিয়ামে আই লিগ (I League) বা কলকাতা লিগের মতো বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হত। পরে কৃত্রিম ঘাসে খেলোয়াড়রা খেলার অনিচ্ছা প্রকাশ করায় এই মাঠে টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। জেলার বিগত প্রশাসনিক বৈঠকে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী স্টেডিয়ামের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেন।



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) স্টেডিয়ামের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই টাকায় গ্যালারি, প্রেস বক্স এবং রং করা হয়। কিন্তু, প্রায় চার বছর ধরে কোনও বড় টুর্নামেন্ট স্টেডিয়ামে হয়নি। এতদিন অবহেলাতেই পড়ে ছিল স্টেডিয়ামটি। অবশেষে মাঠটিকে খেলার উপযোগী করতে বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে আসেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাকৃতিক ঘাসের হাত ধরে আবারও এই মাঠে বড় টুর্নামেন্ট ফিরবে বলেই আশা স্থানীয় ফুটবল সমর্থকদের।

Source: Sangbad Pratidin

Thursday, May 18, 2023

বারাসত স্টেডিয়ামের মর্যাদা ফেরাতে সদলবলে ক্রীড়ামন্ত্রী

 একসময় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) ফুল ছড়াত ওই মাঠে। একসময় গোয়া-মুম্বই সফরে এসে পা রাখত ওই স্টেডিয়ামে। একসময় আই লিগ থেকে আইএফএ শিল্ড সব বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হত সবুজে ঘেরা ওই মাঠে। আজ সেই মাঠই কার্যত খোয়াড় হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৫ বছর হল প্রথম সারির কোনও ফুটবল টুর্নমেন্ট আর হয়নি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আইএসএলে ঢোকার আগেই ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে বারাসত স্টেডিয়াম। একসময় যে স্টেডিয়ামে রাতের ম্যাচে উজ্জ্বল হত বারাসত, সেই স্টেডিয়ামই কার্যত অন্ধকারে ডুবেছে। সরকারি গাফিলতি নাকি পরিচালন সমস্যা? আইলিগের সঙ্কোচন নাকি আইএসএলের বাড়বাড়ন্ত? কারণ যাই হোক না কেন, ভারতের ফুটবল মানচিত্রে বারাসত স্টেডিয়ামের গুরুত্ব আর নেই। দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। বারাসত স্টেডিয়ামকে (Barasat Vidyasagar Stadium) এ বার মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।


বারাসত বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রীড়া দপ্তর। আজ, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বারাসত ক্রীড়াঙ্গনে কোনও ফুটবল খেলা হয় না। স্টেডিয়ামের সমস্যা কী, তা খতিয়ে দেখতেই ক্রীড়ামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রশাসনের পুরো টিম হাজির স্টেডিয়ামে।


২০০৭ সালে ন্যাচারাল টার্ফের বদলে অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসেছিল বারাসতে। ওই সময়ই যুবভারতীতেও বসানো হয় কৃত্রিম ঘাস। আইলিগ সহ অন্যান্য টিমগুলো বারাসত, যুবভারতীর অ্যাস্ট্রোটার্ফের মান নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছিল। চোটের পরিমাণ বেড়েও গিয়েছিল ফুটবলারদের। যে কারণে কয়েক বছর পর যুবভারতী আবার ফেরে ন্যাচারাল ঘাসে। কিন্তু অজানা কারণে বারাসত সেই অ্যাস্ট্রোটার্ফই আঁকড়ে বসেছিল এতদিন।


এ দিন বারাসত স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের কৃত্রিম ঘাস বেশ কিছু জায়গায় কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। অ্যাস্ট্রোটার্ফের দশাও বেশ খারাপ। ঘরোয়া লিগের কিছু ম্যাচ অবশ্য হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। তারও সংখ্যা বেশ কম। ফলে এই স্টেডিয়াম এতদিন কার্যত পড়েই ছিল। ক্রীড়ামন্ত্রী স্টেডিয়ামের হাল দেখে হতাশ হয়েছেন। জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্টেডিয়ামের এই হাল কেন, খতিয়ে দেখতে অনতিবিলম্বে একটি কমিটি তৈরি করা হোক। ডোপিং টেস্ট রুম, মেডিকেল রুম, ড্রেসিং রুম, রেফারিদের রুম এবং অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।


রাজ্য সরকারের লক্ষ্য বারাসত স্টেডিয়ামকে আবার ‘বাঁচিয়ে তোলা’। একসময়ের সেই ঐতিহ্য, সেই মনোমুগ্ধকর নৈশালোক, সেই গমগমে গ্যালারি দ্রুত ফিরুক, সারা বারাসত যেমন চাইছে, রাজ্য সরকারও চাইছে।

Source: tv9bangla

Wednesday, May 3, 2023

ভুবন বাদ্যকর 'আইডল' ! গান করে চা বিক্রি বারাসতের যুবকের

 ফেমের ফাঁদে 'ভুবন পাতা'! কাঁচাবাদাম গান গেয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন বীরভূমের বাদাম বিক্রিতা ভুবন বাদ্যকর। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। হয়েছে ভুবনজোড়াা নাম।


তাঁকে কপালকে ‘ঈর্ষা’ করেছেন অনেকে। অনেকেই আবার ভুবনের মতো হতে চেয়েছেন। ভুবনের মতো ভাইরাল হওয়ার জন্য এবার চা বিক্রি করতে করতে গান গাইছেন বারাসত কাজিপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদা। জানান, তিনিও ভাইরাল হতে চান। আর সেই জন্যই ‘চা বিক্রি করতে করতে করতে ব়্যাপ করছেন তিনি। কোনও রাখঢাক না করেই এই যুবক স্পষ্ট জানালেন, ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল হওয়ার পরেই চা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। সঙ্গে গাইছেন গান। আশা, একদিন তো ভাইরাল হবেনই।


বারাসত আদালত চত্বরে চা বিক্রি করেন শাহজাদা। সঙ্গে সুর ধরেন "চা খাবে কি দাদা চা,খাবে কি আদা গোলমরিচ লবঙ্গ লিকার দিয়ে চা"। যদিও গান শুনিয়ে চা বিক্রি করলেও এখনও পর্যন্ত ভাইরাল হওয়ার 'সৌভাগ্য' তাঁর হয়নি।


নিজের লক্ষ্যের কথা নিয়ে চুপ চুপ রাখ ঢাক করেননি তিনি। শাহজাদা বলেন, “লকডাউনের সময় ভাইরাল হয়েছিলেন বাদাম কাকু। আমি তাঁকে দেখেই গান গেয়ে চা বিক্রি করা শুরু করেছিলাম। সকলেই চায় জনপ্রিয় হতে এবং সকলের মধ্যে পরিচিত হতে। আমিও ব্যতিক্রম নই। গান গেয়ে চা বিক্রি করি। এতেই অনেক মানুষ আসেন। তাঁরা চা পান করেন। ভালো লাগে। আর কী চাই!”


তাঁর কথায়, “এই গান আমি নিজে গেয়েছিলাম। ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশে তৈরি করেছিলাম।” যদিও এখনও পর্যন্ত নেটপাড়ার নজরে সেভাবে পড়েননি তিনি। স্রোতা যাঁরা তাঁর থেকে চা কিনছিলেন তাঁরাও আহামরি প্রশংসা করছেন না এই গানের। বারাসত কোর্ট চত্বরে তাঁর এক গ্রাহক বলেন, “চা অত্যন্ত ভালো। আদা দিয়ে ও চা করে। তবে আলাদা করে গানের বিষয়ে কিছু বলার নেই।”


গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় ভাইরাল হয়েছেন বহু ব্যক্তি। তালিকায় রয়েছেন ভুবন বাদ্যকর থেকে শুরু করে রাণু মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তাঁরা ক্ষণিকের জনপ্রিয়তা পেয়েও হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এখন দেখার শাহজাদা কি ভাইরাল হবেন?


অন্যদিকে, এই ‘ভাইরাল খিদে’ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে মনোবিদদের একাংশ। এক বিশিষ্ট মনোবিদের কথায়, “আগেও মানুষজনের লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার। কোনও ইচ্ছে কোনওদিন ভুল হতে পারে না। কিন্তু, তার জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন। হঠাৎ কে কবে এসে ভাইরাল করবে, সেই আশায় বসে থাকা একেবারে উচিত নয়।”


Source: Ei Samay 

Monday, February 20, 2023

নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো ট্রেনের ‘মিটিং পয়েন্ট’ হচ্ছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন

 নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্প (ভায়া বিমানবন্দর) তৈরি হচ্ছে। ওই মেট্রো লাইনের একাংশে চলতি বছরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরু করা হবে। তারইমধ্যে সামনে এল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের নয়া ছবি।


কলকাতা মেট্রো এবং লোকাল ট্রেনের ‘মিটিং পয়েন্ট’ দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন হতে চলেছে। কলকাতা মেট্রোর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নোয়াপাড়া-বারাসত (ভায়া বিমানবন্দর) মেট্রোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হতে চলেছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন। যে স্টেশন শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও বটে।


রবিবার মেট্রোর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের একেবারে কাছেই অবস্থিত দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন। তার ফলে বারাসত, বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ এবং বনগাঁর প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। হাওড়া, হুগলি এবং ব্যারাকপুরের মানুষও কম সময় যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। 


মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশা, ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন ৬৬,০০০ যাত্রী দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করবেন। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে যে মেট্রোর নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৭.০৪ কিমি অংশে প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হতে পারে।


কী কী থাকবে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে? রবিবার কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। যাতে যাত্রীরা সহজেই ওঠানামা করতে পারেন। ওই স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট কাউন্টার, বসার জায়গা, ফার্স্ট-এড রুম, শৌচাগার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। 


মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ছ'টি এসক্যালেটর, তিনটি লিফট, সাতটি সিঁড়ি, ১৬ টি অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) এবং আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে। সেই পরিকাঠামোর মাধ্যমে যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Source: Hindustan Times 

Friday, October 15, 2021

জার্মানির দুর্গাপুজোয় পুরোহিত বারাসতের যুবক

 বারাসতের এক বাড়িতে পুজো (Durga Puja 2021) করার সময় ফেসবুক লাইভ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। জার্মানিতে বসে সেই পুজোর লাইভ দেখেছিলেন প্রবাসী বাঙালিরা। সেই লাইভের জেরে এবার দুর্গাপুজোর জন্য জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুট থেকে ডাক পেলেন বারাসতের গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। ৯ অক্টোবর ফ্র্যাঙ্কফুটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বারাসত শালবাগান সংলগ্ন এলাকার ওই যুবক।


নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই দুর্গাপুজো করেন গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। দশ বছরের বেশি সময় ধরে বারাসত (Barasat) তরুছায়া ক্লাবের পুজো করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বারাসত কলোনি মোড় সংলগ্ন বজরংবলী মন্দিরের পুরোহিত। নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করার জন্য ২০১৬ সালে সেরা পুরোহিত হিসাবে পুরস্কৃত করা হয় গোবিন্দবাবুকে। পুজো করা ছাড়াও জ্যোতিষবিদ্যা, বাস্তুশাস্ত্র এবং নিউমেরোলজি নিয়েও পড়াশোনা করেছেন তিনি। রাজ্য এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিতই পুজো করার জন্য ডাক পান গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়।


বছর দুয়েক আগে একবার মালয়েশিয়া থেকেও দুর্গা পুজো করার ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে সেবার যাওয়া হয়নি। এবার তিনি ডাক পেলেন সুদূর জার্মানি থেকে। সেখানে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্লেনের টিকিট এবং স্পেশ্যাল ভিসাও পেয়ে গিয়েছেন গোবিন্দ। এবিষয়ে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বারাসতের একজনের বাড়িতে পুজো করার সময় পরিবারের লোকেরা ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। জার্মানিতে বসে সেই লাইভ দেখেন তাঁদের আত্মীয়রা। এরপরই আমার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তাঁরা যোগাযোগ করেন এবং এবারের দুর্গাপুজো ফ্র্যাঙ্কফুটের যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। যেখানে পুজো করতে যাচ্ছি সেখানকার অধিকাংশ মানুষ বাঙালি হলেও এখন তাঁরা জার্মানিরই নাগরিক।”


জানা গিয়েছে, মোট দশ দিনের সফর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই কুমারটুলি থেকে মাতৃপ্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে জার্মানিতে। দুর্গাপুজোর বেশ কিছু সরঞ্জাম গোবিন্দবাবু নিয়ে যাবেন কলকাতা থেকেই। আগামী প্রজন্মের পুরোহিতদের উদ্যেশে গোবিন্দবাবুর বার্তা, পুজোকে পেশা করতে হলে এই কাজে নিষ্ঠার সঙ্গে মনোনিবেশ করতে হবে। তার মাধ্যমে যদি আরও পুরোহিত বাইরে গিয়ে পুজো করার ডাক পান তারও চেষ্টা তিনি করবেন বলে জানান গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়।

Saturday, May 29, 2021

বারাসতে বিশেষ বাসে অক্সিজেন পাবেন মুমূর্ষু করোনা রোগীরা

 হাসপাতাল বেডের অভাবে অক্সিজেন না পেয়ে, বিনা চিকিত্সায় কোনো রোগীর যেন মৃত্যু না হয়। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে বারাসত হাসপাতালে চালু হল অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাস। মূলত উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার উদ্যোগেই চালু করা হল এই অভিনব উদ্যোগ। এর ফলে এবার বাসে বসেই মুমূর্ষু রোগীরা অক্সিজেন পরিষেবা পাবেন। তার সঙ্গে মিলবে আনুষঙ্গিক অন্যান্য পরিষেবাও।


হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডল জানান, বারাসত হাসপাতালে এমন ১০টি বেড আছে, যেখানে করোনা আক্রান্তরা আপত্কালীন অক্সিজেন কিওর পরিষেবা পেতে পারেন। এর পরেও অনেক করোনা আক্রান্ত মানুষ আসছেন, যাঁদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের হাসপাতালে রাখার মতো কোনো বেড নেই। অথচ সেই সব রোগীকে সেই মুহূর্তে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে এই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বাস সেই সাপোর্ট দেবে রোগীদের। বাসে জায়গা বেশি থাকায় একসঙ্গে অনেক রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া যাবে। 


জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার উদ্যোগেই নেওয়া এই অভিনব উদ্যোমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাস সম্পর্কে জেলাশাসক জানান, সাধারণ বাসের মধ্যে যেমন সিট থাকে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাসেও তেমনই রয়েছে। সিটে বসে প্রত্যেক রোগী যাতে অনায়াসে অক্সিজেন নিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগীকে শুধু অক্সিজেন সাপোর্টই দেওয়া নয়, সঙ্গে আনুষঙ্গিক সমস্ত চিকিৎসাও চালানো যাবে এই বাসের মধ্যে। তারপর হাসপাতালে বেড খালি হলে সেই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালের বেডে।


হাসপাতালের সুপার জানান, এই বাসটি ২৪ ঘন্টাই বারাসত হাসপাতালে এমার্জেন্সির সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। কারণ যত ক্রিটিক্যাল রোগী হাসপাতালে আসেন, তাঁদের প্রথমে এমার্জেন্সিতেই নিয়ে আসা হয়। তত্ক্ষণাত্ হাসপাতালে বেড না মিললে সময় নষ্ট না করে যাতে শীঘ্রই অন্তত অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে জরুরি চিকিত্সা পরিষেবা শুরু করা যায়, তার জন্যই এই উদ্যোগ। এই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাস চালু হওয়ায় এলাকাবাসী উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী জেলাশাসক।


Source: Ei Samay

Saturday, May 15, 2021

মানবিক উদ্যোগ, বিনাপয়সায় করোনা আক্রান্তের বাড়ি খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন বারাসতের মা-মেয়ে

 এ যেন এক অদ্ভুত সময়। এমন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছি আমরা, যেখানে আপন হয়ে যাচ্ছে পর আর, পর থেকে আপন হয়ে উঠতে সময় লাগছে এক মুহূর্ত। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ভয় দূরে ঠেলে মানবসেবায় ব্রতী হয়েছেন ওঁরা। সম্পর্কে মা-মেয়ে, শুভ্রা মুখোপাধ্যায় ও ঋদ্ধি ভট্টাচার্য।



বারাসতের (Barasat) নবপল্লির বাসিন্দা পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষিকা শুভ্রাদেবী ও তাঁর মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী ঋদ্ধি মিলে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি দু’বেলা খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে শুনলেই দূরত্ব বাড়িয়ে নিচ্ছেন প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। ফলে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের। এই খবর শোনামাত্রই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শুভ্রাদেবী। মা ও মেয়ে মিলে নিজের বাড়িতে রান্না করে করোনা রোগীদের বাড়িতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।


সাত দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তাঁদের এই উদ্যোগ। এখন কুড়ি জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা। তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাঠিয়ে আবেদন করলেই পরদিন থেকেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। মূলত বারাসত পুরসভার এলাকার করোনা আক্রান্তদের পাশে থাকতেই তাঁদের এই উদ্যোগ। মা-মেয়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঋদ্ধির বাবা প্রতীপশংকর ভট্টাচার্য। ঋদ্ধি জানান, হোয়াটসঅ্যাপে কোনও করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত ও তাঁর পরিবার খাবার দেওয়ার কথা বললেই তাঁদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে তা।


খাবারের জন্য কিংবা খাবার পৌঁছতে কোনও টাকা তো লাগবেই না, প্রয়োজনে ওষুধের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন তাঁরা। আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি খাওয়ার পৌঁছে দেওয়ার কাজটা করছেন বন্ধু ও এলাকার কিছু সহৃদয় যুবক। করোনা আক্রান্তদের পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিদিন খাবারের মেনুতে থাকছে ভাত, ডাল, উচ্ছে-আলু ভাজা, শাক, আলু-পটলের তরকারি, আলুপোস্ত, ডিম, মাছ, মাংস। যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের জন্য থাকছে সয়াবিন, পনির। বিনাপয়সায় খাবারের পাশাপাশি ওষুধ কীভাবে তাঁরা বিনামূল্যে দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধি জানালেন, এখনও পর্যন্ত নিজেদের খরচে চালালেও তাঁর আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবীরা তাঁদের সাহায্যের জন্য তৈরি। তাঁদের ধারণা, দুই-একদিনের মধ্যেই সেই সংখ্যাটা প্রায় শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে। কেন এই উদ্যোগ? ঋদ্ধির জবাব, “করোনায় আক্রান্ত হলে অনেকেই অসহায় বোধ করেন। খাবার কীভাবে আসবে, ওষুধ কীভাবে আনবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তাঁদের চিন্তামুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।” যতদিন করোনার এই ভয়াবহতা থাকবে, ততদিন তাঁরা এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান ঋদ্ধি। পাশাপাশি তাঁরা চান, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এগিয়ে আসুন করোনা রোগীদের সাহায্যার্থে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর ৯১৪৩১৫৬৬৭০। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৮৯০২১০৫৮৯৭।


Source: Sanbad Pratidin

Wednesday, May 12, 2021

করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক

 করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮। কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ হয়ে বাগুইআটির হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক সৌমেন্দ্রনাথ রায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে ওই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, মৃত বিচারক সৌমেন্দ্রনাথ রায় বারাসত আদালতে কর্মরত ছিলেন। আদতে হাওড়ার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে সপরিবারে বারাসতেই থাকতেন তিনি। তাঁর স্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। দম্পতির এক মেয়ে বর্তমানে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরতা।


গত ১৬ এপ্রিল শেষবারের মতো আদালতের কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার দু’‌দিনের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন বিচারক। ১৯ এপ্রিল এয়ারপোর্ট সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় সৌমেন্দ্রনাথবাবুকে। এরপর সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর।

সেখানেই কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি ডায়াবিটিসও ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তার পরই সৌমেন্দ্রবাবুকে তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শেষমেশ তাঁকে ইসিএমও সার্পোটে দিয়ে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোর ৫ টা নাগাদ একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে।

Source: Hindustan Times