Showing posts with label electrical burning system at barasat cremation place. Show all posts
Showing posts with label electrical burning system at barasat cremation place. Show all posts

Thursday, December 14, 2017

বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান পাচ্ছে বারাসত পুরসভা

 বহুতলে আকাশ ঢেকেছে৷ দু’পা হাঁটলেই শপিং মল৷ নার্সিংহোম-স্কুল-কলেজ-সিনেমা হল বাদ নেই কিছুই৷ এত কিছুর মাঝেও বারাসতের শ্মশানে নেই কোনও বৈদ্যুতিক চুল্লি৷ বারাসত পুর এলাকায় মান্ধাতা আমলের কাঠের চুল্লি -ই একমাত্র ভরসা৷ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করাতে হলে যেতে হয় পানিহাটি , বরানগর বা কলকাতার শ্মশানে৷ এ বার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বৈদ্যুতিক চুল্লি পেতে চলছে বারাসত৷ বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়ায় রয়েছে একটি শ্মশান৷ শ্মশানের বয়স ৫০৷


পোশাকি নাম দ্বিজহরি দাস মহাশ্মশান৷ বারাসত পুর এলাকার বড়বরিয়াতেও আর একটি শ্মশান ছিল৷ কিন্ত্ত জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় বড়বরিয়া শ্মশানটি বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভাই৷ ফলে ভরসা বলতে কাজিপাড়ার শ্মশান৷ কিন্ত্ত এখানে একমাত্র কাঠের চুল্লিতেই দাহ করা হয়৷ কাঠের চুল্লিতে দাহ করা এমনিতেই বেশ সময়সাপেক্ষ৷ তার উপর বড়বরিয়ার শ্মশানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজিপাড়ার উপর চাপ বেড়েছে৷ বৈদ্যুতিক চুল্লির বন্দোবস্ত থাকলে অনেক কম সময়ে দাহ করা যেত৷ তা না হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ শ্মশানে অপেক্ষা করতে হয় মৃতের পরিবারকে৷ ফলে বারাসতের অনেকেই শবদেহ নিয়ে চলে যান হয় পানিহাটি -সোদপুর না হয় বরাহনগর অথবা কলকাতার শ্মশানে৷ প্রায় দেড়শো বছর ছুঁতে চলা বারাসত পুরসভার বৈদ্যুতিক চুল্লির অভাব এ বার দূর হচ্ছে৷ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এ বার বৈদ্যুতিক চুল্লি পাচ্ছে বারাসত৷ কাজিপাড়া শ্মশানে তৈরি হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি৷ ইতিমধ্যে ই -টেন্ডার খোলা হয়েছে৷ খুব শিগগির শুরু হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ৷


৪৬ কাঠা জমির উপরে বারাসতের কাজিপাড়া শ্মশান৷ শ্মশানের ধার দিয়ে বয়ে গিয়েছে সুতি নদী৷ শ্মশানের কাঠের চুল্লির পাশে ছ’কাঠা জমিতে বানানো হবে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি৷ এ জন্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৯০ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার৷ পুরসভার এক আধিকারিক জানালেন , শ্মশানের পাশেই আছে গঙ্গা জল প্রকল্পের একটি রিজার্ভার৷ সুতি খালের জল কখনও কমে গেলে রিজার্ভার থেকে গঙ্গার জল ছাড়া হয়৷ অর্থাত্ শবদাহ করতে এসে গঙ্গার জলও পেয়ে যান শ্মশানযাত্রীরা৷ বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন , ‘আমাদের এখানে দুটো শ্মশান ছিল৷ কিন্ত্ত কোনওটাতেই বৈদ্যুতিক চুল্লি ছিল না৷ বারাসত -ব্যারাকপুর রোডের ধারে বড়বরিয়া শ্মশানটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷ কিন্ত্ত সেখানে সৌন্দর্যায়নের কাজ করবে পুরসভা৷ কাজিপাড়া শ্মশানে এ বার তৈরি হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি৷ বরাদ্দ টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছে৷ ’


কাজিপাড়ায় বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির খবরে খুবই খুশি এলাকার লোকজন৷ সকলেই বলছেন , আত্মীয় -পরিজনের মৃতদেহ নিয়ে কলকাতা , বরাহনগর বা পানিহাটি দৌড়নোর দিন এ বার শেষ হতে চলল৷


Source: Ei Samay