Showing posts with label barasat. Show all posts
Showing posts with label barasat. Show all posts

Friday, May 19, 2023

অ্যাস্ট্রোটার্ফের বদলে প্রাকৃতিক ঘাস লাগানোর সিদ্ধান্ত বারাসত স্টেডিয়ামে

 আগামী মরশুম থেকেই বারাসত স্টেডিয়ামে বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। তার জন‌্য মাঠে লাগানো কৃত্রিম ঘাস তুলে ফেলে প্রাকৃতিক ঘাস লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।


বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে কৃত্রিম ঘাস বা অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসিয়েছিল আইএফএ (IFA)। তারপর এই বারাসত স্টেডিয়ামে আই লিগ (I League) বা কলকাতা লিগের মতো বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হত। পরে কৃত্রিম ঘাসে খেলোয়াড়রা খেলার অনিচ্ছা প্রকাশ করায় এই মাঠে টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। জেলার বিগত প্রশাসনিক বৈঠকে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী স্টেডিয়ামের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেন।



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) স্টেডিয়ামের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই টাকায় গ্যালারি, প্রেস বক্স এবং রং করা হয়। কিন্তু, প্রায় চার বছর ধরে কোনও বড় টুর্নামেন্ট স্টেডিয়ামে হয়নি। এতদিন অবহেলাতেই পড়ে ছিল স্টেডিয়ামটি। অবশেষে মাঠটিকে খেলার উপযোগী করতে বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে আসেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাকৃতিক ঘাসের হাত ধরে আবারও এই মাঠে বড় টুর্নামেন্ট ফিরবে বলেই আশা স্থানীয় ফুটবল সমর্থকদের।

Source: Sangbad Pratidin

Thursday, May 18, 2023

বারাসত স্টেডিয়ামের মর্যাদা ফেরাতে সদলবলে ক্রীড়ামন্ত্রী

 একসময় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) ফুল ছড়াত ওই মাঠে। একসময় গোয়া-মুম্বই সফরে এসে পা রাখত ওই স্টেডিয়ামে। একসময় আই লিগ থেকে আইএফএ শিল্ড সব বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হত সবুজে ঘেরা ওই মাঠে। আজ সেই মাঠই কার্যত খোয়াড় হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৫ বছর হল প্রথম সারির কোনও ফুটবল টুর্নমেন্ট আর হয়নি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আইএসএলে ঢোকার আগেই ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে বারাসত স্টেডিয়াম। একসময় যে স্টেডিয়ামে রাতের ম্যাচে উজ্জ্বল হত বারাসত, সেই স্টেডিয়ামই কার্যত অন্ধকারে ডুবেছে। সরকারি গাফিলতি নাকি পরিচালন সমস্যা? আইলিগের সঙ্কোচন নাকি আইএসএলের বাড়বাড়ন্ত? কারণ যাই হোক না কেন, ভারতের ফুটবল মানচিত্রে বারাসত স্টেডিয়ামের গুরুত্ব আর নেই। দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। বারাসত স্টেডিয়ামকে (Barasat Vidyasagar Stadium) এ বার মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।


বারাসত বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রীড়া দপ্তর। আজ, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বারাসত ক্রীড়াঙ্গনে কোনও ফুটবল খেলা হয় না। স্টেডিয়ামের সমস্যা কী, তা খতিয়ে দেখতেই ক্রীড়ামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রশাসনের পুরো টিম হাজির স্টেডিয়ামে।


২০০৭ সালে ন্যাচারাল টার্ফের বদলে অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসেছিল বারাসতে। ওই সময়ই যুবভারতীতেও বসানো হয় কৃত্রিম ঘাস। আইলিগ সহ অন্যান্য টিমগুলো বারাসত, যুবভারতীর অ্যাস্ট্রোটার্ফের মান নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছিল। চোটের পরিমাণ বেড়েও গিয়েছিল ফুটবলারদের। যে কারণে কয়েক বছর পর যুবভারতী আবার ফেরে ন্যাচারাল ঘাসে। কিন্তু অজানা কারণে বারাসত সেই অ্যাস্ট্রোটার্ফই আঁকড়ে বসেছিল এতদিন।


এ দিন বারাসত স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের কৃত্রিম ঘাস বেশ কিছু জায়গায় কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। অ্যাস্ট্রোটার্ফের দশাও বেশ খারাপ। ঘরোয়া লিগের কিছু ম্যাচ অবশ্য হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। তারও সংখ্যা বেশ কম। ফলে এই স্টেডিয়াম এতদিন কার্যত পড়েই ছিল। ক্রীড়ামন্ত্রী স্টেডিয়ামের হাল দেখে হতাশ হয়েছেন। জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্টেডিয়ামের এই হাল কেন, খতিয়ে দেখতে অনতিবিলম্বে একটি কমিটি তৈরি করা হোক। ডোপিং টেস্ট রুম, মেডিকেল রুম, ড্রেসিং রুম, রেফারিদের রুম এবং অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।


রাজ্য সরকারের লক্ষ্য বারাসত স্টেডিয়ামকে আবার ‘বাঁচিয়ে তোলা’। একসময়ের সেই ঐতিহ্য, সেই মনোমুগ্ধকর নৈশালোক, সেই গমগমে গ্যালারি দ্রুত ফিরুক, সারা বারাসত যেমন চাইছে, রাজ্য সরকারও চাইছে।

Source: tv9bangla

Wednesday, May 3, 2023

ভুবন বাদ্যকর 'আইডল' ! গান করে চা বিক্রি বারাসতের যুবকের

 ফেমের ফাঁদে 'ভুবন পাতা'! কাঁচাবাদাম গান গেয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন বীরভূমের বাদাম বিক্রিতা ভুবন বাদ্যকর। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। হয়েছে ভুবনজোড়াা নাম।


তাঁকে কপালকে ‘ঈর্ষা’ করেছেন অনেকে। অনেকেই আবার ভুবনের মতো হতে চেয়েছেন। ভুবনের মতো ভাইরাল হওয়ার জন্য এবার চা বিক্রি করতে করতে গান গাইছেন বারাসত কাজিপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদা। জানান, তিনিও ভাইরাল হতে চান। আর সেই জন্যই ‘চা বিক্রি করতে করতে করতে ব়্যাপ করছেন তিনি। কোনও রাখঢাক না করেই এই যুবক স্পষ্ট জানালেন, ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল হওয়ার পরেই চা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। সঙ্গে গাইছেন গান। আশা, একদিন তো ভাইরাল হবেনই।


বারাসত আদালত চত্বরে চা বিক্রি করেন শাহজাদা। সঙ্গে সুর ধরেন "চা খাবে কি দাদা চা,খাবে কি আদা গোলমরিচ লবঙ্গ লিকার দিয়ে চা"। যদিও গান শুনিয়ে চা বিক্রি করলেও এখনও পর্যন্ত ভাইরাল হওয়ার 'সৌভাগ্য' তাঁর হয়নি।


নিজের লক্ষ্যের কথা নিয়ে চুপ চুপ রাখ ঢাক করেননি তিনি। শাহজাদা বলেন, “লকডাউনের সময় ভাইরাল হয়েছিলেন বাদাম কাকু। আমি তাঁকে দেখেই গান গেয়ে চা বিক্রি করা শুরু করেছিলাম। সকলেই চায় জনপ্রিয় হতে এবং সকলের মধ্যে পরিচিত হতে। আমিও ব্যতিক্রম নই। গান গেয়ে চা বিক্রি করি। এতেই অনেক মানুষ আসেন। তাঁরা চা পান করেন। ভালো লাগে। আর কী চাই!”


তাঁর কথায়, “এই গান আমি নিজে গেয়েছিলাম। ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশে তৈরি করেছিলাম।” যদিও এখনও পর্যন্ত নেটপাড়ার নজরে সেভাবে পড়েননি তিনি। স্রোতা যাঁরা তাঁর থেকে চা কিনছিলেন তাঁরাও আহামরি প্রশংসা করছেন না এই গানের। বারাসত কোর্ট চত্বরে তাঁর এক গ্রাহক বলেন, “চা অত্যন্ত ভালো। আদা দিয়ে ও চা করে। তবে আলাদা করে গানের বিষয়ে কিছু বলার নেই।”


গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় ভাইরাল হয়েছেন বহু ব্যক্তি। তালিকায় রয়েছেন ভুবন বাদ্যকর থেকে শুরু করে রাণু মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তাঁরা ক্ষণিকের জনপ্রিয়তা পেয়েও হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এখন দেখার শাহজাদা কি ভাইরাল হবেন?


অন্যদিকে, এই ‘ভাইরাল খিদে’ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে মনোবিদদের একাংশ। এক বিশিষ্ট মনোবিদের কথায়, “আগেও মানুষজনের লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার। কোনও ইচ্ছে কোনওদিন ভুল হতে পারে না। কিন্তু, তার জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন। হঠাৎ কে কবে এসে ভাইরাল করবে, সেই আশায় বসে থাকা একেবারে উচিত নয়।”


Source: Ei Samay 

Monday, February 20, 2023

নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো ট্রেনের ‘মিটিং পয়েন্ট’ হচ্ছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন

 নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্প (ভায়া বিমানবন্দর) তৈরি হচ্ছে। ওই মেট্রো লাইনের একাংশে চলতি বছরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরু করা হবে। তারইমধ্যে সামনে এল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের নয়া ছবি।


কলকাতা মেট্রো এবং লোকাল ট্রেনের ‘মিটিং পয়েন্ট’ দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন হতে চলেছে। কলকাতা মেট্রোর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নোয়াপাড়া-বারাসত (ভায়া বিমানবন্দর) মেট্রোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হতে চলেছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন। যে স্টেশন শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও বটে।


রবিবার মেট্রোর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের একেবারে কাছেই অবস্থিত দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন। তার ফলে বারাসত, বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ এবং বনগাঁর প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। হাওড়া, হুগলি এবং ব্যারাকপুরের মানুষও কম সময় যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। 


মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশা, ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন ৬৬,০০০ যাত্রী দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করবেন। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে যে মেট্রোর নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৭.০৪ কিমি অংশে প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হতে পারে।


কী কী থাকবে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে? রবিবার কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। যাতে যাত্রীরা সহজেই ওঠানামা করতে পারেন। ওই স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট কাউন্টার, বসার জায়গা, ফার্স্ট-এড রুম, শৌচাগার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। 


মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ছ'টি এসক্যালেটর, তিনটি লিফট, সাতটি সিঁড়ি, ১৬ টি অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) এবং আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে। সেই পরিকাঠামোর মাধ্যমে যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Source: Hindustan Times 

Saturday, May 15, 2021

মানবিক উদ্যোগ, বিনাপয়সায় করোনা আক্রান্তের বাড়ি খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন বারাসতের মা-মেয়ে

 এ যেন এক অদ্ভুত সময়। এমন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছি আমরা, যেখানে আপন হয়ে যাচ্ছে পর আর, পর থেকে আপন হয়ে উঠতে সময় লাগছে এক মুহূর্ত। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ভয় দূরে ঠেলে মানবসেবায় ব্রতী হয়েছেন ওঁরা। সম্পর্কে মা-মেয়ে, শুভ্রা মুখোপাধ্যায় ও ঋদ্ধি ভট্টাচার্য।



বারাসতের (Barasat) নবপল্লির বাসিন্দা পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষিকা শুভ্রাদেবী ও তাঁর মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী ঋদ্ধি মিলে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি দু’বেলা খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে শুনলেই দূরত্ব বাড়িয়ে নিচ্ছেন প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। ফলে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের। এই খবর শোনামাত্রই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শুভ্রাদেবী। মা ও মেয়ে মিলে নিজের বাড়িতে রান্না করে করোনা রোগীদের বাড়িতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।


সাত দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তাঁদের এই উদ্যোগ। এখন কুড়ি জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা। তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাঠিয়ে আবেদন করলেই পরদিন থেকেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। মূলত বারাসত পুরসভার এলাকার করোনা আক্রান্তদের পাশে থাকতেই তাঁদের এই উদ্যোগ। মা-মেয়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঋদ্ধির বাবা প্রতীপশংকর ভট্টাচার্য। ঋদ্ধি জানান, হোয়াটসঅ্যাপে কোনও করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত ও তাঁর পরিবার খাবার দেওয়ার কথা বললেই তাঁদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে তা।


খাবারের জন্য কিংবা খাবার পৌঁছতে কোনও টাকা তো লাগবেই না, প্রয়োজনে ওষুধের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন তাঁরা। আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি খাওয়ার পৌঁছে দেওয়ার কাজটা করছেন বন্ধু ও এলাকার কিছু সহৃদয় যুবক। করোনা আক্রান্তদের পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিদিন খাবারের মেনুতে থাকছে ভাত, ডাল, উচ্ছে-আলু ভাজা, শাক, আলু-পটলের তরকারি, আলুপোস্ত, ডিম, মাছ, মাংস। যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের জন্য থাকছে সয়াবিন, পনির। বিনাপয়সায় খাবারের পাশাপাশি ওষুধ কীভাবে তাঁরা বিনামূল্যে দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধি জানালেন, এখনও পর্যন্ত নিজেদের খরচে চালালেও তাঁর আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবীরা তাঁদের সাহায্যের জন্য তৈরি। তাঁদের ধারণা, দুই-একদিনের মধ্যেই সেই সংখ্যাটা প্রায় শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে। কেন এই উদ্যোগ? ঋদ্ধির জবাব, “করোনায় আক্রান্ত হলে অনেকেই অসহায় বোধ করেন। খাবার কীভাবে আসবে, ওষুধ কীভাবে আনবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তাঁদের চিন্তামুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।” যতদিন করোনার এই ভয়াবহতা থাকবে, ততদিন তাঁরা এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান ঋদ্ধি। পাশাপাশি তাঁরা চান, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এগিয়ে আসুন করোনা রোগীদের সাহায্যার্থে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর ৯১৪৩১৫৬৬৭০। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৮৯০২১০৫৮৯৭।


Source: Sanbad Pratidin

Friday, December 4, 2020

Halum Hulum Food Centre, one of the best street food vendors of Barasat

বাংলায় এম এ পাশ করা এক শিক্ষিত যুবকের দৈনিক লড়াই এর কাহিনী। বারাসাত এর নিবেদিতাপল্লি নিবাসি বিবেক মন্ডল বারাসাত ডাকবাংলো মোড়ের এর কাছে এলাহাবাদ ব্যাংক এর বিপরীত এ ফুটপাত এ চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস, বিরিয়ানি বিক্রি করে তার সংসার চালান। রাস্তার পাশের ফুডস্টল, নাম দিয়েছেন হালুম, হুলুম ফুড সেন্টার


যাতায়াত এর কারনে প্রায় রোজই চোখে পরে, কিন্তু কোনো দিন গিয়ে খাওয়ার সুযোগ বা সময় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু কাল রাতে এই ভিডিও টা চোখে পরায় এটা কে শেয়ার করার সুযোগ হাতছাড়া করলাম না। যিনি এই ভিডিও টা করেছেন, তাকে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। 

Monday, November 9, 2020

চলমান সিঁড়ি, ফুটব্রিজ সংস্কারে ভোল বদলাচ্ছে বারাসত স্টেশন

 যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে লক্ষ রেখে সংস্কার করা হচ্ছে ফুট ওভারব্রিজের, তৈরি হচ্ছে চলমান সিঁড়ি, প্রবীণদের জন্য লিফট। যাত্রীরা রোদ-জলে অসুবিধায় যাতে না পড়েন, তার জন্য যে সব জায়গায় ছাউনি ছিল না, সেখানে তৈরি হচ্ছে ছাউনি। স্টেশন চত্বর ঘিরে দেওয়া হচ্ছে গার্ডরেল দিয়ে। এ ছাড়াও, দেওয়ালে লাগানো হচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান, মনীষীদের ছবি। দীর্ঘদিন লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে শিয়ালদহের ধাঁচে এ ভাবেই সেজে উঠছে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বারাসত জংশন স্টেশন। রেল সূত্রের খবর, বারাসত স্টেশনকে আগেই মডেল স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এ বার স্টেশনের নানা পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে জোরকদমে। আগামী বুধবার থেকে ট্রেন চলাচল ফের শুরু হলে নতুন পরিকাঠামোর কয়েকটির সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।



এত দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনে ভিড় নেই বললেই চলে। তাই সুষ্ঠু ভাবে সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী। তিনি আরও বলেন, ‘‘চলমান সিঁড়ি, বয়স্কদের জন্য লিফট বসানো ছাড়াও অকারণ স্টেশনে ঢুকে পড়ার প্রবণতা আটকাতে বারাসত স্টেশন গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে।’’


রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদমের পরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বারাসতই একমাত্র জংশন স্টেশন যেখানে চলমান সিঁড়ি তৈরি হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ওই স্টেশনের এক আধিকারিক জানান, জংশন হিসেবে বারাসত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। শিয়ালদহ থেকে এসে এখান থেকেই বনগাঁ এবং বসিরহাটের লাইন ভাগ হয়ে যায়। ফলে এই স্টেশনে যাত্রীদের চাপও বেশি থাকে। তাই চলমান সিঁড়ি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বারাসত স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল, অবৈধ নির্মাণ ভেঙে লোহার গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে গোটা স্টেশন চত্বর। এক নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত চলমান সিঁড়ি তৈরির কাজও প্রায় শেষ। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, অসচেতন ভাবে লাইন পারাপারের জন্য দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়। সেই সমস্যার সমাধানে গার্ডরেল দিয়ে স্টেশনের চার দিক ঘিরে ফেলা হচ্ছে। তবে স্টেশনের এ-পার থেকে ও-পারে যাওয়ার জন্য পুরনো ফুটব্রিজটিই ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে।


রেল সূত্রের খবর, স্টেশনের সর্বত্র ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি হলেই ভিজতে হত অনেক যাত্রীকে। সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে পুরো স্টেশনে ছাউনি নির্মাণের কাজও চলছে। বারাসত স্টেশনটি শুধুমাত্র সাজিয়ে তুলতেই ৫ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। এর বাইরে রয়েছে নির্মাণের খরচ। কিছু দিনের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।


এই কাজের প্রশংসা করছেন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বারাসত কলেজের ছাত্র রাজা দে বলেন, ‘‘স্টেশন চত্বর ঘিরে দেওয়ায় অকারণে লোকের আনাগোনা, স্টেশনে বসে আড্ডা দেওয়া কমবে। ফুটব্রিজ ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে।’’


Source: Ananda Bazar

Thursday, October 22, 2020

বারাসতের বাড়ির পুজোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী!‌ ষষ্ঠীতে অপেক্ষা করছে চমক

 বৃহ‌স্পতিবার সকালে বারাসতেও হাজির হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সশরীরে নয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে। বারাসত পুরসভার ৩০ নং ওয়ার্ডের নিশীথ রায়চৌধুরীর বাড়ির পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি। রামকৃষ্ণ মিশন থেকে প্রকাশিত উদ্বোধন পত্রিকার লেখক ও টেলিকম বিভাগের অবসর প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার নিশীথ রায়চৌধুরীর কথায় কর্মজীবনে তিনি অপটিক্যাল ফাইবার বিছিয়ে ছিলেন তিনি। আবার তিনিও রামকৃষ্ণ বিবেকান্দেরও ভক্ত। নরেন্দ্র মোদিও ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বিবেকান্দকে আদর্শ করেছেন। ফলে কর্মজীবনে বিছানো সেই অপট্যিকাল ফাইবারের সাহায্যে আসা ইন্টারনেট দিয়েই তাঁর বাড়ির পুজোর উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।


২৩০ বছর আগে তাঁদের সপ্তম পুরুষ সর্বেশ্বর রায় এই পুজো শুরু করেন। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় দশভূজার পুজো আজও হয়ে আসছে বলে জানান নিশীথ রায়চৌধুরী। বাংলাদেশে বর্তমানে ভাটদি বাবু বাড়ির পুজো হিসাবে সবাই জানে সেই পুজোটিকে। দেশভাগের পর তাঁদের কয়েক জন বংশধর এই দেশে চলে আসেন। ১৯৫৪ সালে অন্যদের মত নিশীথ রায়চৌধুরীও চলে আসেন। পড়াশোনার পর মেধাবী নিশীথ রায়চৌধুরী টেলিকম বিভাগে চাকরি পান। আর্থিক সাচ্ছন্দ ফিরলে ১৯৯২ সাল থেকে বাড়িতে শুরু করেন দেবী দুর্গার পুজো। পারিবারিক পুজোর রীতিনীতি এই দেশে পুজোয় স্বপরিবারে সবাই সামিল হন। সেই অর্থে এই পুজোর কোনও উদ্বোধন কোন বছরই হয়নি। এই বছর করোনা অতিমারির জন্য পুজোর আয়োজন অত্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এবছর আর আসছেন না বলে জানান তিনি। আর তারই মধ্যে চমকে দেওয়ার মত যোগাযোগ এনে দেন পাড়ার কয়েকজন। দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাড়ির পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেম। আক্ষরিক অর্থে এবারই প্রথম তাঁদের বাড়ির পুজো উদ্বোধন হবে। তাও আবার প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে। তাতেই উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে দিল্লী থেকে টেকনিক্যাল টিম চলে এসেছে তাঁদের বাড়িতে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনের ট্রায়াল রানও শুরু হয়ে গেছে। এই বাড়ির কন্যা সুপর্ণা গাঙ্গুলীদের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। কারন ছোট করে আয়োজন করা পুজো দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সারা দেশ দেখবে। তাই চারিদিকে আলপনা দেওয়া ও নান্দনিক ভাবে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত তাঁরা।

সুত্রঃ নিউজ ১৮ বাংলা 


Monday, October 5, 2020

এবছর জৌলুসহীন বারাসাতের কালীপুজোও

 করোনাসুরের দাপটে এবছর যেমন দুর্গা পুজোর যেমন মন মরা, অন্যান্য বছরের মতো জাঁকজমক আরম্ভর নেই ঠিক তেমনই কলকাতার দুর্গাপুজোর মতো এবছরের বারাসাতের কালীপুজোও অন্যান্য বারের মতো জমকালো না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো কমিটিগুলি।


জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বারাসত পুরসভার সঙ্গে বারাসাতের বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, এবার খোলামেলা মণ্ডপ করা হবে। জমকালো পুজো প্যান্ডেল চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাইয়ের প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সেই টাকায় শহরের দুঃস্থদের সাহায্য ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।


বারাসতের কালীপুজোর সুনাম শুধু এই বাংলা নয়, ওপার বাংলা সহ গোটা দেশে রয়েছে। বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির বাজেট কোটির উপরে। তাই প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুজোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় কালী পূজার প্রস্তুতিও। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন,তাই একদিকে নজরকাড়া পুজো মন্ডপ, আলোকসজ্জা ও দর্শক টানার যে লড়াই, তা থেকে এবার বিরত থাকছে বারাসাতের প্রথম সারির কালীপুজোর কর্মকর্তারা। বারাসত পুরসভার প্রশাসক জানান, এ শহরের তিনটি বড় পুজো কমিটির কর্মকর্তারা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীতে রয়েছেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে আগের মতো পুজো হওয়া সম্ভব নয়। তাই বড় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার আর কেউ আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করবে না।

সুত্রঃ Bengali One India 

Wednesday, August 5, 2020

সম্প্রীতির বাংলা, বারাসাতে রামের পুজো করলেন মুসলিমরা!

 সব অপেক্ষার অবসান। ধূমধাম করে অযোধ্যায় হয়ে গেল রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে সামনে থেকে উপস্থিত থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতে দিয়েই হয়ে শিলান্যাস। অনুষ্ঠানের সময় নিজের বক্তৃতায় স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে রাম মন্দির আন্দোলনের তুলনা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, বুধবার তিনি বিশ্বজুড়ে রামের প্রাসঙ্গিকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। ভারত তথা বিশ্ব, এমনকী মুসলিম প্রধান দেশেও রামায়ণের অস্তিত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর সেখানেই যেন সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিল বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ।


বুধবার অযোধ্যায় যখন ধূমধামের সঙ্গে চলছে ভূমিপুজো, তখন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নতুনপল্লিতে হিন্দু মুসলমান উভয় ধর্মের মানুষই একযোগে রামের পুজো করলেন। তাঁদের কথায়, রাম কোনও বিশেষ ধর্মের প্রতিভূ নন। রাজা হিসেবে রামচন্দ্রের প্রধান ধর্ম হল দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। নতুনপল্লির স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব আহমেদ খানের নেতৃত্বে আয়োজিত হয়েছিল ওই পুজো। অবশ্য রাজীব আহমেদ খান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি। ফলে এর সঙ্গে বিজেপির নাম জুড়ে গেলেও হিন্দু-মুসলিম একযোগে রাম পুজো করছে, বিষয়টির প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষও।


শুধু রাজীব আহমেদ খানই নন, বিজেপি কর্মী মোহম্মদ বাবলু মোল্লা ও রহিম মণ্ডলদের পাশাপাশি বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বীও এই পুজোয় যোগদান করেছিলেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার এ এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।


এদিন নিজের ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'রাম ঐক্যের প্রতীক। যেভাবে ভগবান রামের জন্যে জয় পেতে সকলে একসঙ্গে এত বছর ধরে চেষ্টা করেছেন, যেভাবে সকলে স্বাধীনতার লড়াইয়ে গান্ধীজির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই আজ দেশবাসীর প্রচেষ্টায় রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু হল।'


অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সরাসরি রাম মন্দির প্রসঙ্গে কিছু না বললেও ট্যুইটে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে লেখেন, 'হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান -একে অপরের ভাই-ভাই! আমার ভারত মহান, মহান আমার হিন্দুস্তান! আমাদের দেশ তার চিরায়ত বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে, এবং আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষিত রাখব।' রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর আবহে সেই সম্প্রীতির ছবিটাই যেন ফুটে উঠল। হয়ত তা একটি জায়গাতেই, কিন্তু সেটারও প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য।


Source: Ei Samay

Sunday, July 26, 2020

লকডাউনের জের, বারাসতে উচ্চমাধ্যমিক মার্কশিট প্রদান নিয়ে ধোঁয়াশা

সাতদিনের লকডাউনে বারাসাতের উচ্চমাধ্যমিক মার্কশিট প্রদান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে। ৩১ তারিখ উচ্চমাধ্যমিকের জন্য নির্দিষ্ট স্কুলের ক্যাম্প অফিস থেকে স্কুলগুলিকে উচ্চ- মাধ্যমিকের মার্কশিট দেওয়ার কথা।


অথচ সেদিনও লক ডাউন থাকছে বারাসাত পৌরসভা এলাকা জুড়ে। যেকারণে সময়মত মার্কশিট দেওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে। বারাসাতের অধিকাংশ স্কুলই মার্কশিট সঠিক সময়ে দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বারাসাত পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান সুনীল মুখার্জী জানিয়েছেন, স্কুলগুলি যেন ক্যাম্প অফিস থেকে উচ্চমাধমিকের মার্কশিট সুষ্ঠ ভাবে তুলতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করা হবে। এবং এক্ষেত্রে ক্যাম্প অফিস থেকে মার্কসিট দেওয়ার জন্য লক ডাউনের নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞায় থাকছে না।


Source: OneIndia 


Thursday, July 9, 2020

বারাসাত মেগাসিটি নার্সিংহোম হচ্ছে কোভিড হাসপাতাল, বিজ্ঞপ্তি জারি স্বাস্থ্যভবনের

বারাসাত মেগাসিটি নার্সিংহোম হচ্ছে কোভিড হাসপাতাল। আগামী সপ্তাহ থেকে এই নার্সিংহোম হবে কোভিড হাসপাতাল। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল হচ্ছে মেগাসিটি নার্সিংহোম। বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্যভবন।

Source: ABP Live

Tuesday, May 5, 2020

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন দিলেন বারাসতের জেলা পুলিশের কর্মীরা

 করোনা মোকাবিলায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। পিছিয়ে নেই পুলিশ কর্মীরাও। বিভিন্ন কমিশনারেট, থানার পুলিশ কর্মীরা নিজেদের বেতনের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। সোমবার বারাসত জেলা পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরা একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে দান করলেন। যার আর্থিকমূল্য প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা।


করোনায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। সময় যতই এগোচ্ছে ততই দাপট বাড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস। বিশ্বে ৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে। ভারতের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। আক্রান্ত ৪২,৮৩৬। মৃত্যু হয়েছে ১৩৮৯ জনের। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণকে জব্দ করতে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে আজ থেকে লকডাউনের তৃতীয় দফায়  শর্তসাপেক্ষে  বেশ কিছু  ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। খুলছে মদের দোকান, সেলুন, স্পা-ও। বাংলার করোনা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক নয়। ৬১ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে এ রাজ্যে।  এখনও পর্যন্ত  আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫৯। সুস্থ হয়েছেন ২১৮ জন।লকডাউন চলাকালীন রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসন। চিকিসা থেকে বিনামূল্য রেশন, কোথাও আবার রান্না করে খেতে দেওয়া হচ্ছে। গঠিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল।


মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন দিলেন বারাসত জেলা পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরা। মোট সাড়ে ৮ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, লকডাউনের শুরুর দিন থেকে এলাকার প্রৌঢ় ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য হেলপ লাইন নম্বর চালু করেছেন। এছাড়া কমিউনিটি কিচেন থেকে ফুটপাথবাসীদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন জেলা পুলিশের কর্মীরা। তাঁদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী।

Source: Sanbadpratidin

Friday, May 1, 2020

বারাসতের কিশলয় হোমে আইসোলেশন ঘরের ব্যবস্থা

 নতুন আবাসিক এলে রাখা হচ্ছে হোম কোয়ারান্টিনে, বারাসতের কিশলয় হোমে আইসোলেশন ঘরের ব্যবস্থা

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আইসোলেশন ঘর চালু হল বারাসতের কিশলয় হোমে। সেখানে রাখা হয়েছে কোয়ারান্টিনের ব্যবস্থাও। ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা অনাথ শিশু-কিশোরদের মাধ্যমে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তাই এই ব্যবস্থা করেছেন হোম কর্তৃপক্ষ।


এই ব্যবস্থার মূল উদ্যোক্তা কিশলয় হোমের সুপার মলয় চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, হোমে নতুন কোনও আবাসিক এলে তার শারীরিক পরীক্ষা করে ১৪ দিনের জন্য এই আইসোলেশন ঘরে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি হোমের আবাসিকদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করেছেন হোম কর্তৃপক্ষ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোনও আবাসিককে গেটের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। বাইরে থেকে কেউ দেখাও করতে আসতে পারবে না। কিশলয় হোমে ১২৪ জন অনাথ আবাসিকদের রয়েছে। তাদের সুরক্ষার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন হোমের সুপার।


রবি, ফারুক, ইলিয়াস, শুভেন্দুদের মতো আবাসিকদের কাছে এই হোমই ঘরবাড়ি। ওই হোমে কেউ আছে ১০ বছর। কেউ আবার পাঁচ কিংবা সাত বছর। হোম থেকেই স্কুলে যেত তারা। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জেরে এখন তা পুরোপুরি বন্ধ। হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন এক ঘণ্টা পর পর প্রত্যেক আবাসিকের হাত তরল সাবান দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে একটি করে সাবান ও একটি তোয়ালে। আবাসিকদের হাত ধোয়ানোর কাজটা করছেন হোমের কর্মীরাই। তাদের সচেতন করতে সকাল এবং বিকেলে প্রার্থনার সময় কী ভাবে হাত তরল সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে পরিষ্কার করতে হবে, তা হাতেকলমে দেখানো হচ্ছে। সচেতন করতে হোমের মধ্যে দেওয়া হয়েছে পোস্টারও।


হোমের সুপার মলয় চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, 'হোমটাই ১২৪ জন আবাসিকদের বাড়িঘর। এরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। এই পরিস্থিতিতে এদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের প্রধান দায়িত্ব।' সম্প্রতি নিমতা থেকে দুই আবাসিক এসেছে হোমে। আসার পরেই তাদের মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। তারা সুস্থ রয়েছে। তার পরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের আইসোলেশন ঘরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আবাসিকদের মাস্ক তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অফিসার হিমাংশু দাস আবাসিকদের মাস্ক তৈরি করা শেখাচ্ছেন।

Source: Ei Samay

Friday, April 3, 2020

উপার্জনহীন অযোধ্যা পাহাড়বাসী, বাসিন্দাদের চাল পাঠালেন বারাসতের পুলিশ সুপার

 একেবারে পাহাড়ের মাথায় ২২২০ ফুট উচুঁতে বাঘমুন্ডির জিলিং সেরেঞ। রেশন আনতে এই কাঠফাটা রোদে পাহাড়ি পথে নামতে হয় প্রায় তিন কিমি। অন্যদিকে কোটশিলার মুরগুমা থেকে পাঁচটা পাহাড় ডিঙিয়ে তবে লেওয়া গ্রাম। পাকা কেন্দ আর কুলের আঁটি চিবিয়ে দুপুর কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের। দু’বেলা ধোঁওয়া ওঠা থালা ভরতি ভাত তাদের কাছে ছিল বিলাসিতা! করোনা ‘রাক্ষস’-র আতঙ্কে ভয়ে সিঁটিয়ে আছে আড়শা বনাঞ্চলের ভুদাও। তাই পাহাড়ি পথ ভেঙে রেশনও আনতে যাচ্ছে না এই জনপদ। অথচ প্রায় দশ কিমি হেঁটে রোজ কাঠ বেচতে সিরকাবাদ, কান্টাডি যেত এই গ্রামের বাসিন্দারাই। ফলে কোনও ক্রমে একবেলা ভাত ফুটিয়ে বাকি সময় জঙ্গলের শাক আর বাঁওলা খেয়ে দিন গুজরান।


অযোধ্যা পাহাড় রেঞ্জ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাঁচ থানার প্রায় শতাধিক গ্রাম লকডাউনের জেরে যেন ব্লক সদর থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। হাতে টাকাকড়ি কিছুই নেই। এক সপ্তাহ ধরে উপার্জন বন্ধ। বনমহল অযোধ্যায় দিনমজুরি করা মানুষজনের যদি রোজগার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই পাহাড়ি জনপদের কি অবস্থা হয় তা ভুলে যাননি বারাসতের পুলিশ সুপার। ভোলেননি ওই এলাকার আধপেটা খাওয়া মানুষগুলোর মুখগুলো। তাই এই করোনার আবহে অযোধ্যা পাহাড়ে দশ হাজার কিলো চাল পাঠিয়ে দিয়েছেনতিনি।


বারাসাতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর হাত ধরে মাওবাদীদের হাতে খুন হওয়া পার্থ-সৌমজিতের হত্যার কিনারা হয়। গ্রেপ্তার হয় বিক্রম। বলা যায়, অযোধ্যা স্কোয়াড শেষ হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। তখন তিনি ডিএসপি (আইন–শৃঙ্খলা), পুরুলিয়া। সময় পেরিয়েছে। এখন তিনি বারাসতে, তবে সেখানে বসেই ভেবেছেন পুরুলিয়াবাসীর কথা। তাঁর পাঠানো দশ হাজার কিলো চালে এখন যেন দু’বেলা থালা ভরতি ভাত পাচ্ছে অযোধ্যা পাহাড় রেঞ্জের জিরিং সেরেঞ, লেওয়া, মামুডি, বামনি, ঘাটিয়ালির মত দুর্গম গ্রাম। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে দশ কেজি করে চাল পৌঁছে যাচ্ছে পাহাড়ের ঘরে ঘরে। সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সতর্কতায় প্রচারপত্র। ঘরে ঘরে চাল বিলিতে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গী হচ্ছে পুলিশও।


ওই সংস্থার সভাপতি চন্দন চক্রবর্তী বলেন, “এই লকডাউনে পাহাড়ি জনপদের মানুষগুলির অবস্থা দেখে ফেসবুকে আবেদন করেছিলাম। তারপরই গত রবিবার বারাসতের এসপির দশ হাজার কিলো চালের গাড়িটি আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।” আর এই প্যাকেট ভরতি চাল পেয়ে যে কী খুশি সোমবারি সিং মুড়া, কাজলী হাঁসদা, ছুটু সিং মুড়ারা! কিন্তু এত চাল কীভাবে জোগাড় হল? বারাসত এসপির কথায়, “তখন মাও দমনে এই পাহাড়ি গ্রামগুলির মানুষে়র ঋণ কোনভাবেই শোধ করতে পারব না। তাই এই অবস্থায় সামান্য প্রয়াস আর কী! তবে এই চাল জোগাড় করতে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারাই আসল নায়ক।”


Source: Sanbad Pratidin

Thursday, March 19, 2020

বিদেশ থেকে ফেরার কথা নিজেই জানিয়েছেন বারাসতের এক সচেতন নাগরিক

 বিদেশ থেকে ফিরে তথ্য লুকিয়ে যাওয়া নয়, বরং পুলিশকে ফোন করে নিজের পরিস্থিতি জানালেন এক সচেতন নাগরিক। পুলিশ এবং বারাসত হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ওই ব্যক্তি ১৪ মার্চ জার্মানি থেকে ফিরেছেন। তিনি বারাসতের শিশিরকুঞ্জের বাসিন্দা। ফিরে আসার পর থেকে তার কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সরকারের সচেতনতা প্রচার শুনে তিনি বুঝতে পারেন বিদেশ থেকে ফেরার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো উচিত।


বুধবার সকালে বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে ফোন আসে ওই ব্যক্তির। তিনি পুলিশকে জানান দিন, বিদেশ থেকে ফিরে বুঝতে পারছেন না কী করবেন। তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এসপি অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। ফোনেই ওই ব্যক্তির বক্তব্য শোনেন ও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে খবর দেন। দ্রুত ওই ব্যক্তির কাছে চলে যায় বারাসত হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল। তাকে পরীক্ষা করে আপাতত কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে ঘরের মধ্যে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। এসপি অভিজিৎ বলেন, 'এই ব্যক্তি যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। তাঁর থেকে অন্যদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।'

Source: Ei Samay

Monday, February 17, 2020

নিমন্ত্রণ সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বারাসতের কাউন্সিলরের

 খুদে ভাইপোর অন্নপ্রাশন। ভাইকে সঙ্গে নিয়ে তাই বাঁকুড়ায় নেমন্তন্ন করতে গিয়েছিলেন বারাসতের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য (৪৫)। ফেরার পথে চণ্ডীতলা থানার আরামবাগ-চাঁপাডাঙা-চণ্ডীতলা রোডের শিয়াখালায় একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রদ্যোৎ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রাণ হারান ভাই প্রণব ভট্টাচার্যও (৪০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি গাড়ির চালক।


রবিবার রাত তখন আটটা। শিয়াখালা দেশমুখায় দাঁড়িয়েছিল একটি ট্রাক। আচমকাই সজোরে ট্রাকের পিছনে এসে ধাক্কা মারে বোলেরো গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অসম্ভব গতিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। ধাক্কা মেরে ট্রাকের পিছনেই খানিকটা চিঁড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে ঢুকে যায় বোলেরোর সামনের অংশ। দ্রুত ছুটে আসেন স্থানীয়রা।


দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ভিতর থেকে তখন রক্তের ধারা গড়িয়ে পড়েছে রাস্তায়। সামনের সিটে বসে থাকা প্রদ্যোৎ ঘটনাস্থলেই মারা যান। যদিও স্থানীয়রা প্রথমে তা বুঝতে পারেননি। প্রদ্যোতের পাশাপাশি গুরুতর জখম গাড়ির চালক দেবশঙ্কর ও পিছনের সিটে বসে থাকা প্রদ্যোতের ভাই প্রণবকে বের করে আনা হয়। তখন প্রণব বার বার বলতে থাকেন, ‘আমার দাদা বেঁচে আছে তো? দাদা বারাসতের কাউন্সিলর।’ এ কথা শুনে স্থানীয়রা চণ্ডীতলার তৃণমূল নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়কে ফোন করেন। সুবীর এসেই দলীয় নেতা-কর্মীদের খবর দেন। তিন জনকে নিয়ে আইয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ছোটেন স্থানীয়রা। প্রদ্যোতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকায় প্রণবকে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই প্রণবের মৃত্যু হয়। চালক দেবশঙ্করের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রাতেই তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।


জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় ফোন করেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকে। সুবীর বলেন, ‘কাকলি ঘোষদস্তিদারকে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দিই। উনি আমাকে প্রদ্যোতের ছবি পাঠাতে বলেন। আমি হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠাতেই উনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।’ রাতে হাসপাতালে চলে আসেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব। গাড়িটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।


মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বারাসতের নয়নকাননে প্রদ্যোতের বাড়িতে। ক’দিন বাদেই পরিবারে আনন্দানুষ্ঠান। তার আগে যেন বজ্রাঘাত নেমে এল। স্বামীর মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন প্রদ্যোতের স্ত্রী মৌমিতা। বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর একমাত্র মেয়ে।


প্রদ্যোতের মৃত্যুর খবর পেয়েই নয়নকাননের বাড়িতে চলে আসেন বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য কাউন্সিলর। সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রদ্যোৎ ছিল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। নিজগুণে এবং দক্ষতার সঙ্গে পুরসভার শিক্ষাদপ্তর সামলাত।’ কথা বলতে বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।


Source: Ei Samay


Tuesday, February 4, 2020

চাকরির টোপ দিয়ে বারাসতের বাসিন্দাকে দিয়ে দুবাই এ পরিচারিকার কাজ

 ফেসবুকে আলাপ। সেই আলাপ থেকে বন্ধুত্ব। বারাসতের দম্পতির সঙ্গে কাকদ্বীপের যুবকের এই ঘনিষ্ঠতাই বিপদ ডেকে আনল। বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বারাসতের গৃহবধূকে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে পরিচারিকার কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে পাসপোর্টও। স্ত্রীকে ফিরে পেতে বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী।


কয়েক মাস আগে বারাসতের বাসিন্দা সায়ক চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল কাকদ্বীপের যুবক মিঠুন বাগের। সেই আলাপের সূত্রেই মিঠুন দুবাইয়ে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিঠুন।


বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের ধারে আবাসনে থাকেন চক্রবর্তী দম্পতি। সায়ক শেয়ার বাজারে কাজ করেন। শেয়ারের ব্যবসায় লোকসানের মুখে পড়েছিলেন তিনি। ফলে সংসার চালানোই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ দিকে ছেলে ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে পড়ে। ছেলের স্কুলের খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন সায়ক ও তানিয়া। এই আর্থিক টানাটানির মাঝেই সায়ক-তানিয়ার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় মিঠুন বাগের। সায়ক বলেন, ‘মিঠুন আমার স্ত্রীকে কাতারে নার্সের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এ জন্য আমার থেকে তিন লক্ষ টাকাও নিয়েছিলেন। এরপর মিঠুনই এক এজেন্সির মাধ্যমে তানিয়াকে কাতারে নিয়ে যান। আমরা ভেবেছিলাম মিঠুন বাগ ওই এজেন্সির একজন দালাল।’ সায়ক জানিয়েছেন, প্রথমে কাতারে নার্সের চাকরি দিলেও, পরে তানিয়াকে কাতার থেকে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তানিয়াকে দুবাইতে নার্সের চাকরি না দিয়ে লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাতে রাজি না হওয়ায় তানিয়ার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারও শুরু হয়েছে।


এ সবই দিন কয়েক আগে বাড়িতে ভিডিয়ো কল করে তানিয়া জানিয়েছেন সায়ককে। তানিয়া স্বামীকে জানান, মিঠু একজন জালিয়াত। তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও উপায়ে এখন দেশে ফিরতে মরিয়া তানিয়া। মায়ের এই খবর শুনে উৎকন্ঠায় তানিয়া একমাত্র ছেলে ১৩ বছরের ঋষিতও। সায়ক জানালেন, ছেলে খুবই কান্নাকাটি করছে।


স্ত্রীকে ফিরে পেতে ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রক চিঠি লিখেছেন সায়ক। চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেও। যোগাযোগ করেছেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে। বারাসত এবং কাকদ্বীপেও অভিযোগ দায়ের করেছেন সায়ক চক্রবর্তী। সায়ক জানালেন, প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


বারাসতের বাড়িতে ছেলেক পাশে নিয়ে সায়ক বললেন, ‘আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট, অন্যান্য পরিচয়পত্র-সহ যাবতীয় নথি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা ভীষণই চিন্তায় আছি।’


যোগাযোগ করা হয়েছিল মিঠুন বাগের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওদের ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল। বন্ধুত্বও ছিল। কিন্তু সামনাসামনি কোনওদিন দেখা হয়নি। তানিয়া কোথায় কাজে গিয়েছেন, সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

Source: Ei Samay


Friday, January 10, 2020

বারাসতে যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকেই শিল্পীদের সহায়তা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের সুচনা

 ২৪তম যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনে এসে শিল্পীদের জন্য খুশির খবর শুনিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার দুঃস্থ যাত্রা শিল্পীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেই ভাতা এক লাফে দশ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় সাধুবাদ জানিয়েছেন যাত্রাশিল্পীরা।


প্রতি বছর বারাসতের কাছারি ময়দানেই হয়ে থাকে যাত্রা উৎসব। এ বছর যে উৎসব ২৪ বছরে পা দিল। বৃহস্পতিবার ছিল উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা। প্রদীপ জ্বালিয়ে, ঘণ্টা বাজিয়ে উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।


যাত্রা গ্রাম বাংলার কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শুধু প্রতি বছর যাত্রা উৎসব করাই নয়, এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং অন্যান্য কলাকুশলীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলেছে বর্তমান সরকার। দুঃস্থ যাত্রাশিল্পীদের জন্য বার্ষিক ভাতার ব্যবস্থাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে রাজ্য সরকারের ৬৪৪ জন দুঃস্থ যাত্রাশিল্পীকে বার্ষিক ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়। বারাসতের কাছারি ময়দানের যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকে এ দিন মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই ভাতা বৃদ্ধির ঘোষনা করলেন। জানালেন, ভাতার টাকা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হল। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মধ্যে যাত্রাশিল্পীদেরও যুক্ত করা হল বলে এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই হাততালিতে ফেটে পড়েন যাত্রাশিল্পীরা। কলকাতা যাত্রা কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক হারাধন রায় বলেন, 'দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুঃস্থ যাত্রাশিল্পীদের ভাতা ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে আমরা ভীষণ খুশি। একই সঙ্গে উনি যাত্রাশিল্পীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত করার কথাও এ দিন ঘোষণা করেছেন। এমন মানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ওঁকে ধন্যবাদ। কাছারি ময়দানে উপস্থিত যাত্রাশিল্পী দেবযানী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'যাত্রার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা যা রোজগার করেন, তাতে সঞ্চয় বিশেষ হয় না। ফলে এই সমস্ত শিল্পীদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা একজন যাত্রাশিল্পী হিসেবে আমার কাছে অত্যন্ত সুসংবাদ।'


এ দিন যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল এবং তপনকুমার পুরস্কার যাত্রাশিল্পীদের হাতে তুলে দেনন। বামি ভট্টাচার্য, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, মহুয়া ভট্টাচার্য, শুভ মুখোপাধ্যায়, সমীর সেনদের মতো যাত্রা ব্যক্তিত্বদের পুরস্কৃত করা হয়।


এ দিন যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৫১টি প্রকল্পের সূচনা করেছেন। যে প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৩১১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে দেগঙ্গা-হাড়োয়া পানীয় জল প্রকল্প যেমন আছে, তেমনই আছে জেলার ব্লকে রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন। এ ছাড়াও এ দিন মঞ্চ থেকে আড়াইশো কোটি টাকার নতুন প্রকল্প চালু করেন তিনি। এ দিনের মঞ্চ থেকেই সবুজশ্রী প্রকল্পে শিশু এবং মায়েদের হাতে চারা গাছ তুলে দিয়েছেন মমতা।


Source: Ei Samay

Monday, December 9, 2019

বারাসতের হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় পরিবেশ সচেতনতার বার্তা

 জেলা হস্তশিল্প প্রতিযোগিতাতেও নাগরিক সচেতনতার বার্তা। তাঁদের হাতের কাজের মাধ্যমে ডেঙ্গি প্রতিরোধ থেকে জল অপচয় বন্ধ করা বা বায়ুদূষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন হস্তশিল্পীরা। নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি এনআরসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকেও তাঁরা হাতের কাজের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এ ছাড়াও, ছিল নকশিকাঁথা, কাঁথা-স্টিচ-সহ কাগজের কোলাজ এবং কাঠের তৈরি সামগ্রী। বৃহস্পতিবার বারাসতের রবীন্দ্র ভবনে হয়ে গেল জেলার হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা।


বায়ুতে দূষণের পরিমাণ মাত্রা ছাড়িয়েছে দিল্লির মতো রাজধানী শহরে। কলকাতাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি জল সঙ্কটও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ুদূষণ কিংবা জল সঙ্কটের সমস্যা নিয়ে এখনও সাধারণ মানুষ সে ভাবে সচেতন নয়। তাই এই সমস্যাগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিতে এ বার দেখা গেল হস্তশিল্পীরাও আসরে নেমেছেন।


কাঁচরাপড়ায় থাকেন হস্তশিল্পী বিশ্বজিৎ রায়। তিনি তাঁর অসাধারণ শিল্প-নৈপুণ্যে কাঠের উপর ফুটিয়ে তুলেছেন নাগরিক সচেতন সমাজ। তাতে দেখানো হয়েছে গাছ ধ্বংসের কারণে গোটা বিশ্ব রুক্ষ হয়ে উঠছে। আবার, জল অপচয় সম্পর্কে সচেতন করতেও বিশ্বজিৎ হস্তশিল্পকেই মাধ্যম করেছেন। এই হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় গ্রাম বাংলার নকশি-কাঁথা শিল্প তুলে ধরেছেন শাসনের গোলাবাড়ির শিল্পী সাহিদা বেগম। দত্তপুকুরের জহর মল্লিক কাঁথা-স্টিচের উপরে নানা শিল্প ফুটিয়ে তুলেছেন। দমদমের পিনাকী দাশগুপ্তের কাঠ দিয়ে তৈরি সিঁদুরের কৌটোও নজর কেড়েছে। জেলা শিল্প কেন্দ্রের ম্যানেজার সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'হস্তশিল্পে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ প্রতি বছর নিয়ে থাকি আমরা।'


এ বছরের জেলা হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ৭৫ জন হস্তশিল্পী। প্রতিযোগিতায় মোট ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

Source: Ei Samay