Showing posts with label kalipuja barasat. Show all posts
Showing posts with label kalipuja barasat. Show all posts

Monday, October 5, 2020

এবছর জৌলুসহীন বারাসাতের কালীপুজোও

 করোনাসুরের দাপটে এবছর যেমন দুর্গা পুজোর যেমন মন মরা, অন্যান্য বছরের মতো জাঁকজমক আরম্ভর নেই ঠিক তেমনই কলকাতার দুর্গাপুজোর মতো এবছরের বারাসাতের কালীপুজোও অন্যান্য বারের মতো জমকালো না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো কমিটিগুলি।


জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বারাসত পুরসভার সঙ্গে বারাসাতের বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, এবার খোলামেলা মণ্ডপ করা হবে। জমকালো পুজো প্যান্ডেল চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাইয়ের প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সেই টাকায় শহরের দুঃস্থদের সাহায্য ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।


বারাসতের কালীপুজোর সুনাম শুধু এই বাংলা নয়, ওপার বাংলা সহ গোটা দেশে রয়েছে। বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির বাজেট কোটির উপরে। তাই প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুজোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় কালী পূজার প্রস্তুতিও। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন,তাই একদিকে নজরকাড়া পুজো মন্ডপ, আলোকসজ্জা ও দর্শক টানার যে লড়াই, তা থেকে এবার বিরত থাকছে বারাসাতের প্রথম সারির কালীপুজোর কর্মকর্তারা। বারাসত পুরসভার প্রশাসক জানান, এ শহরের তিনটি বড় পুজো কমিটির কর্মকর্তারা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীতে রয়েছেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে আগের মতো পুজো হওয়া সম্ভব নয়। তাই বড় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার আর কেউ আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করবে না।

সুত্রঃ Bengali One India 

Sunday, October 27, 2019

কালীপুজো দেখতে শনিবারেই জনস্রোত বারাসতে

 বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্বোধন সেরে ফেলেছে বড় পুজোগুলি। দমদম-রাজারহাট থেকে শুরু করে মধ্যমগ্রাম-বারাসতে শনিবার বিকেল থেকেই ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। রাজ্যপাল থেকে মুম্বইয়ের তারকারা প্রত্যেকেই শনিবার জানিয়ে গিয়েছেন, বারাসতের কালীপুজোর কথা তাঁরা শুনেছিলেন, কিন্তু তার ব্যাপকতা যে এমন, তা ভাবতে পারেননি।


এ বারের পুজোয় অবশ্য ‘ভিআইপি গেট’ নেই। তাই বিনা বাধায় মণ্ডপে ঢুকতে পেরে সাধারণ দর্শনার্থীরাও খুশি। আলোয় মোড়া উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদরকে যেন চেনার উপায় নেই। বারাসত স্টেশনে নামলেই গোটা পায়োনিয়ার এলাকা বদলে গিয়েছে ব্যাঙ্ককে। বিশাল পুকুরপাড়ে মন্দিরের পাশাপাশি মাঠে বসে গিয়েছে মেলা। সেখানে কচিকাঁচাদের ভিড়। স্টেশন সংলগ্ন সংহতি, ইউনাইটেড, রাইজিং স্টারস, ওয়েলফেয়ার, ছাত্রদলেও শুরু হয়েছে ঠাকুর দেখার ভিড়।


৩৪ এবং ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি টাকি রোড, ব্যারাকপুর রোডের মতো রাস্তাতেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। ওই সব রাস্তার দু’পাশ জুড়ে আলোর গেট ও বিশাল মণ্ডপে সেজে উঠেছে রেজিমেন্ট, বিদ্রোহী, শতদল সঙ্ঘ বা সন্ধানীর মতো বড় পুজোগুলি। ডোকরা ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সেজেছে কেএনসি রেজিমেন্ট। নবপল্লির তিন দিকে তিন মন্দির। মায়ানমারের স্বর্ণমন্দির, গুজরাতের সোমনাথ মন্দির এবং ভিয়েতনামের একটি মন্দির।


বারাসত জুড়ে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় রয়েছে প্রচুর পুলিশ। প্রশাসন ও স্থানীয় পুরসভার তরফে তৈরি হয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘এত বড় উৎসবকে সফল করতে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও অসুবিধা হলেই সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Source: Ananda Bazar

Sunday, October 20, 2019

শক্তি আরাধনায় মেতে উঠতে প্রস্তুত বারাসত

সামনেই কালীপুজো। দুর্গাপুজোর জাঁকজমক মানে যদি কলকাতা হয়, তবে কালীপুজো অবশ্যই বারাসতের। শক্তির আরাধনায় বারাসতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া ভার। কালীপুজো মানেই চোখধাঁধানো আলোর রোশনাই, আর আকর্ষনীয় সব মণ্ডপসজ্জা। পুজোর ক'টা দিন লাখো মানুষের ভিড় হয় বারাসতে। রাতভর চলে এক মণ্ডপ থেকে আর এক মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা। বারাসতের কালীপুজোর পরিচিতি জেলার গণ্ডি টপকে গোটা রাজ্যে ছড়িয়েছে।


মহাদেব ঘোষের হাত ধরে বারাসতের কালীপুজোর এই জাঁকজমকের সূচনা। মহাদেবের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরীরা সেই ধারা বহন করে চলেছেন। সেইসঙ্গে একে একে নতুন নতুন পুজো শুরু হয়েছে। ধারে-ভারে যেগুলি রীতিমতো একে অপরকে টেক্কা দেয়। যেমন এই বছর মণ্ডপসজ্জায় কোথাও দেখা যাবে হারিয়ে যাওয়া বাংলার সংস্কৃতি আবার কেউ বানাচ্ছেন ৯৯ কেজির রুপো দিয়ে তৈরি কালীমূর্তি।


বারাসতের বড় বাজেটের পুজো মানেই কেএনসি রেজিমেন্ট। আলো থেকে মণ্ডপসজ্জায় অন্যদের থেকে বরাবরই আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেন উদ্যোক্তারা। কেএনসি রেজিমেন্টের পুজো এ বার ৬০ বছরে পড়ল। এই বছর উদ্যোক্তাদের ভাবনায় কালচারাল হেরিটেজ অফ বাংলা। আগে বাংলার মানুষ পালকি, গোরুর গাড়ি, হাওদায় চড়ে যাতায়াত করতেন। হাওদা মানে হাতির পিঠে সওয়ার হওয়া। হাতি এবং পালকি সাধারণত ব্যবহার করতেন রাজা এবং জমিদারেরা। হারিয়ে যাওয়া বাংলার এই সংস্কৃতিকেই কালীপুজোর মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরেছেন উদ্যোক্তারা। ডোকরা এবং জুট দিয়ে অসাধারণ শিল্প নৈপুন্যে কালচারাল হেরিটেজ অফ বাংলা তুলে ধরেছেন শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলা।


বারাসতের পাইয়োনিয়ার অ্যাথেলেটিক ক্লাব বরাবরের মতোই এ বারেও চমক দিতে চলেছে তাদের মণ্ডপসজ্জায়। ৪৭ বছরে তাদের ভাবনা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককের একটি বুদ্ধ মন্দির। এই মন্দির থাইল্যান্ডের আদি থনবুড়ি রাজ্যের চাও ফারায়া নদীর তীরে ১৮২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। বিখ্যাত এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন থাই-চিনা ব্যবসায়ী চাও পারায়া নিকোনবোদিন। পরবর্তীতে তিনি সিয়াম রাজবংশীয় রাজা তৃতীয় রামকে দান করেন। বৃহত আকারের সোনার বুদ্ধের মুর্তি এই মন্দিরের বিশেষ আকর্ষণ। পাইয়োনিয়ারের মণ্ডপের সামনের বড় জলাশয় মন্দিরের আকর্ষণ কয়েকগুন বাড়িয়েছে।


বারাসতের মৎস্য আড়তদার সমিতির কালীপুজো এ বছর ২৮তম বর্ষে পা দিল। এখানে ৯৯ কেজি রুপোর কালীমূর্তি তৈরি হচ্ছে। বারাসতে ভিন্নধারার মণ্ডপ থেকে আলোকসজ্জায় নানা বাহার দেখা গেলেও রুপোর কালীপ্রতিমা এর আগে দেখেননি বারাসতের মানুষ। সেদিক থেকে এই বছর বড় চমক দিচ্ছে মৎস্য আড়তদার সমিতির পুজো। পুজোর ক'টা দিন ৬৫ লাখের রুপোর কালীপ্রতিমা পাহারার জন্য থাকছে আঁটসাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা। মণ্ডপসজ্জায় উদ্যোক্তাদের ভাবনা সঙ্কল্প। শিশুশ্রমিক থেকে বাল্যবিবাহের মতো মানবসমাজের বিভিন্ন খারাপ বিষয়গুলি রুখতে মানুষকে সঙ্কল্প নেওয়ার বার্তাই দিতে চাইছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।


বারাসতের সন্ধানীর কালীপুজো এ বার ৫৯ বছরে পড়ল। মণ্ডপসজ্জায় উদ্যোক্তাদের ভাবনা, এখনও আধারে। শিশুশ্রম আইনের চোখে দণ্ডনীয় অপরাধ। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সরকারি এবং বেসরকারি স্তরে লাগাতার প্রচার চলেয় কিন্তু আমাদের চারপাশে হাটেবাজারে, চায়ের দোকানে, রাস্তার ধারের হোটেলে, রেস্তোরাঁয় শিশু শ্রমিকদের হামেশাই দেখা যায়। শিশুশ্রমিকের একটা বড় অংশ কাজ করে ইটভাটায়। তাই ইট বয়ে বা চায়ের দোকানে,রেস্তোরাঁ, হোটেলে খাবারের থালা, গ্লাস মেজেই এদের শৈশব হারিয়ে যায়। পুজোর আনন্দ থেকে শিশুশ্রমিকরা থাকে শত যোজন দূরে। ছ'হাজার স্কোয়ার ফিট জুড়ে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে মানুষকে বার্তা দিতেই মণ্ডপ সাজিয়েছে সন্ধানী। চায়ের ভাড়, চামচ, টি-ব্যাগ, স্টোভের ফিতে, চা ঢালার ছাকনি দিয়েই তৈরি হচ্ছে সন্ধানীর মণ্ডপ। চন্দননগরের আলোকসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হবে শিশুশ্রমের বেদনাদায়ক চিত্র।


এ ছাড়াও বারাসতে বড় বাজেটের পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাব। ৫৩ বছরে উদ্যোক্তাদের ভাবনা হিন্দু ধর্ম। মণ্ডপসজ্জায় এক দিকে যেমন থাকছে বৃন্দাবন ধাম। অন্যদিকে থাকছে জগন্নাথের মূর্তি। মূল মণ্ডপটি গড়ে উঠছে শিবমন্দিরের আদলে।

Source: Ei Samay

Wednesday, October 18, 2017

বারাসতের কালীপুজাতে লোক টানছে মাহিষ্মতী, সূর্যমন্দির

 মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বারাসতে লোকে ইতিমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন৷ আলোকসজ্জায় পুরোপুরি তৈরি বারাসত৷ প্রথম রাউন্ডে ভিড় টানায় বাকিদের বেশ কয়েক কদম পেছনে ফেলে দিয়েছে নবপল্লি সর্বজনীন৷ তাদের থিম বাহুবলী ছবির মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদ৷ কে এন সি রেজিমেন্টের কোণার্কের সূর্যমন্দিরও লড়াইয়ে আছে৷ বারাসত নবপল্লি সর্বজনীন এ বছর ৩৮ -এ পা দিল৷ নবপল্লির মণ্ডপের সামনেই রয়েছে মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের আদলে বিশাল আকারের একটি রথ৷ ছ’টি ঘোড়া সেই রথকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷ মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের আরাধ্য দেবীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হয়েছে কালী প্রতিমা৷ রাজদরবারে প্রতিমার নীচে বসে রয়েছেন রাজমাতা শিবগামী৷ তাঁর এক পাশে রয়েছেন বাহুবলী ও দেবসেনা৷


অন্য পাশে ভল্লাল দেব ও বিজ্জল দেব৷ পায়ের কাছে কাটাপ্পা৷ মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদকে ঘিরে এ বার আগ্রহ তুঙ্গে বারাসতের৷ মঙ্গলবারের ভিড় দেখে আশায় বুক বাঁধছেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা৷ দর্শনার্থীদের আরও ঢল নামবে বলে নিশ্চিত সকলেই৷ পুজো কমিটির সম্পাদক চম্পক দাস বলেন , ‘লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় সামাল দিতে রাখা হয়েছে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী৷ এ ছাড়াও মণ্ডপের ভিতরে -বাইরে থাকবে বারো জন বাউন্সার৷ আট জন পুরুষ , চার জন মহিলা৷ ’ এর বাইরে ক্লাব সদস্যদের হাতে দেওয়া থাকবে ওয়াকিটকি৷ ভিড় সামাল দিতে আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নবপল্লি সর্বজনীন৷ পাশাপাশি ভিড়ে নজরদারি চালাতে রাখা হচ্ছে ড্রোন ক্যামেরা৷ কলোনিমোড় থেকে পুজোমণ্ডপ পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবপল্লি সর্বজনীনের পুজো উদ্বোধন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারও৷ মণ্ডপ যেহেতু রাজপ্রাসাদ , তাই বিশেষ এই অথিতিদের রথে চাপিয়ে আনা হয়৷ নবপল্লি সর্বজনীনের মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের মতোই কে এন সি রেজিমেন্টের কোনার্ক সূর্যমন্দির নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে৷ দেশীয় স্থাপত্য তুলে ধরে এ বার সকলকে চমকে দিতে প্রস্ত্তত উদ্যোক্তারা৷ ওড়িশার বঙ্গোপসাগর উপকূলে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে রয়েছে কোনারকের সূর্যমন্দির৷ রথের আকৃতিই হল মন্দিরের আসল রূপ৷ বারো জোড়া রথের চাকা -সহ সাত জোড়া ঘোড়া , প্রাচীন এই মন্দিরকে যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷


মূল মন্দিরের দেওয়ালে রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি৷ পাশাপাশি রয়েছে নর্তকী -সহ একাধিক মিথুন মূর্তি৷ কোনারকের সেই মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে কে এন সি রেজিমেন্টের পুজোমণ্ডপ৷ শিল্পী বুবু সিংহরায় জানালেন , ‘প্রবেশপথে থাকছে হাতির উপর সিংহের মূর্তি৷ সামনে থাকবে ছ’টি বড় রথের চাকা এবং ঘোড়ার মূর্তি৷’ এখানে মণ্ডপের উচ্চতা ৯০ ফুট৷ চওড়ায় ৭০ ফুট৷ পুজো কমিটির সম্পাদক তথা বারাসত পুরসভার উপপুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন , ‘বরাবর কে এন সি রেজিমেন্টের মণ্ডপ এবং ঠাকুর দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান৷ প্রশাসনের পাশাপাশি লক্ষ মানুষের ভিড় সামলাতে ২৫জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী রাখছি আমরা৷ তা ছাড়া ক্লাবের সদস্যরা তো রয়েইছেন৷ ’ ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে৷ সেলফি তোলার হিড়িকের কথা মাথায় রেখে মণ্ডপের সামনে ‘সেলফি জোন ’ রাখা হয়েছে৷ বারাসতের সাউথ ভাটরাপল্লির পুজোয় সুকুমার রায়ের আবোল তাবোলের প্রেক্ষাপটে মণ্ডপ বানানো হয়েছে৷

Source: Ei Samay

Tuesday, November 1, 2016

বারাসতে মাতৃ বন্দনায় আলো ও থিমের উত্সব

 মাতৃ রূপেন সংস্থৃতা। মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠেছে দেশ। বারাসতে মাতৃ বন্দনায় আলো ও থিমের উত্‍সব।


শতদল ক্লাব- এবারের পুজো চুয়াল্লিশ বছরে পড়ল। ঝিনুক, কাঠের গুড়ো, নারকেলের ছোবরা দিয়ে অক্ষয় ধামের আদলে তৈরি হয়েছে শতদল ক্লাবের মণ্ডব।  প্রতিমাতে ধরা পড়েছে মহামায়া থেকে কালী রূপের সৃষ্টি রহস্য।


বিদ্রোহী ক্লাব- প্লাইউড,ফাইবার, শোলা দিয়ে  সেজে উঠেছে বারাসতের বিদ্রোহী ক্লাবের মণ্ডপ। আদতে ভেলোরের মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডব। এবার পঞ্চাশ বছরে পড়ল বিদ্রোহী ক্লাবের পুজো।


সন্ধানী ক্লাব- নীরবে বন্দি শৈশব। শিশু মনের কত কথা। মনে পড়ে বড় হলে। সেইসব শৈশব স্মৃতিকে নিয়ে থিম সন্ধানী ক্লাবের। সন্ধানী ক্লাব মণ্ডব সজ্জায় উঠে এসেছে কিভাবে নেট দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে শৈশব।


Source: Zee 24 Ghanta