Showing posts with label wall painting barasat. Show all posts
Showing posts with label wall painting barasat. Show all posts

Monday, April 13, 2020

বারাসতের দেওয়াল জুড়ে আঁকিবুঁকিতে করোনা সচেতনতা বার্তা

করোনা ভাইরাস থাবা না বসালে রাজ্যে এতদিনে পুরভোটের ডঙ্কা বেজে যাওয়ার কথা ছিল। মাস দেড়েক আগে থেকেই পাড়ায় পাড়ায় চুন দিয়ে দেওয়াল রং করার কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার আঁচে পুড়েছে ভোটের কপাল। তাই দেওয়ালগুলি সাদাই পড়ে ছিল। এবার ভোট প্রচারের সেই সাদা ক্যানভাসে রং,তুলির টানে মানুষকে ঘরে থাকার বার্তা দিতে নামল ছাত্র-যুবরা।


লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় ভিড়ের ছবি রোজ দেখা যাচ্ছে রাজ্যে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কোথাও পাড়ার মোড়ে আড্ডা, কোথাও চায়ের দোকানে ভিড়। সকাল হতেই ব্যাগ হাতে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বাজারে। পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরছে না মানুষের। এবার তাই রং তুলি হাতে ময়দানে নামল ছাত্র যুবরা। রবিবার থেকে বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করল ইয়াং জেনারেশন অফ বারাসত নামে ছাত্র যুবদের একটি সামাজিক সংগঠন। দেওয়ালে কার্টুন এঁকে বাসিন্দাদের সচেতন করছেন তাঁরা।


লকডাউন চালু হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মিম ভাইরাল হয়েছে। তাদেরই কয়েকটি নিয়ে মজাদার কার্টুন আঁকছে এই ছাত্র যুবরা। এই মিমগুলির মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হয়েছিল চা কাকু। বারাসতের রথতলা মোড়ের কাছে একটি দেওয়ালে সেই চা-কাকুকেই প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে ওই ছাত্ররা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চা কাকু বলছেন, “আমরা চা খাব না?” উত্তরে একজন বলছেন, “চা খাবেন, কিন্তু বাড়ি থেকে বেরবেন না।” এছাড়া ‘স্টে হোম, স্টে সেফ’ -এর বার্তাও দেওয়া হচ্ছে এই দেওয়াল লিখনে।


ইয়ং জেনারেশন অফ বারাসতের তরফে সোহম পাল বলেন, “আমাদের এই অরাজনৈতিক সংগঠনে প্রায় দু’শোর উপর সদস্য রয়েছে। দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি তারা প্রত্যেকে এলাকায় এলাকায় ঘুরে সার্ভে করছে। এবং প্রকৃত অর্থে যারা এই লকডাউনে খাদ্যসংকটে ভুগছেন, তাদের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। চাল, ডাল, ওষুধ, বেবিফুড, যার যেমন প্রয়োজন সে অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে।”

Source: Sanbad Pratidin

Sunday, January 12, 2020

বারাসতের স্টেশনের দেওয়াল বাঁচাতে ছবিতে সাজ

স্টেশনের দেওয়ালগুলি মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করে রং করা হত। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই ফের নোংরা হত গুটখা আর পানের পিকে। বিজ্ঞাপনের পোস্টারে বিসদৃশ হয়ে থাকত দেওয়ালও। এ বার সে সবই পরিষ্কার করে ছবি আঁকা হচ্ছে স্টেশনের দেওয়ালে। ভরে উঠছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি, মাদার টেরিজা, ট্রাম, পুরনো কলকাতার চালচিত্রে। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বারাসত জংশনে রেলের দেওয়ালে ছবি আঁকার পর্ব প্রায় শেষের পথে।


দেওয়াল সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি বাংলা তথা দেশের পুরনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যও এই প্রয়াস, দাবি পূর্ব রেলের। এমনই একটি দেওয়ালে ছবি আঁকছিলেন রাজারহাটের জামালপাড়ার বাসিন্দা দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘ছবিগুলি দেখে নতুন প্রজন্মও এ শহর, এ দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহী হবে। তাই সে সব নিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’’ অন্য এক শিল্পী সুশান্ত সরকার বলেন, ‘‘মূর্তি ভাঙা বা সৃষ্টিশীল জিনিসকে ধ্বংস করার প্রতিযোগিতা চলছে চারদিকে। সেই পরিস্থিতিতে দেওয়ালে ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলার এমন কাজ পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষ সকলের পক্ষেই সুন্দর বার্তা দেবে।’’


রেলের এই ভাবনার প্রশংসা করেছেন নিত্যযাত্রী থেকে বারাসতের বাসিন্দাদের বড় অংশ। বারাসত কলেজের পড়ুয়া রাজা দাসের দাবি, ‘‘ফাঁকা দেওয়াল দেখলেই গুটখা কিংবা পানের পিক ফেলে নোংরা করেন মানুষ। ছবি আঁকা দেওয়াল দেখে নিশ্চয়ই সেই প্রবণতা কমবে।’’ 


পূর্ব রেল সূত্রের খবর, সচেতন ভাবেই ছবিগুলির মধ্যে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন মনীষী, প্রকৃতি, বাউল এবং সাঁওতাল লোকনৃত্য, পুরনো কলকাতা, শহরের দর্শনীয় স্থান। নজর দেওয়া হয়েছে, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের উপরেও। ছবি এঁকে এ ভাবে স্টেশনের দেওয়াল সাজিয়ে তুলতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল।


পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রেলযাত্রীরা যেন চোখের আরাম পান, সেই ভাবনা থেকে এই উদ্যোগ। পরীক্ষামূলক ভাবে এটা বারাসতে করা হল। ধীরে ধীরে অন্য স্টেশনগুলিতেও এমন কিছু করার ভাবনা রয়েছে।’’

Source: Ananda Bazar