একটা ব্রিজ চাইছে বারাসত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন এই একটি ব্রিজই দিতে পারে আপাত স্বস্তি। অন্তত জেলা সদর শহরকে কিছুটা যানজটের হাত থেকে বাঁচাতে পারে একটি চওড়া ব্রিজ। বারাসত চাঁপাডালি মোড় থেকে পূর্ব দিকে এগোলেই তিতুমীর বাস স্ট্যান্ডে ঢোকার পথ, মাছ বাজার, তারপর জেলা সদর হাসপাতাল, তারপর কাজীপাড়া রেলগেট আর এই জগদীঘাটা ব্রিজ। বনগাঁ, হাবরার মত শহরের সঙ্গে জেলা সদর ও কলকাতার যোগাযোগের সহজতম পথ হল যশোর রোড।যাকে ৩৫ নং জাতীয় সড়ক বলে জানেন লোকে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের জন্য এই যশোর রোড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কলকাতা শহর বা বারাসাত হয়ে গাড়িগুলি বনগাঁর দিকে এগোতে গেলে এই অপরিসর ব্রিজ হয়ে উঠছে প্রধান সমস্যা। দুই দিক থেকে বাস, ট্রাক, অটো, টোটো এসে জট পাকিয়ে যায় এখানে। এমনিতেই বারাসত চাঁপাডালি মোড় একপ্রকার পাকদন্ডির মত। সামান্য দূরত্বে বেশ কয়েকটি মোড় আর রাস্তার সংযোস্থল হওয়ায় যানজট অতি স্বাভাবিক ঘটনা। তার উপর এই কাজীপাড়া ব্রিজের কারনে যানজটে নাজেহাল সাধারন মানুষ।
আর কাজীপাড়া ব্রিজের জটের রেশ গিয়ে পড়ে সারা শহরে। এই ১০ মিনিটের পথ পাড় হতে তখন সময় লেগে যায় এক ঘন্টা, দাবি এই পথের অটো চালক তারক হাজরার। ছোটবেলা থেকেই এই সরু ব্রিজ চওড়া হবে শুনে আসছেন এনতিয়াজ আলি। কাজীপাড়ার বাসিন্দা এনতিয়াজের দাবি এই ব্রিজের দু’ধারের দোকানগুলি সরানোই ব্রিজ চওড়া হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা। সেই ছোট্ট কাজীপাড়া ব্রিজই এখন শহরের যানজটের অন্যতম সমস্যা। আ্যাম্বুলেন্স হোক আর যাত্রী বোঝাই বাস হোক, নিস্তার নেই কারও। সকালে অফিস টাইম আর সন্ধ্যায় এই পথ সব যাত্রীদের যাতায়াত বিরক্তিকর ও বিপদজনক।
ছোটখাটো দূর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে মত এই পথের যাত্রীদের। বারাসত পুরসভার পুর প্রশাসক সুনীল মুখার্জি র অভিযোগ গত ১০ বছরে বারবার ন্যাশানাল হাইওয়ের অথরিটিকে বারবার বলা হয়েছে কাজীপাড়া ব্রিজ চওড়া করতে। পুরপ্রশাসকের আক্ষেপ, বারবার বলা সত্বেও সমাধান হয়নি এই ব্রিজের সমস্যার।
Source: News 18