Showing posts with label prince of football maradona at barasat. Show all posts
Showing posts with label prince of football maradona at barasat. Show all posts

Friday, November 27, 2020

ফুটবলের রাজপুত্র, স্টেডিয়াম আর এক রাশ স্মৃতি বারাসতের কাছে

ফুটবল পাগল বাঙালির কাছে দিয়েগো মারাদোনা যেন ঈশ্বরসম। তাঁর সময়ে তাঁকে ছোঁয়া, দেখা, স্পর্শ করা সবই ছিল বাঙালির কাছে কল্পনা, অবাস্তব ভাবনা। উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসতের মানুষের সেই কল্পনা বাস্তব হল, ২০১৭ সালে শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের উদ্যোগে। একটি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে মারাদোনা উপস্থিত হলেন বারাসতে। ‘হ্যান্ড অব গড’-এর মালিক তখন হাতের নাগালে। মারাদোনা আজ শুধুই স্মৃতিতে। বারাসত স্কুলের সেই স্টেডিয়ামে রয়ে গিয়েছে সে দিনের স্মৃতি।


স্কুলের চেয়ারম্যান অনির্বাণ আদিত্য বলেন, “মারাদোনা আসার দিন বেশ কয়েকবার পাল্টে যায় তাঁর অসুস্থতার কারণে। কিন্তু আচমকা যখন দিন ঠিক হল, আমরা চার মাসের মধ্যে গোটা স্টেডিয়ামটা তৈরি করে ফেলেছিলাম। দিয়াগো ভার্সেস দাদা (সৌরভ গাঙ্গুলি) একটি ম্যাচ রাখা হয়েছিল অনুষ্ঠানের দিন। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তিনি ম্যাচটা খেলতে পারেননি। আর তারপরই হঠাৎ তিনি স্কুলের ছেলে মেয়েদের নিয়ে একটি ফুটবল ওয়ার্কশপ শুরু করে দেন।” বাংলাতে মেয়েরা ফুটবলে এই ভাবে অংশ নেয় তা দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন মারাদোনা। সে দিন তাঁর কাছ থেকে ফুটবলের ট্রেনিং পাওয়া এক ছাত্রী অদিতি রায় বলেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান যে এত মানুষের মধ্যে ওনার সঙ্গে  ফুটবলে পা মেলাতে পেরেছিলাম।” অন্য এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র দীপ্তক বিদ্যার্থী বলেন, ‘‘মারাদোনা আমাদের অনুপ্রেরণা। তাঁর দর্শন মানে ঈশ্বরের দর্শন।’’ স্কুলের প্রিন্সিপাল পারমিতা ঘোষাল বলেন, “সে দিনের স্মৃতি বারবার মনে পড়ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত ফুটবলার শ্যাম থাপা,  দীপেন্দু বিশ্বাস, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মনোজ তিওয়ারির মতো বিখ্যাত খেলোয়াড়।’’ 


সেই দিন মারাদোনার সঙ্গে মাঠের পর ওঁর হোটেলের ঘরে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলেন ফুটবলার ও বিধায়ক দিপেন্দু বিশ্বাস। তার সঙ্গে ভারতীয় ফুটবল, ডার্বি, দর্শক এই সব নিয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ফুটবলের ঈশ্বর মারাদোনার বাঁ পা আমি হাত দিয়ে ধরতে পেরেছি সেই দিন। এটা আমার সারা জীবনের বড় স্মৃতি।’’


একটা স্কুলের অনুষ্ঠানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন। বারাসাত টাকি রোড জুড়ে ছিল মানুষের ভিড়। যাঁরা কাছে পৌঁছতে পারেননি, তাঁদের দূর থেকে দেখেই আশ মেটাতে হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহম্মদ আলি বলেন, ‘‘গাড়ির মধ্যে থেকে হাত নাড়তে নাড়তে চলে গিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র।’’


Source: Ananda Bazar