ঘরে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষকে সাক্ষী রেখে দ্বিতীয়বার বিবাহ সারলেন বারাসতের (Barasat) এক রাজনৈতিক কর্মী। বাধা দেওয়া তো দূর, লকডাউনের (Lockdown) নিয়ম মেনে ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু মানুষ শামিলও হন সেই বিয়েতে। কারণ, পাত্রী যে ‘করোনা’। ব্যাপারটা কী?
করোনা (Corona Virus) আতঙ্কে কাঁটা প্রত্যেকে। স্রেফ ভয় থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ অমানবিক আচরণ করছেন করোনা রোগী ও করোনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। কোথাও বাড়ি ছাড়া করা হচ্ছে আক্রান্তদের। কোথাও একঘরে করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে রোগীকে দূরে সরিয়ে রেখে তো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, এটাই সকলকে বোঝাতে চেয়েছিলেন বারাসাতের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব কালী রুদ্র। চেয়েছিলেন অভিনব কিছু করতে। আর সেই কারণেই ‘করোনা’কে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।
নির্দিষ্ট সময়ে বর বেশে বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী রেখে করোনা ভাইরাসের রূপক এক মূর্তিকে মালা পরিয়ে দেন ওই বৃদ্ধ। বেলপাতা ও মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিবাহের আচার। তাঁর কথায়, “রোগকে আটকাতে হবে। রোগীকে দূরে সরিয়ে, সমাজ ছাড়া করে কোনওদিনও রোগের মোকাবিলা সম্ভব নয়। এটাই সকলকে বোঝাতে চাই।” কালীবাবুর এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছে বারাসতের বনমালীপুরে। অনেকেই বুঝতে শুরু করেছেন। নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।
Source: Sanbadpratidin