Showing posts with label corona situation. Show all posts
Showing posts with label corona situation. Show all posts

Friday, November 27, 2020

বারাসতে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরাও পাবেন সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা

 অনেকেই এখন হোম আইসোলেশনে থেকে করোনার সঙ্গে লড়ছেন। বারাসত পুরসভা এলাকায় এ বার সেই রকম রোগীরাও সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার বারাসত পুরসভায় বৈঠক হয়। কী ভাবে এই পরিষেবা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। গোটা রাজ্যেই এমন পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।


বারাসতের মুখ্য পৌর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের মতে, অনেক সময় করোনা টেস্ট পজিটিভ এলেও সে খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছচ্ছে না বা দেরিতে পৌঁছচ্ছে। ভীতি বা আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে অনেকে বাড়িতে থাকতে চাইছেন। তাই যাতে মানুষ ভীত না হন এবং বাড়িতে বসেই করোনার সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা পান, সে জন্যই এই উদ্যোগ।


হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের টেলিফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা চালানো হবে। যদি অবস্থার অবনতি হয় তবে তাঁদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।


বুধবারের বৈঠকে সুনীল ছাড়াও ছিলেন বারাসতের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা তাপস রায় এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বারাসত শাখার প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ সাহা এবং জেলার কোভিড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বিবর্তন সাহা।


Source: Ananda Bazar

Wednesday, August 5, 2020

পাত্রী ‘করোনা’, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন এই বৃদ্ধ!

 ঘরে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষকে সাক্ষী রেখে দ্বিতীয়বার বিবাহ সারলেন বারাসতের (Barasat) এক রাজনৈতিক কর্মী। বাধা দেওয়া তো দূর, লকডাউনের (Lockdown) নিয়ম মেনে ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু মানুষ শামিলও হন সেই বিয়েতে। কারণ, পাত্রী যে ‘করোনা’। ব্যাপারটা কী?



করোনা (Corona Virus) আতঙ্কে কাঁটা প্রত্যেকে। স্রেফ ভয় থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ অমানবিক আচরণ করছেন করোনা রোগী ও করোনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। কোথাও বাড়ি ছাড়া করা হচ্ছে আক্রান্তদের। কোথাও একঘরে করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে রোগীকে দূরে সরিয়ে রেখে তো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, এটাই সকলকে বোঝাতে চেয়েছিলেন বারাসাতের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব কালী রুদ্র। চেয়েছিলেন অভিনব কিছু করতে। আর সেই কারণেই ‘করোনা’কে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।


নির্দিষ্ট সময়ে বর বেশে বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী রেখে করোনা ভাইরাসের রূপক এক মূর্তিকে মালা পরিয়ে দেন ওই বৃদ্ধ। বেলপাতা ও মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিবাহের আচার। তাঁর কথায়, “রোগকে আটকাতে হবে। রোগীকে দূরে সরিয়ে, সমাজ ছাড়া করে কোনওদিনও রোগের মোকাবিলা সম্ভব নয়। এটাই সকলকে বোঝাতে চাই।” কালীবাবুর এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছে বারাসতের বনমালীপুরে। অনেকেই বুঝতে শুরু করেছেন। নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।

Source: Sanbadpratidin

Sunday, July 26, 2020

লকডাউনের জের, বারাসতে উচ্চমাধ্যমিক মার্কশিট প্রদান নিয়ে ধোঁয়াশা

সাতদিনের লকডাউনে বারাসাতের উচ্চমাধ্যমিক মার্কশিট প্রদান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে। ৩১ তারিখ উচ্চমাধ্যমিকের জন্য নির্দিষ্ট স্কুলের ক্যাম্প অফিস থেকে স্কুলগুলিকে উচ্চ- মাধ্যমিকের মার্কশিট দেওয়ার কথা।


অথচ সেদিনও লক ডাউন থাকছে বারাসাত পৌরসভা এলাকা জুড়ে। যেকারণে সময়মত মার্কশিট দেওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে। বারাসাতের অধিকাংশ স্কুলই মার্কশিট সঠিক সময়ে দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বারাসাত পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান সুনীল মুখার্জী জানিয়েছেন, স্কুলগুলি যেন ক্যাম্প অফিস থেকে উচ্চমাধমিকের মার্কশিট সুষ্ঠ ভাবে তুলতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করা হবে। এবং এক্ষেত্রে ক্যাম্প অফিস থেকে মার্কসিট দেওয়ার জন্য লক ডাউনের নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞায় থাকছে না।


Source: OneIndia 


Monday, July 20, 2020

বারাসত হাসপাতালে নতুন কন্ট্রোল রুম

 এই রাজ্যে সম্প্রতি চিকিৎসা না পেয়ে করোনা আক্রান্ত একাধিক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সেই কথা মাথায় রেখে এ বার করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুবিধার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নতুন করে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা হল। মূলত করোনা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর। 


উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা পরিস্থিতির উপরে নজরদারি রাখতেই ১৫ জন চিকিৎসক ও কর্মী নিয়ে শুরু হল করোনা কন্ট্রোল রুম। প্রশাসন সূত্রে খবর, বারাসত হাসপাতালের পুরনো ব্লাড ব্যাঙ্কটিকে কন্ট্রোল রুম হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে এই কন্ট্রোল রুম চালু হচ্ছে।


জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই কন্ট্রোল রুমে তিনটি শিফটে এক জন করে মেডিক্যাল অফিসার এবং এক জন করে চিকিৎসক থাকবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং এই জেলার করোনা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যার উপরে নজর রাখা হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও খবর, মূলত উপসর্গহীন রোগীদের ঘরে থাকতেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পজ়িটিভ হয়েছে এই আতঙ্কে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে অনেকের। সেই কারণেই জেলার করোনা পজ়িটিভ রোগী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখা হবে এই কন্ট্রোল রুম থেকে। প্রয়োজনে তাঁদের কাউন্সেলিং করা হবে। করোনা ভীতি কাটিয়ে কী ভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে কন্ট্রোল রুমে থাকা চিকিৎসক সবই বুঝিয়ে দেবেন।


প্রশাসন সূত্রের আরও খবর, জেলার কোন কোভিড হাসপাতালে কত শয্যা রয়েছে, তার কতগুলি ফাঁকা হল, সবই এই কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেডিক্যাল অফিসার হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়াও গোটা জেলার করোনা রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য মোট ২১টি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ব্যবস্থাও থাকছে।


রবিবার এ বিষয়ে বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলার করোনা আক্রান্ত মানুষের জন্যই এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও রাখা হয়েছে। কখনও কোনও সমস্যা বা অসুবিধা হলে কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানালে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’


এ দিন বারাসত এবং মধ্যমগ্রামে কড়া পুলিশি পাহারা ছিল। লকডাউন মেনে দুপুর ১টার পর থেকে বন্ধ ছিল সমস্ত দোকানপাট। এ দিন রাস্তায় মাস্ক না পরে বার হওয়া মানুষের সংখ্যাও ছিল অন্য দিনের তুলনায় কম। পুলিশ জানিয়েছে, কড়া নজরদারি চলবে। কোনও সমস্যা হলে হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Source: Anandabazar


Thursday, June 25, 2020

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেখতে এসেছিলেন এই রথের মেলা ! করোনার জন্য বন্ধ বারাসতের রথের মেলা

 রথের মেলাকে ঘিরেই জায়গাটার নাম হয়েছে রথতলা। নকশাল অন্দোলনের পর থেকেই আর রথ টানা হয় না এই রথতলায়। উত্তর ২৪ পরগনার প্রাচীন তম রথের মেলার একটি বারাসতের রথতলা। এই প্রাচীন মেলার মাঠে গতকয়েক বছর ধরে  আসে রথ। তবে রথতলা থেকে প্রথা মেনে আর রথে যাত্রা হয় না। নবীন প্রজন্ম রথ ছাড়া রথের মেলা মানতে নারাজ ছিল। তারাই স্থানীয় জগবন্ধু আশ্রমের দারস্থ হন। জগন্নাথের পূজারীরা যে  রথ বের করেন জগবন্ধু আশ্রম থেকে, সেই রথকে নিয়ে আসা হবে বারাসাত রথতলাতে। তবে মাঠে মেলা বসে। সময়ের সঙ্গে মাঠের জায়গাও ছোট হয়েছে। তাই জগবন্ধু আশ্রম থেকে নিয়ে আসা রথ রাখা হবে কোথায়?


মুকুল চ্যাটার্জী, মেলা আয়োজক জানান, সবাই মিলে ঠিক হয় কাছে জোড়া শিব মন্দিরে সামনে রাখা হবে রথ।জোড়া মন্দিরে রাখা রথই গত কয়েক বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছে। আর এবার করোনার প্রকোপের জেরেই সেই রথ ও এল না রথতলায়।এই মেলায় পাঁপড়, বাদাম আর খেলনার জিনিসের পাশাপাশি নানা ধরনের গাছ বিক্রি হল অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এক সময় এই রথের মেলায় উল্টো রথের শেষ দিন হত বৌ মেলা।ঐতিহ্যের সেই মেলায় পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।কিন্তুু বর্তমান সময় গাছ বিক্রি ও কেনাতেই ছিল শহর তথা জেলার মানুষের কাছে আসল আকর্ষণ। এবছর করোনার প্রকোপে রথতলার মেলার আয়োজকরা মেলা বন্ধ রেখেছে।আমফান ঝড়ের পর গাছ পড়েছে বহু।কিন্তুু গাছ কিনে বসানোর সেই বাসনা থেকে শহর বাসি বঞ্চিত রইল এবার।মেলার আয়োজক মুকুল চ্যাটার্জী এদিন জানান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এক সময় এই মেলায় এসে পূজা দিয়ে গিয়েছেন। এমন ঐতিহ্য মেলা এবার বসল না। আর ভরা বর্ষাতে গাছ বেঁচে দু পয়সা দেখল না বিক্রেতা।সবচেয়ে বড় কথা এই মেলার গাছেই গৃহস্থের উঠান সবুজ হয়।পরিবেশ তরতাজা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা মগরা থেকে আসা গাছ বিক্রেতা পরিতোষ মন্ডলের কথায়, মহাজন থেকে গাছ তো দিন ১৫ আগেই কিনেছেন এই মেলার জন্য। মেলা বন্ধে তাদের মাথায় হাত।মহাজন তো আর গাছ ফিরিয়ে নেবে না। সব লস শুধুই তার।


Source: News18

Saturday, May 16, 2020

বারাসত হাসপাতালে কোয়ারানটাইন ওয়ার্ড

 ৭০ শয্যার কোয়ারানটাইন ওয়ার্ড, দশ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে তৈরি বারাসত সদর হাসপাতাল। দমদম বিমানবন্দরে কোনও যাত্রীকে দেখে চিকিৎসকদের যদি সন্দেহ হয়, এরপর তাঁকে সটান পাঠিয়ে দেওয়া হবে এই বারাসত হাসপাতালে। হাসপাতালের কোয়ারানটাইন ওয়ার্ডে রেখে চলবে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণ। কারও শরীরে যদি দেখা যায় বাসা বেধেছে করোনাভাইরাস, তবে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চলবে চিকিৎসা।


সরকারের নির্দেশ পেতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কোয়রানটাইন ওয়ার্ড ও আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করেছেন বারাসত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, 'রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখানে কেউ ভর্তি হয়নি। তবে আমরা প্রস্তুত।'


বারাসত হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের ঠিক উল্টো দিকেই হয়েছে কোয়ারানটাইন ওয়ার্ড। শুক্রবার বিকেলেই জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ওয়ার্ডটি ঘুরে দেখেন। ওয়ার্ডে একসঙ্গে ৭০ জনকে পর্যবেক্ষণে করা যাবে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা যদি মনে করেন কাউকে পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার, সেক্ষেত্রে বারাসত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ জন্য আলাদা বাসও থাকবে। ১৪ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ চলবে। কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলে, সেই রোগীকে নিয়ে আসা হবে আইসোলেশন সেন্টারে।


আইসোলেশন সেন্টারটি দশ শয্যার। পাঁচটি পুরুষ, বাকি পাঁচটি মহিলাদের জন্য। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা ঘর থাকছে। আইসোলেশন সেন্টারে দু'টি ভেন্টিলেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারও শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে কলকাতার আইডি হাসপাতালে পাঠানো হবে।


করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে কুড়ি জনের একটি চিকিৎসকদের দল গড়া হয়েছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস, গাউন, ক্যাপ, অ্যাপ্রন, শু-কভার আনা হয়েছে।


শুধু বারাসত নয়, বনগাঁ হাসপাতালেও তোড়জোর শুরু হয়েছে। বনগাঁ হাসপাতালে সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো জানিয়েছেন, হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসকদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতালে চারটি বেডের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। দু'টি বেড পুরুষদের, বাকি দু'টি বেড মহিলাদের। ভেন্টিলেশনের আলাদা করে কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে প্রয়োজন হলে হাসপাতালে থাকা ভেন্টিলেশনের সাপোর্ট নেওয়া হবে।


হাবরা হাসপাতালে অবশ্য এই ধরনের কোনও আইসোলেশন সেন্টার করা হয়নি। হাবরা হাসপাতালের সুপার শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, 'আউটডোর করেন এমন ১১ জন চিকিৎসককে এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।'


জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, 'জেলায় বারাসত হাসপাতাল, ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতাল, বনগাঁ এবং বিধাননগর হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।'


Source: Ei Samay

Thursday, April 30, 2020

করোনার আতঙ্কে বন্ধ করা হল বারাসতের ওষুধের পাইকারি বাজার

করোনার আতঙ্কে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সবচেয়ে বড় ওষুধের পাইকারি মার্কেট  বন্ধ করা হল। বারাসতে পঞ্চানন মার্কেট  নামে এই বাজারে হোলসেল ওষুধ বিক্রির জন্য বিখ্যাত। এই মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর গত কয়েক দিন ধরে জ্বর ও কাশী হয়।ওষুধ খেয়েও জ্বর না কমায়, তাঁকে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠায় প্রশাসন।বারাসত স্টেশনের এক নং প্লাটফর্ম থেকে বেড় হলেই এই ওষুধের পাইকারি বাজার পড়ে।স্টেশন থেকে হরিতলা মোড়ের দিকে আসার রাস্তায় বাম দিকে পঞ্চানন মার্কেট।


বাজারে ঢোকার রাস্তা এতটাই সরু যে দুজন পাশাপাশি যাওয়া দূস্কর।আর সিঁড়ি ধরে বাজারের উপরে উঠলে গায়ে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করা ছাড়া উপায় নেই।ঘিঞ্জী বাজারে স্যোশাল ডিসটেন্সিং এক প্রকার অসম্ভব ছিল।লক ডাউনের শুরু থেকে ব্যবসাদার ও প্রশাসনের মাথা ব্যাথা ছিল এই বাজার। কারন  করোন থাবা থেকে এই পাইকারি ওষুধের বাজারকে  মুক্ত রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ করোনা ভাইরাস তখনও বারাসত শহরে মাথা চাড়া দেয়নি৷প্রশাসনের নির্দেশ মত সকল খরিদারকে চাহিদা মত ওষুধের ফর্দ বানিয়ে বাজারের বাইরে থেকে দোকানদারকে ওর্ডার দিয়ে দিতে হবে।তারপর রাস্তার ধারে অপেক্ষা করতে হবে।রাস্তাতেই দোকানের কর্মীরা ওষুধ ডেলিভারি করে যাচ্ছিল।কিন্ডু এই ঘিঞ্জি বাজারে প্রতিদিন হাজার খানেক লোক জড় হচ্ছিল ওষুধ নিতে।


এই এলাকার বাসিন্দা সৌমদ্বীপ ঘোষের অভিযোগ একদিকে বারাসাতের বড় বাজার আর একদিকে পঞ্চানন মার্কেট। সারা জেলার ওষুধ এখান থেকে যায়।ফলে তাদের বরাবরের  আশংকা ছিল প্রচন্ড ছোয়াছে করোনা যে কোন সময় এই এলাকায় কড়া নারবে।প্রশাসন এই বাজার বিল্ডিং এর গঠন জানত তারপরেও কি করে এমন একটা ঘিঞ্জি বাজারকে চালাবার অনুমতি দিল তা তার বোধগম্য হচ্ছে না।বারাসত শহরের ওষুধের খুচরো ব্যবসাদারের মৃনাল বিশ্বাস এদিন বলেন লকডাউনের কারনে বেশ কিছু ওষুধের যোগানের সমস্যা রয়েছে। তার উপর পাইকারি বাজার বন্ধ হওয়াতে আরও সমস্যা বাড়বে।তবে জেলার বড় শহরগুলিতে ওষুধ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটারদের সরবরাহ থাকাটা একটা স্বস্তি। তবে গ্রামীণ এলাকায় ওষুধের যোগানের উপর প্রভাব পড়বেই পঞ্চানন মার্কেট বন্ধের।  আজ সকাল থেকে বাজার বন্ধের কথা জানায় ব্যবসায়ীরা।ব্যবসাদার সুত্রে জানা গেছে সাময়িকভাবে এই বাজার বন্ধ রাখা হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর করোনা টেস্ট রিপোর্ট দেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাজার ব্যবসায়িক কমিটির সভাপতি সুনীল দেবনাথ।তার দাবী আগামীকাল শুক্রবার বাজারে স্প্রে করে জীবানুমুক্ত করা হবে।

Source: News 18


Monday, April 13, 2020

বারাসতের দেওয়াল জুড়ে আঁকিবুঁকিতে করোনা সচেতনতা বার্তা

করোনা ভাইরাস থাবা না বসালে রাজ্যে এতদিনে পুরভোটের ডঙ্কা বেজে যাওয়ার কথা ছিল। মাস দেড়েক আগে থেকেই পাড়ায় পাড়ায় চুন দিয়ে দেওয়াল রং করার কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার আঁচে পুড়েছে ভোটের কপাল। তাই দেওয়ালগুলি সাদাই পড়ে ছিল। এবার ভোট প্রচারের সেই সাদা ক্যানভাসে রং,তুলির টানে মানুষকে ঘরে থাকার বার্তা দিতে নামল ছাত্র-যুবরা।


লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় ভিড়ের ছবি রোজ দেখা যাচ্ছে রাজ্যে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কোথাও পাড়ার মোড়ে আড্ডা, কোথাও চায়ের দোকানে ভিড়। সকাল হতেই ব্যাগ হাতে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বাজারে। পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরছে না মানুষের। এবার তাই রং তুলি হাতে ময়দানে নামল ছাত্র যুবরা। রবিবার থেকে বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করল ইয়াং জেনারেশন অফ বারাসত নামে ছাত্র যুবদের একটি সামাজিক সংগঠন। দেওয়ালে কার্টুন এঁকে বাসিন্দাদের সচেতন করছেন তাঁরা।


লকডাউন চালু হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মিম ভাইরাল হয়েছে। তাদেরই কয়েকটি নিয়ে মজাদার কার্টুন আঁকছে এই ছাত্র যুবরা। এই মিমগুলির মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হয়েছিল চা কাকু। বারাসতের রথতলা মোড়ের কাছে একটি দেওয়ালে সেই চা-কাকুকেই প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে ওই ছাত্ররা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চা কাকু বলছেন, “আমরা চা খাব না?” উত্তরে একজন বলছেন, “চা খাবেন, কিন্তু বাড়ি থেকে বেরবেন না।” এছাড়া ‘স্টে হোম, স্টে সেফ’ -এর বার্তাও দেওয়া হচ্ছে এই দেওয়াল লিখনে।


ইয়ং জেনারেশন অফ বারাসতের তরফে সোহম পাল বলেন, “আমাদের এই অরাজনৈতিক সংগঠনে প্রায় দু’শোর উপর সদস্য রয়েছে। দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি তারা প্রত্যেকে এলাকায় এলাকায় ঘুরে সার্ভে করছে। এবং প্রকৃত অর্থে যারা এই লকডাউনে খাদ্যসংকটে ভুগছেন, তাদের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। চাল, ডাল, ওষুধ, বেবিফুড, যার যেমন প্রয়োজন সে অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে।”

Source: Sanbad Pratidin

Sunday, April 5, 2020

করোনা মোকাবিলায় মুরগি বিলি বারাসতে

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। মানুষ ঘরবন্দি। কাজকর্ম সব শিকেয় উঠেছে। সবচেয়ে বিপদ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজনের। ভবঘুরেদের অবস্থা তো কহতব্য নয়। এ অবস্থায় অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেন্দ্র বা রাজ্যের তহবিলে অর্থ দান করছেন, কেউ দিচ্ছেন চাল-ডাল। বারাসতের ন’পাড়ার দাস পরিবারও সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। তবে চাল-ডাল দিয়ে নয়, দুঃস্থদের হাতে তুলে দিচ্ছে একটি করে জ্যান্ত মুরগি।


কিন্তু হঠাৎ জ্যান্ত মুরগি বিলি কেন? দাস বাড়ির ছেলে তুহিন বললেন, ‘করোনা মোকাবিলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকাটা জরুরি। নিয়মিত প্রোটিন খাওয়া দরকার। লোকে চাল-ডাল দিচ্ছে। গরিবদের পেট ভরছে। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কি গড়ে উঠছে? না। তবে ওদের করোনা হলে কী হবে? তাই এই ব্যবস্থা।’


যেমন ভাবা তেমন কাজ। বারাসতের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুঃস্থ পরিবারগুলির বাড়ি বাড়ি গিয়ে দাস পরিবারের দুই ছেলে তুহিন ও সজল মুরগি বিলি করে দিয়ে এসেছেন। এমন সাহায্য পেয়ে অনেকেই অবাক। তখন তুহিন-সজল সবাইকে বুঝিয়ে বলছেন, যে চাল-ডাল শুধু নয়, মুরগিকেও ত্রাণ হিসেবে যেন গ্রহণ করেন সকলে। এমন ত্রাণ পেয়ে যারপরনাই খুশি সকলে। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা হরিগোপাল সাঁতরা বললেন, ‘ওরা যে এ ভাবে ভেবেছে, সে জন্য ধন্যবাদ। সত্যিই আমাদের পুষ্টিকর খাওয়ার জোটে না। রোগ হলে সহজে সেরে উঠব না। আর করোনা হলে তো কথাই নেই। দাস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে আমার কুর্নিশ।’


বারাসতের ন’পাড়ার দাস পরিবার বেশ সম্পন্ন। প্রতি বছর ধুমধাম করে বাসন্তী পুজো করে দাসেরা। এ বছর লকডাউনের জেরে পুজোয় কাটছাট করতে হয়েছে অনেকটাই। নমো নমো করে সারতে হয়েছে পুজো। পুজোর যে বাজেট ধরা হয়েছিল, তার অনেকটাই রয়ে গিয়েছিল। সেই টাকাটা বিপদের দিনে আর্তের সেবায় কাজে লাগানো হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু কী ভাবে? পরিবারের কেউ বলেন, থোক টাকাটা ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হোক। কেউ বলেন, স্থানীয় গরিব মানুষদের চাল-ডাল দেওয়া হোক। কারও মত ছিল, খিচুড়ি রান্না করে কয়েক দিন খাওয়ানো হলেই ভালো হয়। এমন নানা মতের মধ্য উঠে আসে মুরগির কথা। সকলেই একবাক্যে রাজি হয়ে যান।


বাড়ির নবীন সদস্য তুহিন আর সজলের উপর পড়ে মুরগি বণ্টনের দায়িত্ব। দু’জনেই সানন্দে রাজি হয়ে যান। স্থানীয় একটি পোলট্রি থেকে একশোটি মুরগি কেনা হয়। তবে শুধু মুরগিই নয়, দেওয়া হয় চাল-ডাল-নুন-তেলও। সজল-তুহিনরা জানালেন, বাড়ির বড়দের তেমনই নির্দেশ ছিল। মুরগি বিলির ফাঁকে সজল বললেন, ‘আসলে প্রতিবছর বাসন্তী পুজোয় অনেক লোক নিমন্ত্রিত থাকে। এ বছর পুজো ছাড়া সে সব আর হয়নি। তাই এত কিছু করে উঠতে পারলাম।’


মুরগি বিলির সময় সরকারি নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন সজল-তুহিন। পড়েছিলেন মাস্ক। নিয়মিত স্যানিটাইজার দিয়ে হাতও পরিষ্কার করছিলেন।


Source: Ei Samay

Thursday, March 19, 2020

বিদেশ থেকে ফেরার কথা নিজেই জানিয়েছেন বারাসতের এক সচেতন নাগরিক

 বিদেশ থেকে ফিরে তথ্য লুকিয়ে যাওয়া নয়, বরং পুলিশকে ফোন করে নিজের পরিস্থিতি জানালেন এক সচেতন নাগরিক। পুলিশ এবং বারাসত হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ওই ব্যক্তি ১৪ মার্চ জার্মানি থেকে ফিরেছেন। তিনি বারাসতের শিশিরকুঞ্জের বাসিন্দা। ফিরে আসার পর থেকে তার কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সরকারের সচেতনতা প্রচার শুনে তিনি বুঝতে পারেন বিদেশ থেকে ফেরার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো উচিত।


বুধবার সকালে বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে ফোন আসে ওই ব্যক্তির। তিনি পুলিশকে জানান দিন, বিদেশ থেকে ফিরে বুঝতে পারছেন না কী করবেন। তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এসপি অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। ফোনেই ওই ব্যক্তির বক্তব্য শোনেন ও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে খবর দেন। দ্রুত ওই ব্যক্তির কাছে চলে যায় বারাসত হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল। তাকে পরীক্ষা করে আপাতত কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে ঘরের মধ্যে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। এসপি অভিজিৎ বলেন, 'এই ব্যক্তি যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। তাঁর থেকে অন্যদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।'

Source: Ei Samay