জেলা হস্তশিল্প প্রতিযোগিতাতেও নাগরিক সচেতনতার বার্তা। তাঁদের হাতের কাজের মাধ্যমে ডেঙ্গি প্রতিরোধ থেকে জল অপচয় বন্ধ করা বা বায়ুদূষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন হস্তশিল্পীরা। নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি এনআরসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকেও তাঁরা হাতের কাজের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এ ছাড়াও, ছিল নকশিকাঁথা, কাঁথা-স্টিচ-সহ কাগজের কোলাজ এবং কাঠের তৈরি সামগ্রী। বৃহস্পতিবার বারাসতের রবীন্দ্র ভবনে হয়ে গেল জেলার হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা।
বায়ুতে দূষণের পরিমাণ মাত্রা ছাড়িয়েছে দিল্লির মতো রাজধানী শহরে। কলকাতাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। সম্প্রতি জল সঙ্কটও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ুদূষণ কিংবা জল সঙ্কটের সমস্যা নিয়ে এখনও সাধারণ মানুষ সে ভাবে সচেতন নয়। তাই এই সমস্যাগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিতে এ বার দেখা গেল হস্তশিল্পীরাও আসরে নেমেছেন।
কাঁচরাপড়ায় থাকেন হস্তশিল্পী বিশ্বজিৎ রায়। তিনি তাঁর অসাধারণ শিল্প-নৈপুণ্যে কাঠের উপর ফুটিয়ে তুলেছেন নাগরিক সচেতন সমাজ। তাতে দেখানো হয়েছে গাছ ধ্বংসের কারণে গোটা বিশ্ব রুক্ষ হয়ে উঠছে। আবার, জল অপচয় সম্পর্কে সচেতন করতেও বিশ্বজিৎ হস্তশিল্পকেই মাধ্যম করেছেন। এই হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় গ্রাম বাংলার নকশি-কাঁথা শিল্প তুলে ধরেছেন শাসনের গোলাবাড়ির শিল্পী সাহিদা বেগম। দত্তপুকুরের জহর মল্লিক কাঁথা-স্টিচের উপরে নানা শিল্প ফুটিয়ে তুলেছেন। দমদমের পিনাকী দাশগুপ্তের কাঠ দিয়ে তৈরি সিঁদুরের কৌটোও নজর কেড়েছে। জেলা শিল্প কেন্দ্রের ম্যানেজার সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'হস্তশিল্পে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ প্রতি বছর নিয়ে থাকি আমরা।'
এ বছরের জেলা হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ৭৫ জন হস্তশিল্পী। প্রতিযোগিতায় মোট ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
Source: Ei Samay