Showing posts with label Corona isolation centre at Barasat Stadium. Show all posts
Showing posts with label Corona isolation centre at Barasat Stadium. Show all posts

Wednesday, July 22, 2020

বারাসত স্টেডিয়ামে এবার সেফ হোম

 সরকারি হাসলপাতালে বেড পেতে কালঘাম ছুটছে। খরচের গুঁতোয় বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার উপায় নেই অনেকেরই। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় বারাসতে তাই দ্বিতীয় কোভিড হাসপাতাল করতে চেয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু স্থানয়ীদের চাপে তা আর হয়ে ওঠেনি। শেষপর্যন্ত কোথাও কোনও জায়গা না পেয়ে বারাসত স্টেডিয়ামে ৫০ শয্যার সেফ হোম তৈরি করছে পুরসভা। সেফ হোমে উপসর্গ নেই এমন করোনা আক্রান্তদের রাখা হবে। বুধবার থেকে চালু হবে এই সেফ হোম।


বারাসত ও সংলগ্ন এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অথচ হাতে একটি কোভিড হাসপাতাল। কদম্বগাছির হাসপাতালটি বাদ দিলে ছিল বারাসতে অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ারান্টিন সেন্টার। সেটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় হাসপাতাল খোলার চেষ্টা করেও স্থানীয়দের বাধায় পিছিয়ে আসতে হয় প্রশাসনকে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এলাকায় কোভিড হাসপাতাল হলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। এ অবস্থায় শহরের মধ্যে অথচ তুলনামূলক ফাঁকা, বারাসত স্টেডিয়ামে সেফ হোম তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা।


সেফ হোমে রোগীদের খাওয়ারদাওয়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সকালে চা ও বিস্কুট। প্রাতরাশে থাকবে রুটি, সব্জি, ডিমসেদ্ধ। কোনও দিন থাকবে মাখন-পাউরুটি। সঙ্গে কলা এবং ডিম। দুপুরে চার দিন মাছ, দু'দিন মাংস। নিরামিষ একদিন। মেনু ভাত, ডাল, আলুভাজা, সব্জি। এ ছাড়া মাছ অথবা মাংস বা পনির। শেষপাতে চাটনি। রাতের মেনুতে ভাত,ডাল, সব্জি, পনিরের পাশাপাশি মিষ্টিও দেওয়া হবে।


স্টেডিয়ামের দুটি ড্রেসিং রুম এবং একটি বড় হলঘরকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। দু'টি ড্রেসিংরুমে ৪২ জন পুরুষ আক্রান্তকে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। হলঘরে থাকবেন দশ জন মহিলা। থাকছে পুরুষদের জন্য তিনটি এবং মহিলাদের জন্য দুটি স্থায়ী শৌচালয়। স্টেডিয়ামের মধ্যে পাম্প থাকলেও জলের লাইন বা ট্যাঙ্ক ছিল না। সেই সমস্যা মেটাতে দু'হাজার লিটারের নতুন জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। জলের পাইপ লাইনের কাজও শেষ।


তিনটি ঘর মিলিয়ে কুড়িটি স্ট্যান্ড ফ্যান ও ৪৫টি টিউবলাইট লাগানো হয়েছে। রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে স্টেডিয়ামের লনকে বাহারি গাছ ও ফুলের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই লনে পায়চারি করতে পারবেন আক্রান্তরা। লনের এক প্রান্তে চেয়ার পেতে দেওয়া হয়েছে। রয়েছে এলইডি টিভি। তিনটি ঘরেই বক্স লাগানো হয়েছে। একঘেয়েমি কাটানোর জন্য প্রতিটি ঘরে সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। রয়েছে তাস, লুডো ক্যারামের ব্যবস্থাও।


পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা সেফ হোম নিয়ে পুরোপুরি তৈরি। তৈরি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। বুধবার স্টেডিয়ামের সেফ হোম চালু হয়ে যাবে।'


Source: Ei Samay