Showing posts with label matrisadan hospital at barasat not established. Show all posts
Showing posts with label matrisadan hospital at barasat not established. Show all posts

Saturday, March 18, 2017

দু’বার শিলান্যাসের পরেও মাতৃসদন হল না বারাসতে

 প্রতিশ্রুতি আছে , দু’বার শিলান্যাসও হয়েছে মাতৃসদনের , যা পরিচালনা করবে পুরসভা৷ প্রথম বার শিলান্যাস হয়েছিল বাম আমলে৷ পরে , বর্তমান তৃণমূল বোর্ডও এক বার শিলান্যাস করেছে , তাও প্রায় তিন বছর আগে৷ কিন্ত্ত দু’বারই কাজ শুরুর পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়৷ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আর তৈরি হয়নি৷ পুরপ্রধান থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর , সকলের এক সুর , ‘কাজ শুরু হয়েছে৷ ’ কিন্ত্ত শিলান্যাসের তিন বছরের মধ্যে কয়েকটা ইট গাঁথা ছাড়া কিছুই হয়নি৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ৷ তাই এখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের দ্রুত চিকিত্সাও শুরু করা সম্ভব৷ তৃণমূল বারাসতে পুরবোর্ড গঠনের পরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দ্বিজহরি নগরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়তে উদ্যোগী হয়৷


২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিলান্যাস করেন৷ ন্যাশনাল হেলথ আরবান মিশনের (এনএইচইউএম ) টাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য এনএইচইউএমে ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে৷ প্রথমে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হলেও পরে কুড়ি আসনের মাতৃসদনের পরিকল্পনা আছে বারাসত পুরসভার৷ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদ্যুত্ ভট্টাচার্য বলেন , ‘প্রথম দিকে এই জমিটা বারাসত পুরসভার অধীনে ছিল না , স্থানীয় কয়েকজন সিপিএম নেতার দখলে ছিল৷ আইনি জটিলতা কাটিয়ে আমরাই বারাসত পুরসভার নামে এই জমি হস্তান্তর করি৷ আগামী দু’মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বারাসতবাসীকে উপহার দিতে পারব৷ ’ সিপিএম নেতা দেবব্রত বিশ্বাস বলেন , ‘জমি হস্তান্তরের পরেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় কাজ এগোয়নি৷ আমার মনে হয় , তৃণমূল এখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি করতে চাইছে না , ওরা অন্য কোথাও জমির খোঁজ করছে৷ ’ বারাসতের পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য ) চম্পক দাস বলেন , ‘এনএইচইউএম প্রকল্পের অর্থে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির পর এটাকে মাতৃসদন হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে৷


এটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য একটি ট্রমা কেয়ার সেন্টারও তৈরি করা হবে৷ ’ পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন , ‘কাজটা শুরু হয়েছে৷ ’ বারাসত পুরসভার উত্তর দিকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের , বিশেষ করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া লোকজনের চিকিত্সার স্বার্থে পুরসভা পরিচালিত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজন ছিল৷ এ এই সব অঞ্চল থেকে সরকারি ওই হাসপাতালের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত৷


তা ছাড়া সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপও যথেষ্ট৷ জেলার অধিকাংশ পুরসভার অধীনেই রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদন হাসপাতাল৷ ব্যতিক্রম শুধু বারাসত পুরসভা৷ এই বদনাম ঘোচাতেই বামেদের বোর্ড থাকাকালীন বারাসত পুরসভার বর্তমান ৩ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মাতৃসদন ও চিকিত্সাকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল বামেরা৷ ২০০২ সালের জন্য শিলান্যাস করেছিলেন তত্কালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী৷


Source: Ei Samay