Wednesday, December 5, 2018

Airport-Barasat metro line back to life

The jinxed Airport-Barasat Metro project has received the kiss of life with the Railway Board approving underground construction along a technically challenging 3.5km stretch and sanctioning an additional Rs 1,622 crore.


The original plan was to have elevated tracks from the airport till New Barrackpore but “technical reasons” forced an alteration.


Metro Railway sought additional funds to cover cost escalation from the Railway Board more than a year ago. A series of communications since then culminated in the board approving the additional requirement on December 4, a senior railway ministry official said on Thursday.




Once completed till New Barrackpore, the Metro link will provide faster access to Calcutta from the northern suburbs. Commuters from those parts currently have to negotiate traffic congestion at multiple points to reach the heart of the city.


Sources said it would take about four years for the project to be completed.


The Airport-Barasat link is the only Metro project in the city for which even preliminary work hadn’t started until now. The airport authorities had raised objections to an elevated viaduct because of its proximity to the landing zone for aircraft. Encroachments along the proposed alignment through New Barrackpore and the presence of several private buildings near the Barasat site were the other impediments.


Larsen & Toubro had won a Rs 280-crore contract in October 2011 to build a 5km stretch of the proposed Metro line between Madhyamgram and Barasat. Work never started because the stretch was lined with 1,900 unauthorised structures, including 800-odd shops.


Earlier this year, the railway authorities wrote to the state government stating that the squatters should be removed. “Once work starts and tracks are built till New Barrackpore, it will be easier to stretch it till Barasat. Then the state government can be convinced to remove the encroachments,” an official in the railway ministry said.


In the December 4 letter to Metro Railway, the Railway Board informed that the total cost of the project had been raised from Rs 3,207 crore to Rs 4829.57 crore.


Underground construction entails cost escalation by two-and-a-half times. For each kilometre of underground tracks, the estimated cost is Rs 500-600 crore.


Metro had previously reported on how cost escalation was the main constraint for tracks going underground for 3.6km. In the original plan, two stations were to be built along the stretch from Birati to New Barrackpore. In the reworked plan, a station has been proposed at Michael Nagar.


“Metro Railway has convinced the board that this project will be beneficial to tens of thousands of people,” an official said.


A railway official said in the proposal sent to the board, it was mentioned that construction of tunnels would done through the old cut-and-cover method. Tunnel-boring machines like those used in the East-West Metro project won’t be brought here because that would increase the cost further, the official explained.


Source: Telegraph India

Thursday, November 22, 2018

হৃদরোগ চিকিৎসার সাফল্যে বারাসাত নারায়ণা হাসপাতাল

 সারা বিশ্বব্যাপী এই মুহূর্তে সবথেকে বড় আলোচ্য বিষয় হৃদরোগ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আট থেকে আশি সবাই এই রোগের হাত থেকে মুক্তির উপায় খোঁজেন দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে। বিশ্বজুড়ে চলছে গবেষণা, আবিষ্কার সাথে সাথে বাড়ছে সুফলকামী উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবাও।

উত্তর চব্বিশ পরগনায় বারাসাতের নারায়ণ মিউনিসিপাল হাসপাতাল রাজ্যে প্রথম নজির সৃষ্টি করল ইনভাসিব হার্ট ডিজিজ এর রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে। এই সফল চিকিৎসার জন্য তৈরী হয়েছিল সেরা চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড। এই চিকিৎসক দলে ছিলেন নারায়ণ হাসপাতালের মুখ্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অংশুমান ধোল, ডা. কৌশিক পাল সহ বহু বিশিষ্ট চিকিৎসকমন্ডলী।

কয়েকদিন আগে মিত্তল ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করার আশায় আসেন হাওড়ার বাসিন্দা পঙ্কজ হাজরা ( ৪২) নামে এক রোগী। নারায়ণ মিউনিসিপাল হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী বারাসাত ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ৩৬৫ দিনই এই সুবিধা দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে পঙ্কজবাবু সেখানে আসায় চিকিৎসকগণ তাঁর চিকিৎসাসেবার দায় নেন। দূরত্ব ও অল্প সময়ের ব্যবধানে উন্নত পরিষেবা দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সঠিক সময়ে সঠিক নির্ণয় ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুললেন পঙ্কজবাবুকে। চিকিৎসার নয়া নজির সৃষ্টি করলেন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার গর্ব বারাসাতের এই হাসপাতাল।

কলকাতার উপকণ্ঠে বারাসাতে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী ও বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেল্থ গ্রুপ যা দেশের মধ্যে হৃদরোগ পরিষেবায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী । মোট ২৪ টি হাসপাতাল সহ ৭ টি হৃদরোগ চিকিৎসাকেন্দ্র নিয়ে বর্তমান ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে এই প্রতিষ্ঠান 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বারাসাত নারায়ণ মিউনিসিপাল হাসপাতালের ফেসিলিটি ডিরেক্টর ডা. রাজীব পাঠক জানান , সারা বিশ্বে অস্বাভাবিক হৃদরোগ বৃদ্ধি , সংক্রমণ , ক্যানসারের বাড়বাড়ন্তের কারণে মারা যাচ্ছেন বহু বহু মানুষ যা রীতিমত আতঙ্কের বিষয়। তাৎক্ষণিক নির্ণয় ও চিকিৎসার উন্নত পরিষেবা না থাকলে বিপদে পড়বেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে বারাসাত নারায়ণ হাসপাতালের এহেন কীর্তি ও চিকিৎসকদের তৎপরতায় আপৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন ও ‘ স্বর্ণমুহূর্ত ‘ বলে চিহ্নিত করেন। একটি প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তাঁরা বদ্ধপরিকর সে বিষয়েও আলোকপাত করেন।

এক ছাদের নিচে বহু সুবিধাযুক্ত এই হাসপাতাল জেলার মানচিত্রে যে নতুন আলো নিয়ে এলো সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ রাখে না॥

Source: HnExpress

Wednesday, October 24, 2018

বারাসাত জেলা হাসপাতালের নবনির্মিত প্রবেশ দ্বারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

 দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান। বারাসাত জেলা হাসপাতালের নবনির্মিত সুসজ্জিত প্রবেশ দ্বারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। উদ্বোধন করলেন বারাসাত সংসদীয় লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডাঃ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। 

গত কয়েকমাস আগে রাজ্য সরকারের অর্থানুকূল্যে এবং বারাসাত পৌরসভার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় এই প্রবেশদ্বার তৈরীর কাজ। গত কয়েকদিন আগেই শেষ হয় এই সুসজ্জিত প্রবেশদ্বার তৈরীর কাজ। মঙ্গলবার দুপুর ঠিক ১টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদ ডাঃ কাকলী ঘোষ দস্তিদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাসাত পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল মুখার্জী, পৌর পারিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) চম্পক দাস, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রাঘবেশ মজুমদার সহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মী বৃন্দ।প্রবেশদ্বারটির উদ্বোধন করে মাননীয়া সাংসদ বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বারটির কাজ শুরু হবে এবং মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের কাজও শুরু হবে। 

বারাসাত হাসপাতালের মুকুটে রাজ্যের সেরা হাসপাতালের শিরোপা শোভা পাওয়ার জন্য হাসপাতাল অধীক্ষক সহ হাসপাতালের সমস্ত স্তরের কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন হাসপাতালের মাননীয় অধীক্ষক ডাঃ সুব্রত মন্ডল।

Source: Deshoeishomoy

Monday, September 3, 2018

Barasat gets first trauma care ambulance, two bio-toilets

 Barasat Municipality in North 24-Parganas has got its first trauma care ambulance that will cater to a large number of people in the district. Barasat MP Kaloli Ghosh Dastidar on Monday inaugurated a trauma care ambulance along with two bio-toilets that will be extremely handy for the civic body to provide better services to the people. The trauma care ambulance which is equipped with all the modern facilities will be stationed at the municipality office. It will not only cater to the people under the jurisdiction of the municipality but also to others living in the adjoining areas. The projects have jointly been funded by the MP and the Barasat Municipality.


Champak Das, the Chairman-in-council (Health) of Barasat Municipality said the services would be provided at a subsidised rate so that the people can afford the ambulance service at a low cost. There will be a doctor and two technicians in the ambulance. The newly inaugurated ambulance is fitted with an operation theater and a life support system. The doctor can perform a surgery within the ambulance if it is required while transporting an accident victim to the hospital. "The fare of the trauma care ambulance will be fixed after the chairmen-in-council meeting. People can avail it at a much cheaper rate. The ambulance will provide 24-hours emergency services to the people of Barasat and also from the adjoining areas," Das said.


It may be mentioned here that accidents often take place on National Highway 34 and Jessore Road, both of which pass through the district head quarter at Barasat. In some cases, accident victims are critical and they require a trauma care ambulance for an immediate transportation. The trauma care ambulances of the private hospitals are not always available and they charge people a huge amount of money. Two bio-toilets have been procured by the municipality which would be used during any event. The toilets would also be used for commercial purposes, an official of the civic body said.

Sunday, September 2, 2018

অবাক বিশ্ব! সাত বছরেই ব্ল্যাক বেল্ট হৃদয়পুরের ফ্লোরা

 একেবারে কার্বন কপি! বিশ্বকাঁপানো ক্যারাটে গ্র্যান্ডমাস্টার একের পর পর ‘কাতা’ প্রদর্শন করছেন। আর অবলীলায় তা কপি করছে এক শিশুকন্যা। বয়স কত আর হবে? মেরেকেটে সাত বছর। গুছিয়ে কথাও বলতে পারে না। কিন্তু ক্যারাটের সাদা পোশাকে জ্বলজ্বল করছে কালো বন্ধনী।


হ্যাঁ, গোটা বিশ্বকে অবাক করে মাত্র সাত বছরেই ব্ল্যাক বেল্ট হৃদয়পুরের ফ্লোরা দাস। আজ, শনিবার কলকাতার আইসিসিআর হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লোরার সঙ্গে জুড়বে ব্ল্যাক বেল্ট বন্ধনী। ব্ল্যাক বেল্ট পাবে ফ্লোরার দিদিও। ১৪ বছরের আদৃতা। পাবে তেরো বছরের রূপাঞ্জনা পাল। সবার নজর অবশ্য ফ্লোরার দিকে। কারণ এত কম বয়সে কেউ এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়নি। এমনটাই জানালেন ফ্লোরার প্রশিক্ষক সুভাষ মিত্র। বললেন, “৩৮ বছর ধরে ক্যারাটে শেখাচ্ছি। কিন্তু এত কম বয়সে কেউ এমন পারদর্শিতা দেখাতে পারেনি।” ফ্লোরার সৌরভ অবশ্য মে মাসে থেকেই ছড়াতে শুরু করেছে। নেপালে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সাতটি দেশের প্রতিযোগীদের টপকে ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা পেয়েছে ফ্লোরা। ফ্লোরার লড়াই বা ‘কুমিতে’ মুগ্ধ করেছে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টারদেরও। শুক্রবারও ফ্লোরায় মুগ্ধ হলেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা বিশ্বখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার সনি পিল্লে। বললেন, “এই মেয়ে অনেকদূর যাবে। বাংলা তথা ভারতের ক্যারাটে মানচিত্রে বিপ্লব এনে দেবে।”


ফ্লোরার মা পল্লী দাস অবশ্য অতকিছু ভাবছেন না। তিনি খুশি অন্য কারণে। জানালেন, নারী নিগ্রহের ব্যাপারে বারাসত একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছে। রাজীব দাস-কাণ্ড, কামদুনি-কাণ্ড। মেয়েরা ক্যারাটে শেখায় অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করছি।” ফ্লোরার বাবা পুলক দাসের ট্যুরিজমের ব্যবসা। বাইরে বাইরে থাকতে হয়। কিন্তু একদিনের জন্যও মেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়নি পল্লীর। জানালেন, “জ্যাকি শ্রফ, অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমারের অ্যাকশন খুব ভাল লাগত। তাই মেয়েদের চাঁপাডালি যুবক সংঘ ক্লাবের ক্যারাটে ক্লাসে ভর্তি করি। ফ্লোরার বয়স তখন আড়াই বছর। বড় মেয়ে আদৃতার এগারো। মাত্র পাঁচ বছরেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েছে দুই মেয়ে।” ফ্লোরাকে নিয়ে অবশ্য মাঝেমধ্যে সমস্যা হচ্ছে! সারাক্ষণই শ্যাডো করছে। যখন তখন হাত-পা চলছে। দিদি, বাবা-মা কেউ বাদ নেই। বাধ্য হয়েই বিছানার উপর দু’টি বালিশ ঝুলিয়ে দিয়েছেন পল্লীদেবী। ওগুলোর সঙ্গে চলছে লড়াই।


আজ, শনিবার প্রায় একজন গ্র‌্যান্ডমাস্টার ও তিনজন প্রশিক্ষকের উপস্থিতিতে ফ্লোরাকে ব্ল্যাক বেল্ট দেওয়া হবে। আরও অনেকেই পাবেন এই বিশেষ শংসাপত্র। কিন্তু সবার নজর থাকবে ফ্লোরার দিকে। জানালেন ‘সাঁতরাগাছি আর্ট অফ লাইফ’-এর সম্পাদক মৌসুমী মজুমদার। ‘অল ইন্ডিয়া শোটোকান ক্যারাটে ডু স্কুল’-র সঙ্গে জোট বেঁধে আইসিসিআরে তিনদিনের ক্যারাটে ট্রেনিংয়ের আয়োজন করেছেন মৌসুমীরা। জানালেন, “মেয়েদের সেলফ ডিফেন্স শেখাতে ফ্লোরা রোল মডেল হয়ে উঠছে।”

Source: Sanbad Pratidin


Tuesday, August 14, 2018

ISL 2018: ATK launch academy in Barasat in association with Aditya School of Sports

 What's the story?

ATK have made their move in establishing and developing a solid grassroots structure. The two-time ISL champions have launched the ATK Academy in association with Aditya Sports School in Barasat on Wednesday, August 15.


In case you didn't know...

ATK (formerly Atletico de Kolkata) was one of the eight founding members of the Indian Super League. The Kolkata-based side entered the first edition of the competition in association with Atletico Madrid, hence taking the name Atletico de Kolkata.


Led by Liverpool legend Luis Garcia, ATK won the first-ever Indian Super League by beating Kerala Blasters in the final. Mohammed Rafique was the goalscorer as ATK edged the inaugural ISL final by a goal to nil.


ATK would go on to win one more ISL title, two years later, in the third season of the league. The Kolkata club became the first side to win two titles.


The heart of the matter

The two-time champions took a step further in instilling the winner mentality in young players. The Kolkata club opened their new academy in Barasat, in association with Aditya School of Sports. The ATK Academy is set to follow the widely renowned structure, involving residential education plus sports.


Sanjoy Sen, ATK's assistant coach, who is also in charge of the club's youth setup, spoke about the academy at the venue:


The head coaches have also been announced for the age categories -- Mr. Ghosh for the U13 category, and Mr. Altaf for the U15 category.


What's next?

Developing grassroots football has become paramount in India. The clubs participating in the I-League and the ISL not only want to win the league and attract big name signings; but they also want to create players from scratch. Time will tell how successful the ATK Academy turns out to be.


Source: Sportakeeda

Monday, July 30, 2018

সংস্কার নেই, জীর্ণ বারাসতের হেস্টিংস ভিলা

 বারাসত একটি আরবি শব্দ। অর্থ অ্যাভিনিউ। বাংলার বারো জন শেঠের বসতি ছিল বলেই এলাকার নামকরণ হয় বারাসত। স্থানীয় ঐতিহাসিকরা তেমনই বলে থাকেন। সেই বারাসত বড়ই মনে ধরেছিল সাহেবদের। আজ কলকাতার রেসকোর্সের কথা গোটা দেশ জানলেও, ঘৌড়দৌড় কিন্তু কলকাতার আগেও শুরু হয়েছিল বারাসতে। দেশে প্রথম। হেস্টিংস আমলে ব্রিটিশদের আনাগোনা বারাসতে আরও বাড়ে।


বারাসতের উত্তরে বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস সুন্দর একটা ভিলা বানিয়েছিলেন। জেলায় ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম এই হেস্টিংস ভিলা। ইংরেজ শাসনের প্রতীক হিসেবে আজও বারাসত শহরের বুকে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই ভিলা। তবে সংস্কারের অভাবে সেই জৌলুস আর নেই। জীর্ণ ভিলা আজ গায়ে বিপজ্জনক বোর্ড ঝুলিয়ে বুঝি বা সংস্কারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।



ইতিহাস প্রসিদ্ধ বাড়িটির বর্তমান অবস্থা বড়ই করুণ। সংরক্ষণের অভাবে ধুঁকছে। স্রেফ সরকারি উদাসীনতায় ব্রিটিশ স্থাপত্যটি অবহেলায়, অনাদরে আজ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বাড়িটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেছে। অথচ এই বাড়ির প্রতিটি ইটে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস।


আনুমানিক সতেরশো সালে তৎকালীন ইংরেজ গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস আমোদপ্রমোদের জন্য এই ভিলা বানিয়েছিলেন। দোতলা সুন্দর ছিমছাম বাড়িটির উত্তরের সদর দরজার দিকে এখনও একটি ফলক দেখা চোখে পড়ে। যে ফলকে লেখা রয়েছে ‘ইন দিস হাউস লিভ লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস।’


বড়লাটের ভিলার মেঝে ওক কাঠ দিয়ে তৈরি। একতলা-দোতলা মিলিয়ে আটটি ঘর। এক তলার ভিতর দিয়েই ওপরে ওঠার সিঁড়ি। দেওয়াল জুড়ে পুরোনো স্থাপত্যের নিদর্শন। রয়েছে বলরুম। বারবনিতারা এখানে নাচতেন বলেও শোনা যায়। সপ্তাহান্তে আনন্দ ফুর্তির জন্য এই হেস্টিংস ভিলাকেই বেছে নিতেন ইরেজরা। বিশাল বাড়িটি জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে স্থাপত্য, শৈলির অপূর্ব নিদর্শন। হেস্টিংস ভিলা থেকে প্রশাসনিক ট্রেজারি ভবন পর্যন্ত একটা সুড়ঙ্গ ছিল। সেই সুড়ঙ্গ এখন আর নেই।


নানা ঐতিহাসিক ঘটনার নিরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হেস্টিংস ভিলা। নিম্ন গাঙ্গেয় বঙ্গের উর্বরা কৃষি অঞ্চল বারাসত। চাষিদের বহু আন্দোলনের আঁচ এসে পড়েছে এই হেস্টিংস ভিলায়। কৃষক নেতা তিতুমিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এই বাড়ি থেকেই করেছিল ইংরেজরা। আবার চাষিরা নীলচাষ করতে বাধ্য নয়, এমন ঐতিহাসিক আদেশও সম্ভবত এসেছিল এই ভিলা থেকেই।


এই ভিলা ঘিরে ইংরেজ বসতিও গড়ে উঠেছিল। হেস্টিংস ভিলার অদূরেই ছিল নীল পুকুর। নীলকর সাহেবদের বাংলো, চাকরদের থাকার বন্দোবস্ত সবই ছিল সেখানে। কাছাকাছির মধ্যেই ছিল ইংরেজদের রক্ষিতাদের থাকার ঘর। শোনা যায় নীলকর সাহেবদের প্রিয় দুই রক্ষিতার এক জন চাঁপা। অপর জন ডালি। বলা হয় ওই দু’জনের নাম থেকেই চাঁপাডালির মোড়।


দেশ ভাগের পর হেস্টিংস ভিলাকে জেলার কালেক্টর অফিস বানানো হয়। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগনার ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দু’বার বারাসতে বদলি হয়ে আসেন। তখন হেস্টিংস ভিলাতেই ছিল তাঁর দপ্তর। ১৮৭৪ সালের চৌঠা মে বঙ্কিম বারাসতে আসেন। সেই বছরই ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি মালদহে বদলি হয়ে যান। ১৮৮২ সালে ফের বারাসতে আসেন বঙ্কিমচন্দ্র। কিন্তু দ্রুতই আলিপুর ফিরে যান বঙ্কিম। প্রথম দফায় পাঁচ মাসের কম ছিলেন তিনি। আর দ্বিতীয়বার তো হাতে গোনা কয়েকটা দিন। অল্পদিনের জন্য হলেও এই হেস্টিংস ভিলা সাহিত্য সম্রাটের পদধূলিধন্য।


যে বাড়িকে ঘিরে এত ইতিহাস, সেই বাড়ি আজ অবহেলায়, অনাদরে পড়ে আছে। ১৯৬৮ সালে সরকারি ভাবে হেস্টিংস ভিলাকে জীর্ণ ঘোষণা করা হয়। ইতিহাস প্রসিদ্ধ হেস্টিংস ভিলাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে বহু বছর আগে বারাসতের কয়েক জন সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ জেলাশাসকের কাছে সংস্কারের দাবি জানান। কিন্তু সেভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।


২০১৬ সালে বাড়িটির সংস্কারের কাজে একবার হাত দেওয়া হয়েছিল। খানিক সংস্কারও হয়েছিল। কিন্তু অজানা কোনও কারণে সেই সংস্কার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন হেস্টিংস ভিলায় পা রাখলে দেখা যাবে বাড়ির চারপাশে লোহার রড বাঁধা। একসময়ে সংস্কারের কাজ যে শুরু হয়েছিল তা পরিষ্কার। ভিলার সামনে কয়েকটা নোটিস টাঙ্গানো। একটিতে লেখা ‘বিপজ্জনক বাড়ি’। নোটিস রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ারও। বক্তব্য, এই বাড়ির দুশো মিটারের মধ্যে কোনও বাড়ি বানানো যাবে না। একশো মিটারের মধ্যে কোনও খননকাজ করা যাবে না। এই নিয়ম ভাঙলে জরিমানা এবং কারাদণ্ড হবে। হেস্টিংস ভিলার গাড়িবারান্দা অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। অনেক জয়াগায় ছাদ খসে পড়েছে। বাড়ির দোতলার ছাদের একটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। বাড়ির কার্নিসে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে বট-অশ্বত্থ গাছ। অতি দ্রুত হেস্টিংস ভিলার সংস্কার না হলে, চিরতরে হারিয়ে যাবে ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য নিদর্শন।


হেস্টিংস ভিলা সংস্কার প্রসঙ্গে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, ‘এটা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিষয়। ওরা এই নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করে না।’ বারাসতের প্রবীন নাগরিক তথা লেখাক গৌর মিত্র বলেন, ‘হেস্টিংস ভিলা হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। এই বাড়ির সঙ্গে ইংরেজদের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এখানে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে গিয়েছেন। ইতিহাস এবং আবেগের সাক্ষী বহন করছে হেরিটেজ ভবনটি। এর আশু সংস্কার প্রয়োজন।’ গৌর মিত্র জানান, তিনি ভিলা সংস্কারের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে কাছে অনুরোধ করবেন।


বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বারাসত পুরসভা ইতিহাস প্রসিদ্ধ হাতিপুকুরকে নতুন কলেবরে তুলে ধরছে। যদি হাতিপুকুরের মতো হেস্টিংস ভিলাও লিজে পাওয়া যায়, তবে তা সংস্কারের কাজ খোদ পুরসভাই শুরু করে দেবে।’

Source: Ei Samay

Friday, July 13, 2018

Surgery for jackal rescued in Calcutta suburb Barasat

 The golden jackal that was saved by morning walkers and residents of a housing complex in Barasat 10 days ago had steel plates inserted in its left hind leg on Friday.


The animal is now recuperating in the forest department’s Wild Animal Rescue and Transit Facility Centre in Baisakhi, Salt Lake.


The male jackal had its leg entangled in the branch of a tree and suffered multiple fractures while struggling for more than four hours to free itself, an official in the forest department said.



“The centre has an operating room where the surgical procedure to insert the plate was performed. The jackal had to be tranquillised before it even let foresters get close to it,” the official said.


Kalyan Chakraborty, the veterinary surgeon who performed the procedure, said the rear hind leg of the animal had broken in at least two places. A part of the bone was sticking out through the flesh.


“I had to put a metal support in the broken leg,” Chakraborty said. “This was done to save the leg from being amputated.... Had there been any delay in treatment, gangrene or some infection might have set in.”


Surgeons covered the wound in a bandage and wrapped leucoplast around it but the jackal gnawed through it after regaining consciousness.


The animal was again tranquillised and Chakraborty had to readjust the plate before wrapping the leg in a thicker bandage.


The deputy ranger of forests, Sibananda Joddar, said the jackal was healthy and eating regularly.


“For wild animals this is an extremely good sign. If an animal starts refusing food, we infer that there is something really wrong with it,” Joddar said.


Source: Telegraph India

Wednesday, July 11, 2018

Government is building Packaging house in Barasat to help exporters

To keep vegetables, fruits and foodgrains fresh and export-worthy, the West Bengal Government is building a packaging house of international standards in Barasat.

This infrastructural facility would be specially useful to big farmers who export their products. 

The initiative will also be beneficial for the small farmers as well. Products exported to other countries need to maintain standards strictly.

This information was conveyed by the State Food Processing and Horticulture Minister at a recent programme in Kolkata organised by a chamber of commerce.

He further said at a cost of Rs 5 to 7 crore, another such packaging house is being planned to be constructed for small farmers, those who want to take the help of the latest technology to keep their products fresh.

Source: UNI India

Monday, July 9, 2018

নতুন রূপে সেজে উঠছে বারাসতের হাতিপুকুর

বারাসতের হাতিপুকুর। নামটার সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে আছে। একটু পিছন ফিরে দেখা যাক। বাংলায় তখন রাজ্যপাট সামলাচ্ছেন নবাব সিরাজদৌল্লা। নবাবের মসনদ মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি। মুর্শিদাবাদ থেকে মাঝে মধ্যেই কলকাতায় আসতেন সিরাজ। সঙ্গে থাকত সৈন্য সামন্ত। পথে পড়ত বারাসত। দীর্ঘ যাত্রাপথের ক্লান্তি কাটাতে এই বারাসতেই জিরিয়ে নিতেন নবাব। নবাবের হাতি-ঘোড়াদের জল খাওয়াতে কাছারি ময়দান এবং হেস্টিংস ভিলার কাছে বারাসতেই একটি পুকুর খনন করেন সিরাজদৌল্লা। নবাবের হাতি এই পুকুরের জল খেত বলে পুকুরটির নামই হয়ে যায় হাতিপুকুর। এই হাতিপুকুর থেকে মিনিট পাঁচেক দূরে হেস্টিংস ভিলা। তারও একটা ইতিহাস রয়েছে।



ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের আনন্দ-ফুর্তির জন্য কলকাতার কাছেই বারাসতকে বেছেছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। ব্রিটিশ কর্তাদের থাকা-খাওয়ার জন্য বাড়ি বানায় কোম্পানি। আজও বারাসতে এলে চোখে পড়বে হেস্টিংস ভিলা। সেই হেস্টিংস ভিলার উত্তর পশ্চিমের ফাঁকা মাঠে ঘোড়দৌড় শুরু করে ইংরেজরা। ভারতবর্ষে ব্রিটিশরা প্রথম ঘোড়দৌড় এই বারাসতেই শুরু করে। ইংরেজ আমলের ঘোড়দৌড়ের মাঠের সামান্য অংশই এখন বাতাসতের কাছারি ময়দান। এই হেস্টিংস ভিলা ও হাতিপুকুর ঘিরে তাই ইতিহাসের অন্ত নেই। দুর্ভাগ্যের বর্তমান প্রজন্মের জন্য সেই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার কোনও তাগিদ সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে দেরিতে হলেও বর্তমানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে হাতিপুকুরে।


এর আগেও অবশ্য একবার ছোটখাটো সংস্কার হয়েছিল। তা বাম আমলে। কেন ছিল সেই সংস্কার? কাছারি মাঠের খুব কাছেই এই হাতিপুকুর। হাতিপুকুরের মাঝখানে রয়েছে একটি দ্বীপ। বাম আমলে হাতিপুকুরকে ঘিরে একটি পার্ক বানানো হয়। তার পরে অবশ্য ইতিহাস প্রসিদ্ধ পুকুরটির সেভাবে সংস্কার হয়নি। রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত হাতিপুকুর সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন। পুকুর থেকে কচুরিপানা সাফ করে বোটিং চালুর চেষ্টা হয়েছিল। পার্কটির কিছুটা সৌন্দর্যায়নেও বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু ধারাবাহিক নজরদারির অভাবে ফের হতশ্রী চেহারায় ফিরে যায় হাতিপুকুর। বোট দু’টি পড়ে থেকে থেকেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সংস্কারের অভাবে ফের কচুরিপানায় ভরে উঠেছে হাতিপুকুর। পুকুর লাগোয়া পার্কটি জঙ্গলের চেহারা নেয়। ক্রমে ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গাটি সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে নেশাড়ুদের আড্ডার ঠেক। নিত্য মদ, জুয়ার আসর বসতে শুরু করে হাতিপুকুরে।


দীর্ঘ কয়েক দশক এ ভাবেই কাটে। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে, হাতিপুকুরকে ফিরে পাওয়ার আশাও ছেডে় দেন সকলে। পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু হাতিপুকুরের সংস্কারে আটকে না থেকে তৈরি হচ্ছে একটি বিনোদন পার্ক। বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার সাংসদ কোটার টাকা বরাদ্দ করেছেন হাতিপুকুরের সংস্কারে।


২০১১ ক্ষমতায় আসার পর জেলা সফরে বারাসতে এসে মুখ্যমন্ত্রী ইতিহাস প্রসিদ্ধ হাতিপুকুর সংস্কার করে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলেন। এর পরেই হাতিপুকুর সংস্কারে উদ্যোগ নেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার। সাংসদ কোটার তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দেন। ২০১৬ সালে এলাকাটি ৩৪ বছরের লিজ নেয় বারাসত পুরসভা। সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করে পুরসভাও।


হাতিপুকুরের চারধার বাধানো হয়। তবে তার পর কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি ফের সংস্কারের কাজে হাত লাগায় বারাসত পুরসভা। রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি প্রকল্পের আওতায় হাতিপুকুর এবং সংলগ্ন পার্কটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পুকুরের চারিদিকের পাড় বাধানোর কাজ তো আগেই শেষ হয়েছে। পাড়ের চার ধারে সবুজায়নে হাত লাগানো হয়েছে। হাতিপুকুরের মাঝে রয়েছে একটা দ্বীপ। দ্বীপে যাওয়ার জন্য একটি সেতুও আছে। এই দ্বীপে বহু প্রাচীন একটি শিরীষ গাছ ছিল। গাছটি মরে গিয়েছে। তবে প্রাচীন গাছের কান্ডটি উপড়ে ফেলা হচ্ছে না।


কিন্তু লাখ টাকার প্রশ্ন হল জবরদখলকারী হকারদের কী হবে? বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দ্রুত গতিতে সংস্কারের কাজ চলছে। হাতিপুকুরের সামনে কিছু হকার বসে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। তাই তিনি কর্মতীর্থ চালু করেছেন। বারাসতের কর্মতীর্থে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’


পুনর্বাসন জট কেটে গিয়েছে। এখন জোরকদমে চলছে কাজ। আপাতত পুকুরের চারপাশে পায়ে হাঁটার রাস্তা যেমন থাকছে তেমনি ফুল এবং বাহারি গাছ লাগানো হবে। পুকুরকে ঘিরে বসার ব্যবস্থাও থাকবে। শিশুদের মনোরঞ্জনের হাজারো বন্দোবস্ত থাকবে পার্কে। হাতিপুকুর পার্কের ভিতরেই গড়ে তোলা হবে একটি কমিউনিটি হল। থাকবে আর্ট গ্যালারি। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের কাজ দেখা যাবে।


চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এমন একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গা স্রেফ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমানে তা নতুন করে সেজে উঠছে। দ্বীপের মধ্যে বহু প্রাচীন শিরীষ গাছটি কাটা হবে না।’ ইতিহাসকে ধরে রেখেই এই গাছটিকে সুন্দর করে মানুষের আকৃতি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কাশ্মীরের ডাল লেকের শিকারার আদলে হাতিপুকুরেও শিকারা চালানোর ব্যবস্থা থাকছে।

Source: Ei Samay