Thursday, January 12, 2017

টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে বন্ধুর পাশে বারাসত কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা

 অসম্ভব একটা যুদ্ধ৷ তবু জমি ছাড়তে নারাজ কতগুলো কচিমুখ৷ তারাই জড়ো করেছিল ছোট ছোট হাত৷ যা টেনে এনেছে আরও কিছু শক্তপোক্ত হাতকে৷ তারই জোরে লড়াইয়ের রসদ পাচ্ছেন এক দম্পতি৷ দুর্ঘটনার জেরে এখন তখন মেয়ের চিকিত্সা করাতে গিয়ে যাঁরা নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন প্রায় এক মাস৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ১৪ বছরের ঐশিকী চট্টোপাধ্যায় (রিনি )৷ দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর চিকিত্সার জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থ৷ বেসরকারি হাসপাতালে বিল উঠেছে ২৫ লক্ষ টাকা৷ ওই পরিমাণ টাকার সংস্থান কোথা থেকে করবেন তা ভেবে রাতের ঘুম উবে যায় পেশায় ঠিকাদার সংস্থার সামান্য কর্মী ভাস্করের৷ বারাসতের নবপল্লি এলাকায় চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা চিকিত্সার খরচ ভেবে যখন ঘোর অন্ধকারে তখন তাদের কাছে এক টুকরো আলো নিয়ে হাজির মেয়েরই স্কুলের সহপাঠীরা৷


দেবর্ষিণি দত্ত , শ্রিয়া চক্রবর্তী, অঙ্কিতা সাধুখাঁ ও সুপর্ণা ঘোষ৷ সবাই মিলে ঠিক করে , বন্ধুর চিকিত্সার জন্য তারা তুলে দেবে প্রতিদিনের টিফিনের পয়সা৷ একই সঙ্গে ঐশিকীর চিকিত্সার জন্য তারা নিজেদের স্কুল বারাসত কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রীর থেকে ইতিমধ্যে সংগ্রহ করে ফেলেছে ১৭ হাজার টাকা৷ কিশোরীদের কেউ কেউ হাত পেতেছে আত্মীয়দের কাছেও৷ হাসপাতাল সূত্রের খবর , মাথার খুলিতে অস্ত্রোপচার , পায়ে অস্ত্রোপচারের হওয়ার পর আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঐশিকীর৷ কিন্ত্ত দুর্ঘটনায় তার খুলির একাংশ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে , সেই অংশটি এখন আলাদা করে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে৷


মাথার খুলিহীন অংশে ঢেকে রাখা হয়েছে ফাইবারের আস্তরণ দিয়ে৷ বুধবারই তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট সিস্টেম থেকে বের করে আনা হয়েছে৷ যদিও এখনও সংঙ্কটমুক্ত নয় সে৷কী ঘটেছিল ? ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে মা ও পিসির সঙ্গে মামারবাড়ি কৃষ্ণনগরে গিয়েছিল ঐশিকী৷ সেখানেই পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর চোট লাগে তার৷ বাসে -ট্রেনে ফিরতে একমাত্র মেয়ের সমস্যা হবে ভেবে একটা ইন্ডিকা গাড়ি ভাড়া করে চট্টোপাধ্যায় পরিবার৷ ওই গাড়িতে বসেই ১৫ ডিসেম্বর বারাসতে ফিরছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী৷ বারাসত -জাগুলিয়ার দিকে যাওয়ার পথে একটি বাস হঠাত্ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা সেই গাড়িটির পাশে ধাক্কা মারে৷


আশ্চর্যজনক ভাবে গাড়ির চালক , মা ও পিসি অক্ষত থাকলেও গুরুতর আহত হয় ১৪ বছরের কিশোরী৷ মাথা ও পায়ে ভয়ানক আঘাত লাগে তার৷ তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দাদের তত্পরতায় পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাকে বারাসত মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান৷ তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন , অবিলম্বে মাথার অস্ত্রোপচার না করলে কিশোরীকে বাঁচানো সম্ভব নয়৷ এর পর তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও জানানো হয় একই কথা৷


একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে ওই রাতেই ইএম বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে আসেন বাবা ভাস্কর৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিত্সার খরচ শুনে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের৷ সে সময় আঁধারপথে আলোবর্তিকা হয়ে ওঠে তার সহপাঠীরা৷ আদরের একমাত্র ভাগ্নির চিকিত্সার খরচ তুলতে ফেসবুকে ‘ফাইট ফর রিনি ’ নামে একটি পেজ খুলে ফেলেন মামা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সৌম্যব্রত রায়চৌধুরীও৷ চিকিত্সার জন্য সাহায্য মেলে , এমন একটি ওয়েবসাইটেও অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঐশিকীর চিকিত্সার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে৷


বাকি ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছেন আত্মীয় , বন্ধুবান্ধব ও বারাসত পুরসভা৷ সৌম্যব্রত বলছেন ,‘বন্ধুদের পরামর্শেই সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিলাম৷ তবে এতটা সাড়া মিলবে তা ভাবিনি৷ সকলের কাছে আমরা ঋণী৷ ’পরিবারের দরজায় সাহায্যের ঝাঁপি নিয়ে হাজির প্রতিবেশী থেকে স্কুলের শিক্ষিকারাও৷ বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত মনে করেন বলেই চট্টোপাধ্যায় পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছেন বলে জানালেন দমদমের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী জয়ন্ত বাগচী৷ তিনি বলছেন , ‘আমি একা নয় , আমাদের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে অনেকেই ঐশিকীর চিকিত্সার জন্য সাহায্য করেছেন৷ ’


স্থানীয় কাউন্সিলর দীপক দাশগুপ্তও নিজে উদ্যোগী হয়ে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে ওই ছাত্রীর চিকিত্সার জন্য ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন৷ যদিও তিনি এতে নিজের কৃতিত্ব মানতে নারাজ৷ ‘ঐশিকীর চিকিত্সায় যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তাতে ওই টাকা সমুদ্রে একবিন্দু জলের মতো ,’ বলছেন দীপক৷ ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ঠিকাদার সংস্থার মালিক সৌরেন দেও৷ পেশায় ঠিকাদার সংস্থার কর্মী বাবা ভাস্কর বলছেন , ‘আমার যা ক্ষমতা তাতে সকলে সাহায্য না করলে মেয়েটাকে হয়তো এত দিন বাঁচাতে পারতাম না৷ ’ আর কান্নাভেজা গলায় বারাসতের বাড়িতে বসে মা সোমা বলছেন , ‘মেয়েটাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারব কি না জানি না৷


তবে বিপদের দিনে যে ভাবে সবাই পাশে দাঁড়ালেন তা দেখে এটা বুঝেছি , ভালো মানুষ যে এখনও আছে৷ ’শহুরে মধ্যবিত্তরা এখন ছেলেমেয়েদের এলাকার বাংলা মাধ্যম স্কুলে পাঠান না৷ মফস্সলের একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলও জীবন -মরণের এই যুদ্ধে জড়িয়ে উঠে এসেছে আলোর বৃত্তে৷ এ ভাবে সহপাঠীকে বাঁচাতে ছাত্রীরা এগিয়ে আসায় খুশি স্কুলের শিক্ষিকা সঙ্ঘমিত্রা বসু৷ ইংরেজির এই শিক্ষিকা বলছেন , ‘ভেবেও ভালো লাগছে যে , আমি এই স্কুলের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত৷ তবে ঐশিকী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলে আরও ভালো লাগবে৷ ’ স্কুল থেকে অর্থ সংগ্রহের কাজ এখনও চলছে৷ যে উদ্যোগে জড়িয়ে আছে একটা আকুতিও --- ‘ফাইট রিনি ফাইট৷ 

Source: Ei Samay

Tuesday, November 1, 2016

বারাসতে মাতৃ বন্দনায় আলো ও থিমের উত্সব

 মাতৃ রূপেন সংস্থৃতা। মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠেছে দেশ। বারাসতে মাতৃ বন্দনায় আলো ও থিমের উত্‍সব।


শতদল ক্লাব- এবারের পুজো চুয়াল্লিশ বছরে পড়ল। ঝিনুক, কাঠের গুড়ো, নারকেলের ছোবরা দিয়ে অক্ষয় ধামের আদলে তৈরি হয়েছে শতদল ক্লাবের মণ্ডব।  প্রতিমাতে ধরা পড়েছে মহামায়া থেকে কালী রূপের সৃষ্টি রহস্য।


বিদ্রোহী ক্লাব- প্লাইউড,ফাইবার, শোলা দিয়ে  সেজে উঠেছে বারাসতের বিদ্রোহী ক্লাবের মণ্ডপ। আদতে ভেলোরের মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডব। এবার পঞ্চাশ বছরে পড়ল বিদ্রোহী ক্লাবের পুজো।


সন্ধানী ক্লাব- নীরবে বন্দি শৈশব। শিশু মনের কত কথা। মনে পড়ে বড় হলে। সেইসব শৈশব স্মৃতিকে নিয়ে থিম সন্ধানী ক্লাবের। সন্ধানী ক্লাব মণ্ডব সজ্জায় উঠে এসেছে কিভাবে নেট দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে শৈশব।


Source: Zee 24 Ghanta

Wednesday, October 26, 2016

শিল্পাঞ্চলে মূর্তি বেচতে এসেছেন বারাসতের শিল্পীরা

 আর একটা গোটা সপ্তাহ বাকি নেই৷ চলে এসেছে কালীপুজো৷ সেই উপলক্ষে সুদূর বারাসত ও দত্তপুকুর থেকে শিল্পাঞ্চলে চলে এসেছেন পাঁচ জন শিল্পী৷ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে পোড়ামাটির কালীমূর্তি, প্রদীপ বিশেষ ধরনের ছোট ঘোড়া , গণেশ -লক্ষ্মীর মূর্তি-সহ সুন্দর কাজ করা ফুলদানি৷ সালানপুরের গ্রামে গ্রামে বা বরাকর কুলটি অথবা চিত্তরঞ্জন শহরে তিন জন শিল্পী তাঁদের পোড়ামাটির শিল্পসামগ্রী নিয়ে বিক্রির জন্য ঘুরছেন৷ ওদের দু’জন সাহেব পাল আর অমিত পাল বলেন , ‘আমাদের মধ্যে একজনের বাড়ি বারাসতে৷ অন্য জনের দত্তপুকুরে৷ গত বছর আমরা শিল্পাঞ্চলে এসে এভাবে দীপাবলির আগে পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি নানা রকমের জিনিস রং করে বিক্রি করেছিলাম৷


বার আসানসোল মহকুমার রূপনারায়ণপুর , চিত্তরঞ্জন৷ সালানপুর , কুলটি , বরাকর -সহ বিভিন্ন এলাকায় ৭ -৮ দিন ধরে ফেরি করব৷ ডাবরমোড়ের কাছে আমরা তাবু করে রয়েছি৷ ভালো বিক্রিবাট্টা হলে আরও দু’জন আসবেন৷ একটা প্রদীপের দাম পাঁচ টাকা৷ কালী মায়ের মুখ ১২০ টাকা৷ আর দীপাবলিতে উপলক্ষে আরও নানা ধরনের মাটির মূর্তি পাওয়া যাবে৷ সেগুলোর আলাদা আলাদা দাম৷ ’যেখানে তাবু খাটিয়ে শিল্পীরা মূর্তি-প্রদীপ তৈরি করে , রং করে করছেন সেখানে ক্রেতার সংখ্যা কম৷ কেন ? উত্তরে শিল্পী সাহেব পাল বলেন , ‘এখনও তেমন করে প্রচার হয়নি৷ তিন দিন হল এসেছি৷ এখানে তেমন বিক্রিবাট্টা না হলেও আমাদের কয়েক জন গ্রামে ও শহরে ঘুরে ঘুরে জিনিস ফেরি করছেন৷ তাঁদের কাছ থেকে প্রচুর জিনিস বিক্রি হচ্ছে৷ ’


যাঁরা ঘুরে ঘুরে পোড়ামাটির জিনিস ফেরি করছেন , তাঁদের এক জন হলেন রমেন পাল৷ তিনি বলেন , ‘আজ বাসে করে যাওয়ার সময়েই ২টো কালীর মুখ আর ১০টা প্রদীপ বিক্রি হয়ে গেল৷ ’ কিন্ত্ত অনেকেই বলছেন দাম অনেক বেশি৷ কেন ? উত্তর এল , ‘দাম তো বেশি হবেই৷ গঙ্গা থেকে মাটি এনে তা দিয়ে শিল্প হচ্ছে৷ তার উপরে ৫ -৭ জনের থাকা -খাওয়ার খরচ রয়েছে৷ ’এ দিকে বাইরে থেকে এভাবে শিল্পীরা এসে পোড়ামাটির জিনিস বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মৃত্শিল্পীরা৷ বরাকরের মৃত্শিল্পী পাপ্পু পাল বলেন , ‘আমরা দীপাবলি আর কালীপুজো উপলক্ষে প্রদীপ তৈরি করি৷ এছাড়াও ছোটখাট লক্ষ্মী -গণেশের মূর্তি গড়ি৷ এমনিতেই চিনে আলোর জন্য বাজার মন্দা৷ এখানে এসে যেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলোর ডিজাইন আমাদের চেয়ে বেশি ভালো৷ ফলে আমাদের যেটুকু বাজার ছিল , সেটাও নষ্ট হচ্ছে৷ তবে এটাও ঠিক যে ওগুলোর দাম অনেক বেশি৷ সবাই তো আর অত বেশি দাম দিয়ে ওদেরটা কিনবেন না৷ আমজনতার জন্য আমরা আছি৷ ’


Source: Ei Samay

Wednesday, October 12, 2016

বারাসতের কিশলয় হোমের আবাসিকদের পুজো রঙিন করল পুলিশ

 রাস্তার দু’ধারে কাশফুলের বন আর আকাশে পেঁজা তুলোর মেঘ৷ তার মধ্যে দিয়েই ছুটে চলেছে বাস৷

 

বাসের জানলা দিয়ে আবাক দৃষ্টিতে এই অপরূপ দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে এক দল কুঁচোকাঁচা৷ “কী সুন্দর মেঘ…”৷ “রাস্তার পাশেও কত প্যান্ডেল..”৷  “দারুণ মজা হচ্ছে!”


হবেই তো৷ কারণ ওদের জগৎ চার দেওয়ালের মধ্যে৷ সারা বছর কুড়ি ফুট উচু পাঁচিলে ঘেরা হোমের মধ্যেই ওদের দিনরাত একাকার৷ সারা বছরই পড়শোনা, খেলাধুলা ও অন্যান্য কাজ নিয়ে মেতে থাকলেও পুজোর সময় ঢাকে কাঠি পড়তেই ওদেরও মন কেমন করে৷ পুজো মণ্ডপের থেকে ভেসে আসা মাইকের আওয়াজ ওদের কানেও আসে৷ রাতভর রাস্তা দিয়ে গাড়ির আওয়াজ আর মানুষের গুঞ্জন শুনে ওরাও বুঝতে পারে সবাই ঠাকুর দেখতে যাচ্ছে৷ কারও বয়স ছয়, কারও দশ, কারও আবার ষোলো৷ ওরা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কিশলয় ও মধ্যমগ্রামের নিজলয় হোমের আবাসিক৷ দুর্গাপুজোর সময় হোমের বড় বড় পাঁচিলের বাইরের জগৎটা যে একেবারে অন্যরকম সেটা তারা জানে৷ দেখার ইচ্ছেও খুব৷ কিন্তু প্রতিবছরই আইনের বেড়াজাল বাধা হয়ে দাঁড়ায় ওদের সামনে৷ তবে এবারের পুজোয় যেন সব পালটে গেল৷


অষ্টমীর সকালে উঠেই স্নান করে প্রত্যেকে সেজেগুজে ‘রেডি’৷ দুপুরে খাওয়া দাওয়া, তার পর বড় বাসে চেপে বেড়িয়ে পড়া৷ ঠাকুর দেখতে৷ কাছে পিঠে নয়, দূরে৷ বারাসত ও মধ্যমগ্রাম ছেড়ে দু’ধারে কাশ ফুলের মহড়ার মধ্যে দিয়ে সেই বাস ওদের নিয়ে গেল সুদূর বনগাঁয়৷ কিশলয় ও নিজলয় হোমের আবাসিকদের এবছরের পুজোকে এমনই রঙিন করে তুলেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ৷ এই দুই হোমের আবাসিকদের বাসে করে হাবড়া ও বনগাঁর পুজো দেখানোর আয়োজন করে তারা৷ প্রায় দু’শোর বেশি কুঁচোকাঁচাদের, দুই ভাগে অষ্টমী ও নবমীর দিন প্রথমে জেলা পুলিশ লাইনে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়৷ তারপর বাসে করে পুজো পরিক্রমা৷ সঙ্গে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ দুই হোমের আধিকারিকরা৷


কিশলয় হোমের সুপার মলয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এর আগে কয়েকবছর বাচ্চাদের নিয়ে বারাসতের কয়েকটা পুজো দেখানো হয়েছে৷ ওদের নিরাপত্তার ব্যাপার থাকে৷ তাই বেশি দূরে কোথাও যাওয়া যায় না৷ তবে বাসে করে ওদের ঠাকুর দেখতে যাওয়া এই প্রথম৷ জেলা পুলিশের জন্যই এই অসম্ভব কাজটা সম্ভব হয়েছে৷ বাচ্চারা খুব আনন্দ করেছে৷” অষ্টমী ও নবমীতে হাবড়া ও বনগাঁর বিভিন্ন প্যান্ডেল ঘুরে দেখে এই কুঁচোকাঁচারা৷ উত্তর ২৪ পরগনায় দুর্গাপুজোয় বিখ্যাত বনগাঁর বড় বড় পুজো দেখে একেবারে তাক লেগে যায় তাদের৷


কেউ বলল, “এত বড় প্যান্ডেল, এত বড় ঠাকুর আগে দেখিনি কখনও৷” আবার কেউ বলে, “বাসের থেকে আকাশটা কত সুন্দর লাগছিল, আমাদের হোম থেকে তো এত সুন্দর লাগে না৷” জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “হোমের ছেলে ও মেয়েরা তো পুজোর সময় এই সুযোগটা পায় না৷ তাই আমরা চেয়েছিলাম ওদের পুজোটা একটু ভাল করে দেখাতে৷ পুলিশের যে সামাজির দায়িত্ব সেটাই একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে আমরা পালন করার চেষ্টা করেছি৷ বাচ্চারা যে আনন্দ করেছে এটাই আমাদের প্রাপ্তি৷”


Source: Sanbad Pratidin


Wednesday, August 24, 2016

রণক্ষেত্র বারাসত স্টেডিয়াম, রেফারিকে ফেলে মারলেন সেনা ফুটবলাররা

 লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে হামেশাই এমন ঘটনা ঘটে৷ ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা, পেরু, বলিভিয়ার মতো দেশগুলিতে স্থানীয় ক্লাব ফুটবলে খেলার মাঠে হাতাহাতি-মারামারি গড়পরতা বিষয়৷ দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে মারামারি গড়ায় ড্রেসিং রুম পর্যন্ত৷ তাতে কর্তাব্যক্তিরাও যোগ দেন৷ হিংসা ছড়ায় গ্যালারির দর্শকদের মধ্যেও৷ পরে বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি, দাঙ্গার আখার নেয় তা৷ একবার তো রেফারিই নিজেই পকেট থেকে রিভলবার বের করে ফুটবলারকে গুলি মেরে দিয়েছিল৷ আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে ফুটবল ম্যাচে হিংসার বলি হয়ে ফি বছর মারা যান বহু মানুষ৷


কিন্তু এসবই তো বহির্বিশ্বের ঘটনা৷ তা নিয়ে শহরবাসীর মাথাব্যাথা কী? তবে মঙ্গলবার কলকাতা ফুটবল লিগের একটি ফুটবলে ম্যাচে যা হল তা এই দেশগুলির ঘটনারই সমান৷


এরিয়ান বনাম আর্মি একাদশের ম্যাচ ঘিরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন৷ তাও গ্যালারিতে নয়, একেবারে মাঠের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় মারামারি-হাতাহাতি৷ চলতি কেন, কলকাতা লিগে এমন দৃশ্য এর আগে চোখে পড়েনি৷


সেনা দলের তরফে অভিযোগ, প্রথম থেকেই এরিয়ানকে টেনে খেলাচ্ছিলেন কোচ৷ এরিয়ানের ডাগআউট ও সমর্থকদের দিক থেকে সেনাদের তাক করে লাগাতার গালিগালাজ ভেসে আসছিল৷ রেফারিকে সে কথা জানালেও তিনি তা কানে নেননি৷ ঘটনা চরম পর্যায়ে পৌঁছয় ম্যাচের শেষ দিকে৷ তখন খেলার বয়স ৮৯ মিনিট৷ কোনও পক্ষই তখনও গোলের মুখ খুলতে পারেনি৷


এরিয়ানের পরিবর্ত নামার জন্য সময় নষ্ট হচ্ছিল৷ তখনই রেফারি অজিত দত্তর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সেনা দলের কোচ বিবি কার্কি ও কোচিং স্টাফরা৷ কার্কির অভিযোগ, রেফারির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোচকে ধাক্কা মারেন৷ রেগে গিয়ে সেনা দলের ফুটবলাররা রেফারিকে মারতে শুরু করেন৷ সেনাদের ক্ষোভের হাত থেকে রক্ষা পাননি চতুর্থ রেফারি উত্তম সরকারও৷ এমনকী রেফারিকে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়৷ রেফারির গায়ে হাত তোলার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন কোচ৷ গোলশূন্যভাবে শেষ হয় ম্যাচ৷


গোটা ঘটনা ইতিমধ্যেই আইএফএ-এর কানে পৌঁছেছে৷ আইএফএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, রেফারির রিপোর্ট ও ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷


Source: Sanbad Pratidin

Monday, March 28, 2016

বারাসতে কিশোরী ভলিবলার সঙ্গীতা আইচের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে ক্রীড়ামহলে

 দিনের আলোয় বারাসতে কিশোরী ভলিবলার সঙ্গীতা আইচের খুনের পর রাজ্যের ক্রীড়ামহলে ঘুরে ফিরে আসছে নানা শঙ্কার স্রোত৷ অন্য খেলার কর্তা ও কোচদের মনেও পড়ছে তাঁর প্রভাব৷ যে খেলাগুলোয় ছেলে ও মেয়েদের জাতীয় মিট এক সঙ্গে হয় , সেখানেই প্রেমের ঘটনা বেশি৷ প্রেমের পাশে চলছে নাটকও৷ রাজ্যের উদীয়মান মেয়ে অ্যাথলিট বাড়ি যাওয়ার নাম করে ক’দিন আগে গোটা রাত কাটালেন বর্ধমান স্টেশনে৷ বাড়ির লোক জানতেই পারলেন না৷ কোচ জানার পর মেয়েটিকে চেপে ধরতেই সেই অ্যাথলিটের পরিষ্কার জবাব আসে , ‘আপনি কোচ৷ আমার ব্যক্তিগত বিযয়ে নাক গলাতে পারেন না৷ ’ কোচের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাথলিটের দূরত্ব বেড়ে যায়৷ পরে বাড়ির লোককে জানানো হলে , আলোচনার মাধ্যমে তা ধামাচাপা পড়ে৷



দেওঘরে জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স মিটে নিজের ইভেন্ট ছেড়ে প্রেমিক দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রেমিকা অ্যাথলিটকে উত্সাহ দিতে৷ বাংলা টিমের ম্যানেজার তাকে গরু খোঁজার মতো খুঁজে যাচ্ছিলেন৷ ম্যানেজার গিয়ে দেখেন , নিজের ইভেন্ট ছেড়ে প্রেমিকার পাশে সেই প্রেমিক অ্যাথলিট৷ পনের বছর আগে জাতীয় গেমসে একজন কোচ সেখানেই বিয়ে করেছিলেন এক খেলোয়াড়কে৷ তা জানাজানি হওয়ার পর সেই কোচ মেয়ে ম্যানেজারকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছিলেন৷ পরে সেই ঘটনার জন্য কোচকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল৷ এখনও তাই হচ্ছে৷


কেন এই সমস্যা ? কর্তারা যা বলছেন , তাতে প্রধান সমস্যা একটাই৷ মেয়েদের টিমের সঙ্গে সবসময় মেয়ে ম্যানেজার দেওয়া যায় না৷ টিম নিয়ে যেতে হয় কোনও ছেলে কর্তাকে৷ দ্বিতীয়ত , ৫০ জন টিমের সদস্যদের দেখভালের জন্য থাকেন মাত্র দু’জন ম্যানেজার , দু’জন কোচ৷ কোচের কাজ যদিও মাঠে৷ ফলে এক দঙ্গল ছেলে -মেয়েকে সামলানোর জন্য দু’জন ম্যানেজার যথেষ্ট নয়৷ অনেক সময় প্রতিযোগীর মা ’কে ম্যানেজার করে দেওয়া হয়৷


রাজ্যের ক্রীড়া কর্তারা গাফিলতির কথাটা মেনে নিচ্ছেন৷ রাজ্য অ্যাথলেটিক্সের সচিব কমল মৈত্র বললেন , ‘ঘটনা ঘটে না তা নয়৷ আমাদের সমস্যা হচ্ছে , লোকবল নেই৷ টাকা নেই৷ দেখভালের জন্য দুটো লোককে বেশি পাঠাতে পারলে সত্যি সুবিধে হয়৷ ফলে ঠিকমতো নজরদারি থাকে না৷ লোক বাড়াতে পারলে সত্যি ভালো হত৷ ’ রাজ্য সাঁতার সংস্থার প্রেসিডেন্ট রামানুজ মুখোপাধ্যায়ের কথায় , ‘চিন্তাটা বেড়ে গেল৷ আমাদের ম্যানেজারদের আরও সতর্ক থাকতে হবে৷ এটা সত্যি , ৫০ জনের টিমের জন্য দু’ জন ম্যানেজার যথেষ্ট নয়৷ ফলে , খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের আরও বন্ধুর মতো মিশতে হবে৷ তা হলে মারাত্মক ঘটনা থেকে দূরে রাখা যাবে৷ ’


নির্বাচনে ব্যস্ত রাজ্য ভলিবল সংস্থার সচিব পল্টু রায়চৌধুরীর৷ বললেন , ‘শনিবার মেয়েটির বাড়ি গিয়েছিলাম৷ শুনে অবাক হচ্ছি , মেয়েটির পরিবার পুলিশকে জানিয়েছিল৷ কিন্ত্ত আমাদের একবারও জানায়নি৷ জানালে হয়তো ঘটনাটি এড়ানো যেত৷ অন্য ভাবে চিন্তা করা যেত৷ ’ তাঁরও চিন্তাও বাড়ছে৷ বললেন , ‘ভোট মিটলে সত্যি আলোচনা করে দেখতে হবে৷ ’ এই ধরনের সমস্যা হয় টেবল টেনিস , ব্যাডমিন্টন এবং দাবাতেও৷ টিটি সংস্থার সচিব দেবীপ্রসাদ বসুও প্রমাদ গুনছেন৷ বললেন , ‘খেলার পাটর্নার থেকে জীবনের পার্টনার হতেই পারে৷ বাংলায় সবচেয়ে বেশি টিটি দম্পতি৷


জীবনে সবচেয়ে সুখী তাঁরা৷ কোনও দিন এঁদের সম্পর্কে কিছুই শুনিনি৷ কিন্ত্ত বোধহয় সতর্ক হওয়ার সময় হয়েছে৷ বারাসতের ঘটনা বিছিন্ন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না৷ আমাদের সুবিধে , পরিবারের লোকরা যান , খেলোয়াড়দের সঙ্গে৷ দরকার মেয়ে ম্যানেজার৷ এখানে আমরা একটু পিছিয়ে৷ দেখছি , কী করা যায় !’ সমস্যা মেটানোর জন্য সব ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা কি একসঙ্গে বসে কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেবেন ?


Source: Ei Samay

Monday, February 29, 2016

নোয়াপাড়া থেকে বারাসাত মেট্রো চলার প্রস্তাব

  ই এম বাইপাসের পর এবার মেট্রো জুড়ছে VIP রোডকেও। মেট্রো নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসছে কেষ্টপুর,বাগুইআটির মতো জনবহুল এলাকা। দৈর্ঘ্যে বাড়ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক নয়, সাড়ে পাঁচ কিমি এগিয়ে মেট্রো থামবে ভিআইপি রোডের হলদিরামে।


ইউপিএ ওয়ান সরকারের আমলে বাম জমানায় হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।


ঠিক হয় হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো পৌছবে এপারে, কলকাতায়।  এরপর বিবাদীবাগ, শিয়ালদা,ফুলবাগান হয়ে আড়াআড়ি বাইপাস পেরিয়ে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ। ডিপো তৈরি হবে সেন্ট্রাল পার্কে। এরপরেই রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া। ইউপিএ দুই এর রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯-১০-১১ তিনটি রেল বাজেটে কলকাতা এবং শহরতলীকে মেট্রো দিয়ে কার্যত ঘিরে ফেলার প্রস্তাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


নতুন চারটি মেট্রো প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এক- নিউগড়িয়া-এয়ারপোর্ট

দুই-জোকা-বিবাদীবাগ

তিন-নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসত

চার-নোয়াপাড়া-বরানগর-দক্ষিণেশ্বর-বারাকপুর


রাজ্যের পরিবহণ কর্তারা সেসময়ই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। শহরের তিন প্রান্তের সঙ্গে বিমানবন্দরের যোগসূত্র তৈরির জন্যই নেওয়া হয় এই পরিকল্পনা। সমীক্ষা শুরু করে RITES। দেখা যায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও সেন্ট্রাল পার্ক থেকে বৈশাখী  হয়ে Vip বরাবর কেষ্টপুর,বাগুইআটি,রঘুনাথপুর হয়ে হলদিরাম পর্যন্ত যেতে কোনও অসুবিধা নেই।


Source: Zee 24 Ghanta

Thursday, January 14, 2016

বারাসতে যাত্রা উত্‍‌সবের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী , নেই চিরঞ্জিত্‍‌

 বুধবার ২০তম রাজ্য যাত্রা উত্‍‌সবের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন বিকেলে বারাসত কাছারি ময়দানে ২০টি ঘণ্টা বাজিয়ে তিনি যাত্রা উত্‍‌সবের উদ্বোধন করেন৷ যাত্রার সঙ্গে যুক্ত মোট ১৬ জন শিল্পী ও কলাকুশলীকে সংবর্ধনাও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ এই সংবর্ধনা চলাকালীন এক মহিলা পুলিশের বেষ্টনী অতিক্রম করে নিরাপত্তা বলয়ে ঢুকে পড়ার কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ একটি খাম হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের অভিযোগ জমা দেওয়ার দাবিতে ওই মহিলা চিত্‍‌কার জুড়ে দেন৷ খুব দ্রুত মহিলা পুলিশ তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায়৷ পুলিশ সূত্রে ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করা হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কাছে যাত্রা শিল্পীদের আরও বেশি করে উত্‍‌সাহিত করার আবেদন জানান৷ তাঁর কথায় , ‘যাত্রার সঙ্গে মাটির সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে৷ ’


মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক , উপেন বিশ্বাস -সহ রাজ্য মন্ত্রিসভায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রতিনিধিত্বকারী সব মন্ত্রী , বিধায়ক ও প্রায় সব সাংসদ উপস্থিত ছিলেন৷ তবে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের পাশাপাশি বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত্ চক্রবর্তীর অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়৷ সাম্প্রতিক বিতর্কের কারণেই চিরঞ্জিত্ গরহাজির কি না সেই প্রশ্ন উঠে যায়৷ যদিও বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান , অসুস্থতার কারণেই এ দিনের অনুষ্ঠানে চিরঞ্জিত্ আসতে পারেননি৷ ’ এ দিন পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস জানান , আজ , বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বারাসতে যাত্রা হবে৷ তার পরের দিন থেকে ৩২ দিন ব্যাপী যাত্রা চলবে উত্তর কলকাতার বাগবাজারে ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে৷ অরূপবাবুর দাবি , তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে দুঃস্থ যাত্রা শিল্পীদের জন্য অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷ শিল্পীরা তার সুফলও পাচ্ছেন৷ তাঁদের সরকার যাত্রা শিল্পকে আরও ছড়িয়ে দিতে চায়৷ পরবর্তীকালে জেলায় জেলায় যাত্রা উত্সবের আয়োজন করার কথা ভাবা হচ্ছে৷

Source: Ei Samay

Tuesday, December 15, 2015

বারাসতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ব্রেনওয়্যারের

 রাজ্যে কম্পিউটার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ব্রেনওয়্যার এ বার বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে৷ সোমবারই এই বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে৷ রাজ্যে পালাবদলের পর সরকারি সহায়তাপুষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর নীতি নেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷ ইতিমধ্যে সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চালু হয়েছে৷


নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে? প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপালের অনুমতি পেলেই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে ইংরেজি নববর্ষের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ আপাতত কর্মসংস্থান উপযোগী নানা কোর্স খোলা হবে৷ তথ্যপ্রযুক্তি, ম্যানেজমেন্ট (বিশেষত, ডিজিট্যাল ম্যানেজমেন্ট), এন্টারপ্রেনারশিপ ছাড়াও গণিত এবং পদার্থবিদ্যা পড়ানো হবে৷ সেইসঙ্গে সৌরশক্তি, ওয়েব টেকনোলজি, মাল্টিমিডিয়া এবং ই-কমার্স ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে নজর দেওয়া হবে৷ প্রথম থেকে কর্মসংস্থানমুখী কোর্স খোলা হবে৷ বিধানসভায় বিল সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জবাবি ভাষণে বলেন, ‘রাজ্যের নানা প্রান্তে ১৯৯০ থেকে সংস্থাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে৷’


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের কাছে আকর্ষণীয় না-হলেও এই উদ্যোগ কেন?

ফাল্গুনীবাবুর জবাব, ‘রাজ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে প্রশিক্ষিতদের দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান ও উদ্যোগপতি হিসাবে গড়ে তুলেছে এই সংস্থা৷ আমাদের নিজস্ব প্লেসমেন্ট সেল আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর আমরা জেলায়-জেলায় প্লেসমেন্ট হাব গড়ে তুলব৷ প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার পর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠান সাড়া ফেলবেই৷ তাই আমাদের প্রথম থেকেই লক্ষ্য অল্প ছাত্র ও ভালো শিক্ষক৷’


পাঁচ বছর আগে বারাসতেই ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট এবং তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ শুরু করেছিল সংস্থা৷ সেগুলি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে৷ তার পরের বছরই পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আরও একটি পেশাদার কলেজ চালু করে৷ সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের স্নাতক ডিগ্রিও দেওয়া হয়৷ বারাসতেই ৯ একর জমির একাংশে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ যা সরকারি নিয়মের তুলনায় বেশি বলেই তাঁর দাবি৷

Source: Ei Samay

Sunday, May 17, 2015

পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার বেনজির নিয়ম, সিদ্ধান্ত বদল করল বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

 চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। সিদ্ধান্ত বদল করল বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার বেনজির নিয়ম করেছিল কর্তৃপক্ষ।

চব্বিশ ঘণ্টায় সেই খবর প্রচারিত হওয়ার পরই নিন্দার ঝড় ওঠে শিক্ষা মহলে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, পরীক্ষার্থীদের নাম খাতায় লিখতে হবে না। এই সংক্রান্ত চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপকদের। সম্প্রতি বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম চালু করে শুধু রেজিস্ট্রেশন নম্বর  আর রোল নম্বরই নয়। পরীক্ষার খাতায় লিখতে হবে নামও। বিএ, বিএসসি পার্ট থ্রি পরীক্ষার খাতায় লিখতে হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনজির এই নির্দেশিকায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। পক্ষপাতের সম্ভাবনা এড়াতে পরীক্ষার  খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার নিয়ম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু নেই। স্বভাবতই রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নয়া নির্দেশিকা ঘিরে শিক্ষামহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

পরীক্ষার খাতায় সাধারণত পরীক্ষার্থীর রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরই লিখতে হয়। পক্ষপাতের সম্ভাবনা এড়াতে পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার নিয়ম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু নেই। স্বভাবতই রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নয়া নির্দেশিকা ঘিরে শিক্ষামহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এই বেনজির নিয়ম নিয়ে সাফাই দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক অভিজিত্‍ তলাপাত্র।


Source: Zee 24 Ghanta