নতুন আবাসিক এলে রাখা হচ্ছে হোম কোয়ারান্টিনে, বারাসতের কিশলয় হোমে আইসোলেশন ঘরের ব্যবস্থা
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আইসোলেশন ঘর চালু হল বারাসতের কিশলয় হোমে। সেখানে রাখা হয়েছে কোয়ারান্টিনের ব্যবস্থাও। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা অনাথ শিশু-কিশোরদের মাধ্যমে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তাই এই ব্যবস্থা করেছেন হোম কর্তৃপক্ষ।
এই ব্যবস্থার মূল উদ্যোক্তা কিশলয় হোমের সুপার মলয় চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, হোমে নতুন কোনও আবাসিক এলে তার শারীরিক পরীক্ষা করে ১৪ দিনের জন্য এই আইসোলেশন ঘরে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি হোমের আবাসিকদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করেছেন হোম কর্তৃপক্ষ। ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোনও আবাসিককে গেটের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। বাইরে থেকে কেউ দেখাও করতে আসতে পারবে না। কিশলয় হোমে ১২৪ জন অনাথ আবাসিকদের রয়েছে। তাদের সুরক্ষার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন হোমের সুপার।
রবি, ফারুক, ইলিয়াস, শুভেন্দুদের মতো আবাসিকদের কাছে এই হোমই ঘরবাড়ি। ওই হোমে কেউ আছে ১০ বছর। কেউ আবার পাঁচ কিংবা সাত বছর। হোম থেকেই স্কুলে যেত তারা। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জেরে এখন তা পুরোপুরি বন্ধ। হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিন এক ঘণ্টা পর পর প্রত্যেক আবাসিকের হাত তরল সাবান দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে একটি করে সাবান ও একটি তোয়ালে। আবাসিকদের হাত ধোয়ানোর কাজটা করছেন হোমের কর্মীরাই। তাদের সচেতন করতে সকাল এবং বিকেলে প্রার্থনার সময় কী ভাবে হাত তরল সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে পরিষ্কার করতে হবে, তা হাতেকলমে দেখানো হচ্ছে। সচেতন করতে হোমের মধ্যে দেওয়া হয়েছে পোস্টারও।
হোমের সুপার মলয় চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, 'হোমটাই ১২৪ জন আবাসিকদের বাড়িঘর। এরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। এই পরিস্থিতিতে এদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের প্রধান দায়িত্ব।' সম্প্রতি নিমতা থেকে দুই আবাসিক এসেছে হোমে। আসার পরেই তাদের মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। তারা সুস্থ রয়েছে। তার পরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের আইসোলেশন ঘরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আবাসিকদের মাস্ক তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অফিসার হিমাংশু দাস আবাসিকদের মাস্ক তৈরি করা শেখাচ্ছেন।
Source: Ei Samay
No comments:
Post a Comment