Wednesday, May 24, 2023

বারাসত রুটে মেট্রোর কাজে বড় সাফল্য

 নোয়াপাড়া-বারাসত ভায়া বিমানবন্দর রুটে মাইকেলনগরে মেট্রোর টানেলের আগে বসল বিশেষ দেওয়াল। ব্যস্ততম জাতীয় সড়কের গাড়ির চাপ সামলে এটা করা সম্ভব হল অবশেষে। 



নোয়াপাড়া-বারাসত ভায়া বিমানবন্দর রুটে মাইকেলনগরে মেট্রোর কাজের বিরাট অগ্রগতি। ২৪.৮ মিটার ডায়াফ্রাম দেওয়ালে খাঁচা আটকানো সম্ভব হল। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯ মে থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। জাতীয় সড়ক ১২তে বাঁকরা এলাকায় অবশেষে সেই খাঁচা বসানো সম্ভব হয়েছে। এটি ২৬.১২৫ মিটার লম্বা ও ৫ মিটার চওড়া। অত্যন্ত ব্যস্ততম রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় এটা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।


মেট্রোর তরফে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশক মিত্র জানিয়েছেন,  জাতীয় সড়কের ব্যস্ততম মাইকেলনগর স্টেশনে ঢোকার মুখে তিনটি ডায়াফ্রাম ওয়াল স্থাপন করাটা চ্য়ালেঞ্জিং ছিল। সুপরিকল্পনা ও নানা মেশিনারির মাধ্যমে এটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

বিমানবন্দর স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হবে এই রুট। সহায়তা করার জন্য সকলকে ধন্য়বাদ জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে শহরের একাধিক মেট্রো প্রকল্প একেবারে পুরোদমে চলছে। 



মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি নিয়মিত কাজের উপর নজর রাখছেন। তিনি নিজেও বিভিন্ন সাইটে গিয়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে দেখে আসছেন। তবে এবার ভায়া বিমানবন্দর -বারাসাত রুটে বড় কাজ হয়ে গেল। একটা বড় চ্য়ালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে উতরে গেল কর্তৃপক্ষ।  কলকাতা মেট্রো। 


Friday, May 19, 2023

অ্যাস্ট্রোটার্ফের বদলে প্রাকৃতিক ঘাস লাগানোর সিদ্ধান্ত বারাসত স্টেডিয়ামে

 আগামী মরশুম থেকেই বারাসত স্টেডিয়ামে বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। তার জন‌্য মাঠে লাগানো কৃত্রিম ঘাস তুলে ফেলে প্রাকৃতিক ঘাস লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।


বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে কৃত্রিম ঘাস বা অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসিয়েছিল আইএফএ (IFA)। তারপর এই বারাসত স্টেডিয়ামে আই লিগ (I League) বা কলকাতা লিগের মতো বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হত। পরে কৃত্রিম ঘাসে খেলোয়াড়রা খেলার অনিচ্ছা প্রকাশ করায় এই মাঠে টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। জেলার বিগত প্রশাসনিক বৈঠকে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী স্টেডিয়ামের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেন।



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) স্টেডিয়ামের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই টাকায় গ্যালারি, প্রেস বক্স এবং রং করা হয়। কিন্তু, প্রায় চার বছর ধরে কোনও বড় টুর্নামেন্ট স্টেডিয়ামে হয়নি। এতদিন অবহেলাতেই পড়ে ছিল স্টেডিয়ামটি। অবশেষে মাঠটিকে খেলার উপযোগী করতে বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে আসেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাকৃতিক ঘাসের হাত ধরে আবারও এই মাঠে বড় টুর্নামেন্ট ফিরবে বলেই আশা স্থানীয় ফুটবল সমর্থকদের।

Source: Sangbad Pratidin

Thursday, May 18, 2023

বারাসত স্টেডিয়ামের মর্যাদা ফেরাতে সদলবলে ক্রীড়ামন্ত্রী

 একসময় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) ফুল ছড়াত ওই মাঠে। একসময় গোয়া-মুম্বই সফরে এসে পা রাখত ওই স্টেডিয়ামে। একসময় আই লিগ থেকে আইএফএ শিল্ড সব বড় টুর্নামেন্ট আয়োজিত হত সবুজে ঘেরা ওই মাঠে। আজ সেই মাঠই কার্যত খোয়াড় হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৫ বছর হল প্রথম সারির কোনও ফুটবল টুর্নমেন্ট আর হয়নি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আইএসএলে ঢোকার আগেই ব্রাত্য হয়ে গিয়েছে বারাসত স্টেডিয়াম। একসময় যে স্টেডিয়ামে রাতের ম্যাচে উজ্জ্বল হত বারাসত, সেই স্টেডিয়ামই কার্যত অন্ধকারে ডুবেছে। সরকারি গাফিলতি নাকি পরিচালন সমস্যা? আইলিগের সঙ্কোচন নাকি আইএসএলের বাড়বাড়ন্ত? কারণ যাই হোক না কেন, ভারতের ফুটবল মানচিত্রে বারাসত স্টেডিয়ামের গুরুত্ব আর নেই। দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। বারাসত স্টেডিয়ামকে (Barasat Vidyasagar Stadium) এ বার মূলস্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।


বারাসত বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রীড়া দপ্তর। আজ, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বারাসত ক্রীড়াঙ্গনে কোনও ফুটবল খেলা হয় না। স্টেডিয়ামের সমস্যা কী, তা খতিয়ে দেখতেই ক্রীড়ামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রশাসনের পুরো টিম হাজির স্টেডিয়ামে।


২০০৭ সালে ন্যাচারাল টার্ফের বদলে অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসেছিল বারাসতে। ওই সময়ই যুবভারতীতেও বসানো হয় কৃত্রিম ঘাস। আইলিগ সহ অন্যান্য টিমগুলো বারাসত, যুবভারতীর অ্যাস্ট্রোটার্ফের মান নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছিল। চোটের পরিমাণ বেড়েও গিয়েছিল ফুটবলারদের। যে কারণে কয়েক বছর পর যুবভারতী আবার ফেরে ন্যাচারাল ঘাসে। কিন্তু অজানা কারণে বারাসত সেই অ্যাস্ট্রোটার্ফই আঁকড়ে বসেছিল এতদিন।


এ দিন বারাসত স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের কৃত্রিম ঘাস বেশ কিছু জায়গায় কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। অ্যাস্ট্রোটার্ফের দশাও বেশ খারাপ। ঘরোয়া লিগের কিছু ম্যাচ অবশ্য হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। তারও সংখ্যা বেশ কম। ফলে এই স্টেডিয়াম এতদিন কার্যত পড়েই ছিল। ক্রীড়ামন্ত্রী স্টেডিয়ামের হাল দেখে হতাশ হয়েছেন। জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্টেডিয়ামের এই হাল কেন, খতিয়ে দেখতে অনতিবিলম্বে একটি কমিটি তৈরি করা হোক। ডোপিং টেস্ট রুম, মেডিকেল রুম, ড্রেসিং রুম, রেফারিদের রুম এবং অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।


রাজ্য সরকারের লক্ষ্য বারাসত স্টেডিয়ামকে আবার ‘বাঁচিয়ে তোলা’। একসময়ের সেই ঐতিহ্য, সেই মনোমুগ্ধকর নৈশালোক, সেই গমগমে গ্যালারি দ্রুত ফিরুক, সারা বারাসত যেমন চাইছে, রাজ্য সরকারও চাইছে।

Source: tv9bangla

Wednesday, May 3, 2023

ভুবন বাদ্যকর 'আইডল' ! গান করে চা বিক্রি বারাসতের যুবকের

 ফেমের ফাঁদে 'ভুবন পাতা'! কাঁচাবাদাম গান গেয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন বীরভূমের বাদাম বিক্রিতা ভুবন বাদ্যকর। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। হয়েছে ভুবনজোড়াা নাম।


তাঁকে কপালকে ‘ঈর্ষা’ করেছেন অনেকে। অনেকেই আবার ভুবনের মতো হতে চেয়েছেন। ভুবনের মতো ভাইরাল হওয়ার জন্য এবার চা বিক্রি করতে করতে গান গাইছেন বারাসত কাজিপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদা। জানান, তিনিও ভাইরাল হতে চান। আর সেই জন্যই ‘চা বিক্রি করতে করতে করতে ব়্যাপ করছেন তিনি। কোনও রাখঢাক না করেই এই যুবক স্পষ্ট জানালেন, ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল হওয়ার পরেই চা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। সঙ্গে গাইছেন গান। আশা, একদিন তো ভাইরাল হবেনই।


বারাসত আদালত চত্বরে চা বিক্রি করেন শাহজাদা। সঙ্গে সুর ধরেন "চা খাবে কি দাদা চা,খাবে কি আদা গোলমরিচ লবঙ্গ লিকার দিয়ে চা"। যদিও গান শুনিয়ে চা বিক্রি করলেও এখনও পর্যন্ত ভাইরাল হওয়ার 'সৌভাগ্য' তাঁর হয়নি।


নিজের লক্ষ্যের কথা নিয়ে চুপ চুপ রাখ ঢাক করেননি তিনি। শাহজাদা বলেন, “লকডাউনের সময় ভাইরাল হয়েছিলেন বাদাম কাকু। আমি তাঁকে দেখেই গান গেয়ে চা বিক্রি করা শুরু করেছিলাম। সকলেই চায় জনপ্রিয় হতে এবং সকলের মধ্যে পরিচিত হতে। আমিও ব্যতিক্রম নই। গান গেয়ে চা বিক্রি করি। এতেই অনেক মানুষ আসেন। তাঁরা চা পান করেন। ভালো লাগে। আর কী চাই!”


তাঁর কথায়, “এই গান আমি নিজে গেয়েছিলাম। ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশে তৈরি করেছিলাম।” যদিও এখনও পর্যন্ত নেটপাড়ার নজরে সেভাবে পড়েননি তিনি। স্রোতা যাঁরা তাঁর থেকে চা কিনছিলেন তাঁরাও আহামরি প্রশংসা করছেন না এই গানের। বারাসত কোর্ট চত্বরে তাঁর এক গ্রাহক বলেন, “চা অত্যন্ত ভালো। আদা দিয়ে ও চা করে। তবে আলাদা করে গানের বিষয়ে কিছু বলার নেই।”


গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় ভাইরাল হয়েছেন বহু ব্যক্তি। তালিকায় রয়েছেন ভুবন বাদ্যকর থেকে শুরু করে রাণু মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তাঁরা ক্ষণিকের জনপ্রিয়তা পেয়েও হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এখন দেখার শাহজাদা কি ভাইরাল হবেন?


অন্যদিকে, এই ‘ভাইরাল খিদে’ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে মনোবিদদের একাংশ। এক বিশিষ্ট মনোবিদের কথায়, “আগেও মানুষজনের লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার। কোনও ইচ্ছে কোনওদিন ভুল হতে পারে না। কিন্তু, তার জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন। হঠাৎ কে কবে এসে ভাইরাল করবে, সেই আশায় বসে থাকা একেবারে উচিত নয়।”


Source: Ei Samay