Sunday, January 26, 2020

প্রজাতন্ত্র দিবস নয়, বারাসতের সূবর্ণপত্তনবাসীর কাছে দিনটা 'মহালয়া'

উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাছেই বার্মা কলোনি। মূলত মায়ানমার থেকে আসা লোকজনের বাস। তবে লোকজন চেনে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কলোনি বলেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনী বা মাস্টারদা সূর্য সেনের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন- সেই সময়কার বিপ্লবীদের পরিজনরা এখনও থাকেন এখানেই।



দেশ স্বাধীন হয়েছে। অনেক লড়াইয়ে পর মিলেছে অধিকার। স্বাধীন দেশে বার্মা কলোনিতে বসতি গড়েন সংগ্রামীরা।  আজও তাই প্রজাতন্ত্র দিবস তাঁদের কাছে হয়ে উঠেছে 'মহালয়া'। পূর্বপুরুষদের স্মরণ করার দিন। এলাকার মানুষজনের মুখে মুখে ফেরে অগ্নিযুগের ইতিহাস। ছাতি চওড়া হয়ে যায় গর্বে। বার্মা কলোনির অবশ্য পোশাকি নাম সূবর্ণপত্তন। মণিমুক্তোর মত ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। আট থেকে আশি- সকলেই নাগাড়ে বলে যেতে পারেন সে সব। শুনতে শুনতে কেটে যাবে আস্ত দিন।

প্রজাতন্ত্র দিবস সে কারণেই একটু অন্যরকম বার্মা কলোনির। আজাদ হিন্দ ফৌজের কায়দাতে আজও চলে কুচকাওয়াজ। সামিল হয় এলাকার কচিকাঁচারা। বছর ৭০-এর স্বপন কুমার নন্দীর বাবা ছিলেন নেতাজির দেহরক্ষী। স্বপন বাবু বলেন, “বাবা মায়ের মুখে নেতাজির যে গল্প শুনেছি, স্মরণ করলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়।” 

রেনুকানাথ দত্তের স্বামী, ভাসুর দুজনেই আবার মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গে ছিলেন। প্রবীণদের কাছ থেকে অতীতের গল্প শুনে বিস্মিত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সূর্য চৌধুরী। তার কথায়,“আমি মায়ের মুখে শুনেছি আমাদের পাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাড়া”। ফেরার সময় পাড়ার মোড়ে নেতাজি বাল ব্রিগেড ক্লাবে উচ্চগ্রামে বাজছে “কদম কদম বাড়ায়ে যা”।


Source: Zee24Ghanta 

Sunday, January 12, 2020

বারাসতের স্টেশনের দেওয়াল বাঁচাতে ছবিতে সাজ

স্টেশনের দেওয়ালগুলি মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করে রং করা হত। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই ফের নোংরা হত গুটখা আর পানের পিকে। বিজ্ঞাপনের পোস্টারে বিসদৃশ হয়ে থাকত দেওয়ালও। এ বার সে সবই পরিষ্কার করে ছবি আঁকা হচ্ছে স্টেশনের দেওয়ালে। ভরে উঠছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি, মাদার টেরিজা, ট্রাম, পুরনো কলকাতার চালচিত্রে। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বারাসত জংশনে রেলের দেওয়ালে ছবি আঁকার পর্ব প্রায় শেষের পথে।


দেওয়াল সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি বাংলা তথা দেশের পুরনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যও এই প্রয়াস, দাবি পূর্ব রেলের। এমনই একটি দেওয়ালে ছবি আঁকছিলেন রাজারহাটের জামালপাড়ার বাসিন্দা দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘ছবিগুলি দেখে নতুন প্রজন্মও এ শহর, এ দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহী হবে। তাই সে সব নিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’’ অন্য এক শিল্পী সুশান্ত সরকার বলেন, ‘‘মূর্তি ভাঙা বা সৃষ্টিশীল জিনিসকে ধ্বংস করার প্রতিযোগিতা চলছে চারদিকে। সেই পরিস্থিতিতে দেওয়ালে ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলার এমন কাজ পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষ সকলের পক্ষেই সুন্দর বার্তা দেবে।’’


রেলের এই ভাবনার প্রশংসা করেছেন নিত্যযাত্রী থেকে বারাসতের বাসিন্দাদের বড় অংশ। বারাসত কলেজের পড়ুয়া রাজা দাসের দাবি, ‘‘ফাঁকা দেওয়াল দেখলেই গুটখা কিংবা পানের পিক ফেলে নোংরা করেন মানুষ। ছবি আঁকা দেওয়াল দেখে নিশ্চয়ই সেই প্রবণতা কমবে।’’ 


পূর্ব রেল সূত্রের খবর, সচেতন ভাবেই ছবিগুলির মধ্যে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন মনীষী, প্রকৃতি, বাউল এবং সাঁওতাল লোকনৃত্য, পুরনো কলকাতা, শহরের দর্শনীয় স্থান। নজর দেওয়া হয়েছে, স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের উপরেও। ছবি এঁকে এ ভাবে স্টেশনের দেওয়াল সাজিয়ে তুলতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল।


পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রেলযাত্রীরা যেন চোখের আরাম পান, সেই ভাবনা থেকে এই উদ্যোগ। পরীক্ষামূলক ভাবে এটা বারাসতে করা হল। ধীরে ধীরে অন্য স্টেশনগুলিতেও এমন কিছু করার ভাবনা রয়েছে।’’

Source: Ananda Bazar

Friday, January 10, 2020

বারাসতে যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকেই শিল্পীদের সহায়তা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের সুচনা

 ২৪তম যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনে এসে শিল্পীদের জন্য খুশির খবর শুনিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার দুঃস্থ যাত্রা শিল্পীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেই ভাতা এক লাফে দশ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় সাধুবাদ জানিয়েছেন যাত্রাশিল্পীরা।


প্রতি বছর বারাসতের কাছারি ময়দানেই হয়ে থাকে যাত্রা উৎসব। এ বছর যে উৎসব ২৪ বছরে পা দিল। বৃহস্পতিবার ছিল উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা। প্রদীপ জ্বালিয়ে, ঘণ্টা বাজিয়ে উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।


যাত্রা গ্রাম বাংলার কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শুধু প্রতি বছর যাত্রা উৎসব করাই নয়, এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং অন্যান্য কলাকুশলীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলেছে বর্তমান সরকার। দুঃস্থ যাত্রাশিল্পীদের জন্য বার্ষিক ভাতার ব্যবস্থাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে রাজ্য সরকারের ৬৪৪ জন দুঃস্থ যাত্রাশিল্পীকে বার্ষিক ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়। বারাসতের কাছারি ময়দানের যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকে এ দিন মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই ভাতা বৃদ্ধির ঘোষনা করলেন। জানালেন, ভাতার টাকা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হল। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মধ্যে যাত্রাশিল্পীদেরও যুক্ত করা হল বলে এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই হাততালিতে ফেটে পড়েন যাত্রাশিল্পীরা। কলকাতা যাত্রা কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক হারাধন রায় বলেন, 'দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুঃস্থ যাত্রাশিল্পীদের ভাতা ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে আমরা ভীষণ খুশি। একই সঙ্গে উনি যাত্রাশিল্পীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত করার কথাও এ দিন ঘোষণা করেছেন। এমন মানবিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ওঁকে ধন্যবাদ। কাছারি ময়দানে উপস্থিত যাত্রাশিল্পী দেবযানী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'যাত্রার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা যা রোজগার করেন, তাতে সঞ্চয় বিশেষ হয় না। ফলে এই সমস্ত শিল্পীদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা একজন যাত্রাশিল্পী হিসেবে আমার কাছে অত্যন্ত সুসংবাদ।'


এ দিন যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল এবং তপনকুমার পুরস্কার যাত্রাশিল্পীদের হাতে তুলে দেনন। বামি ভট্টাচার্য, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, মহুয়া ভট্টাচার্য, শুভ মুখোপাধ্যায়, সমীর সেনদের মতো যাত্রা ব্যক্তিত্বদের পুরস্কৃত করা হয়।


এ দিন যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৫১টি প্রকল্পের সূচনা করেছেন। যে প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৩১১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে দেগঙ্গা-হাড়োয়া পানীয় জল প্রকল্প যেমন আছে, তেমনই আছে জেলার ব্লকে রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন। এ ছাড়াও এ দিন মঞ্চ থেকে আড়াইশো কোটি টাকার নতুন প্রকল্প চালু করেন তিনি। এ দিনের মঞ্চ থেকেই সবুজশ্রী প্রকল্পে শিশু এবং মায়েদের হাতে চারা গাছ তুলে দিয়েছেন মমতা।


Source: Ei Samay

Friday, January 3, 2020

বিকল্প শিক্ষার রাস্তা ‘যাযাবর’ বারাসতের তরুণের ক্যামেরায় বন্দি

 পেশায় বলিউডের চিত্র পরিচালক। কিন্তু নেশায় যাযাবর। যে কারণে আপাতত লাইট-অ্যাকশন-ক্যামেরা ছেড়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন বারাসতের যুবক সৌরভ দত্ত। লক্ষ্য তাঁর একটাই- দেশের নবীন প্রজন্মকে বিকল্প শিক্ষার অঙ্গনে টেনে আনা। চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে যাঁরা শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন, সৌরভ তাঁদের ক্যামেরাবন্দি করছেন। তাঁদের নিয়ে তৈরি করছেন তথ্যচিত্র। ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে সেই গল্প ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দুনিয়ায়।


আদি প্রস্তর যুগের মানুষ খাবারের সন্ধানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াত। তাদের বলা হত যাযাবর। ইংরেজিতে নোম্যাড। সেটা মাথায় রেখেই সৌরভ চালু করেছেন 'নোম্যাড প্রোজেক্ট'।


বারাসতে কেটেছে সৌরভের ছোটবেলায। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে কাজের সন্ধানে সৌরভ পাড়ি দেন মুম্বইয়ে। তার পর সিনেমা তৈরির কাজে যুক্ত হন। বেশ কয়েকটি ছবিও পরিচালনা করেছেন তিনি। সৌরভের কথায়, '২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করেছি। সেই কাজ করার সময়েই আমার উপলব্ধি হয়, যেন শুধু টাকা রোজগারের জন্যই আমি কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করে কোনও মজা পাচ্ছি না।' তাঁর বক্তব্য, '২০১৬ সালে আমার ছেলে হয়। ক্রমশ সে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পড়াশোনার ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি, চেনা ছকের বাইরে বহু জায়গায় বিকল্প পদ্ধতিতে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।' সৌরভ বলেন, 'সে সব দেখে আমার চোখ খুলে যায়। তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিই, এই বিষয়কে আরও বেশি করে সামনে আনা দরকার। তার পর থেকে এই যাযাবরের জীবন বেছে নিয়েছি।'


সৌরভের কাছ থেকে জানা গেল, মহারাষ্ট্রের থানু এলাকায় একটি আদিবাসী স্কুল রয়েছে, যেখানে শিক্ষা দেওয়া হয় পুরোপুরি কম্পিউটারে। স্কুলে কোনও প্রথাগত ক্লাসরুম নেই। মাত্র তিনটি ঘর। সব ক্লাসের ছাত্রছাত্রী এক জায়গায় বসে কম্পিউটারেই লেখাপড়া শিখছে। ভিডিয়ো এবং হেডফোনের মাধ্যমে পড়ুয়াদের গল্প শোনানো হয়। কম্পিউটারে লগ ইন করে অঙ্ক, ইংরেজি, ভাষা সাহিত্য, ইতিহাস, ভূগোল সবই জানতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। পরীক্ষাও নেওয়া হয় কম্পিউটারে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালিত এই স্কুলে প্রায় ১২০ জন আদিবাসী পড়ুয়া। এ বছরই প্রথম দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দেবে ওই স্কুলের পড়ুয়ারা।


রাজস্থানের উদয়পুরে স্বরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও সিলেবাস নেই। এখানে ভর্তি হতে কোনও মার্কশিট দেখাতে হয় না। ছাত্রছাত্রীরা দু'বছরের জন্য এখানে ভর্তি হয়। ফি না-দিলেও চলে। ১৭ বছরের ছেলেমেয়েরা এখানে ভর্তি হতে পারে। দু'বছরের প্রোগ্রাম। ছাত্রদের বলা হয় খোঁজি। পাশ করে বেররোনার পর তাদের বলা হয় আঘাজিজ। পুনেতে একটি স্কুল আছে, যার নাম স্বয়াম্বোধ গুরুকূল। ৩০-৪০ জন পড়ুয়ার সঙ্কুলান সেখানে। যারা সাধারণ স্কুলে ফেল করে, মূলত তাদেরই নিয়ে আসা হয় এখানে। কী কারণে এক জন পড়ুয়া ফেল করেছে, সেটা প্রথমে খুঁজে বের করা হয়। সেই মতো তাদেরকে সঠিক ভাবে অভিনব পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয়।


মহারাষ্ট্রের কারজাত এলাকায় একটি স্কুল তৈরি হয়েছে, যেখানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিশেষ ভাবে সক্ষমরাও একই ক্লাসে পড়াশোনা করছে। এর ফলে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের মানসিক উদ্যম বাড়ছে। স্কুলের নাম 'সমাবেশি পাঠশালা'। সৌরভ দত্ত বলছেন, 'এখনও পর্যন্ত এই রকম প্রায় ৩০টি স্কুলের সন্ধান পেয়েছি, যারা শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য বিকল্প উপায় বেছে নিয়েছে। তার মধ্যে ১০টিকে ক্যামেরাবন্দি করতে পেরেছি।'

Source: Ei Samay