Sunday, May 17, 2015

পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার বেনজির নিয়ম, সিদ্ধান্ত বদল করল বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

 চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। সিদ্ধান্ত বদল করল বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার বেনজির নিয়ম করেছিল কর্তৃপক্ষ।

চব্বিশ ঘণ্টায় সেই খবর প্রচারিত হওয়ার পরই নিন্দার ঝড় ওঠে শিক্ষা মহলে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, পরীক্ষার্থীদের নাম খাতায় লিখতে হবে না। এই সংক্রান্ত চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপকদের। সম্প্রতি বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম চালু করে শুধু রেজিস্ট্রেশন নম্বর  আর রোল নম্বরই নয়। পরীক্ষার খাতায় লিখতে হবে নামও। বিএ, বিএসসি পার্ট থ্রি পরীক্ষার খাতায় লিখতে হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনজির এই নির্দেশিকায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। পক্ষপাতের সম্ভাবনা এড়াতে পরীক্ষার  খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার নিয়ম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু নেই। স্বভাবতই রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নয়া নির্দেশিকা ঘিরে শিক্ষামহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

পরীক্ষার খাতায় সাধারণত পরীক্ষার্থীর রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরই লিখতে হয়। পক্ষপাতের সম্ভাবনা এড়াতে পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার নিয়ম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু নেই। স্বভাবতই রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নয়া নির্দেশিকা ঘিরে শিক্ষামহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এই বেনজির নিয়ম নিয়ে সাফাই দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক অভিজিত্‍ তলাপাত্র।


Source: Zee 24 Ghanta

Saturday, May 16, 2015

পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার বেনজির নিয়ম চালু বারাসতের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে

 রেজিস্ট্রেশন নম্বর আর রোল নম্বরই শুধু নয়। পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার বেনজির নিয়ম এবার চালু হল বারাসতের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। সম্প্রতি বিএ, বিএসসি পার্ট থ্রি পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীদের নিজেদের নাম লিখতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনজির এই নির্দেশিকায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

পরীক্ষার খাতায় সাধারণত পরীক্ষার্থীর রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরই লিখতে হয়। পক্ষপাতের সম্ভাবনা এড়াতে পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর নাম লেখার নিয়ম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু নেই। স্বভাবতই রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নয়া নির্দেশিকা ঘিরে শিক্ষামহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এই বেনজির নিয়ম নিয়ে সাফাই দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক অভিজিত্‍ তলাপাত্র।

Source: Zee 24 Ghanta

Monday, May 11, 2015

বারাসতে ‘প্রয়াস’ উদ্যোগে সামিল সহৃদয় ডাক্তাররা

 এ যেন ছোটখাটো হাসপাতাল! হার্টের ডাক্তার থেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ-রবিবার সকালে সবাই হাজির উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত সঃলগ্ন হৃদয়পুরে৷


অস্থায়ী শামিয়ানা টানানো হয়েছে হৃদয়পুরের প্রণবানন্দ আশ্রম লাগোয়া একটি মাঠে৷ তার মধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সকদের চেম্বার৷ কেউ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, কেউ কিডনি চিকিত্‍সক, কেউ বা শিশুরোগের ডাক্তার৷ তাঁরা সবাই এ দিন রোগী দেখেছেন পারিশ্রমিক ছাড়াই৷ প্রতি বছরের মতো এ বছর ‘প্রয়াস’-এর কর্ণধার শ্যামল কুমার দাসের ডাকে সাড়া দিয়ে বিনামূল্যে হৃদয়পুরে রোগী দেখতে এসেছিলেন ২৯ জন চিকিত্‍সক৷


হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বিভু চক্রবর্তী রোগী দেখতে দেখতে বললেন, ‘শ্যামল অসাধারণ মানুষ৷ সমাজসেবাই ওঁর জীবনের ব্রত৷ তাই শ্যামল যখন বললেন, না করতে পারলাম না৷ একদিন না-হয় পারিশ্রমিক ছাড়াই রোগী দেখলাম৷’ বিভুবাবুর মতো ‘প্রয়াস’-এর স্বাস্থ্যশিবিরে চিকিত্‍সা করতে আসা অন্যান্য ডাক্তারদের মুখেও শোনা গেল শ্যামলবাবুর ভূয়সী প্রশংসা৷ তবে তাতে কোনও হেলদোল নেই আয়কর আধিকারিক শ্যামল কুমার দাসের৷ রোগীদের দেখভাল করা, চিকিত্‍সকদের গরমে কোনও কষ্ট হচ্ছে কি না, এ সব নিয়েই মাথাব্যথা তাঁর৷ কথায় কথায় শ্যামলবাবু বললেন, ‘সেই ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর এই স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করে আসছি৷ মানুষের জন্য কাজ করতে ভালো লাগে৷ কিন্তু আমি সামান্য সরকারি চাকুরে৷ কাজের ফাঁকে যতটা সময় পাই, সহ-নাগরিকদের বিপদে পাশে দাঁড়াই৷’


বছরে শুধু একটি স্বাস্থ্যশিবিরই নয়, স্বাস্থ্যশিবিরে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শ্যামলবাবুর নেতৃত্বে ‘প্রয়াস’-এর সদস্যরা রোগীদের নিয়ে হাসপাতাল, নার্সিংহোমে পর্যন্ত ছোটাছুটি করেন৷ বারাসতের বাসিন্দা ১৭ বছরের তিথি রায় ভুগছে মারাত্মক ‘অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’ রোগে৷ এদিন সে হৃদয়পুরে এসেছিল, কিন্ত্ত ডাক্তার দেখাতে নয়৷ তার প্রিয় শ্যামলকাকুর কাণ্ডকারখানা দেখতে৷ যেদিন থেকে তার মারাত্মক এই রোগ ধরা পড়েছে, সেদিন থেকেই তিথির লড়াইয়ের সঙ্গী শ্যামল৷ তিথিকে ভোকাল টনিক থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সকদের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা সবই নিজের হাতে করেছেন শ্যামলবাবু৷ এদিন তিথির মতো আরও ১৪ জন ক্যান্সার রোগীর লড়াই করার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে ‘প্রয়াস’৷ এই প্রসঙ্গে শ্যামলবাবু বলেন, ‘তিথি, সীমা মণ্ডল, সুপর্ণা রায়, বিশ্বনাথ ঘোষরা ক্যান্সারে ভুগছেন৷ তবুও দেখুন, হাসিমুখে বেঁচে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন ওঁরা৷ আমাদের শেখার আছে এই মানুষগুলির কাছ থেকে৷ যুবরাজ কিংবা মনীষা কৈরালাদের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইকে আমরা কুর্নিশ জানালে এঁদের কেন জানাব না? হতে পারে এঁরা তারকা নন, কিন্ত্ত এই মানুষগুলির লড়াইও কোনও অংশে কম নয়৷’


শ্যামলবাবুর এই প্রয়াসে এদিন শামিল হয়েছিলেন ফুটবলার শিল্টন পাল এবং অ্যাথলিট সুস্মিতা সিংহ রায়৷ তাঁরাও মুগ্ধ ‘প্রয়াস’-এর কর্মকাণ্ড দেখে৷ শিল্টন বলেন, ‘চাইলে যে কোনও মানুষই যে অনেক বড় কাজ করতে পারেন, শ্যামলদা তার জলন্ত উদাহরণ৷’ সুস্মিতা জানান, তিনি অভিভূত৷ ‘প্রয়াস’-এর এদিনের স্বাস্থশিবিরে হৃদয়পুর এবং সংলগ্ন এলাকার প্রায় ১২০০ জন রোগী এদিন বিভিন্ন চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিতে এসেছিলেন৷ হৃদয়পুরের বাসিন্দা শান্তি নন্দীর ক’দিন ধরেই বুকে ব্যথা৷ তিনিও এসেছিলেন ‘প্রয়াস’-এর স্বাস্থ্যশিবিরে৷ বললেন, ‘বহু বছর ধরেই আমাদের পরিবারে কারও অসুখ-বিসুখ হলে চিকিত্‍সকের আগে শ্যামলের খোঁজ পড়ে৷ এত পরোপকারী মানুষ খুব কম দেখেছি৷ সারা বছরই প্রয়াসের সদস্যরা রোগীদের নিয়ে এ হাসপাতাল সে হাসপাতাল করে বেড়ায়৷’ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সৌরভ দাস তার বাবার সঙ্গে এসেছিল চিকিত্‍সক প্রণব বিশ্বাসকে দেখাতে৷ ডাক্তারবাবুর ‘চেম্বার থেকে বেরিয়ে বিস্মিতমুখে সৌরভ বলল, ‘এরকম ডাক্তারখানা আগে দেখিনি৷ মাঠে প্যান্ডেলের মধ্যে চেম্বার৷ দারুণ তো!’ এ দিনের স্বাস্থ্যশিবিরে বিভু চক্রবর্তী, প্রণব বিশ্বাস ছাড়াও ছিলেন সুপ্রিয় সরকার, হিমাদ্রি সাহা, জয়ন্ত দাসের মতো আরও অনেকে৷

Source: Ei Samay