রাজ্যে কম্পিউটার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ব্রেনওয়্যার এ বার বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে৷ সোমবারই এই বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে৷ রাজ্যে পালাবদলের পর সরকারি সহায়তাপুষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর নীতি নেয় উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷ ইতিমধ্যে সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চালু হয়েছে৷
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে? প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপালের অনুমতি পেলেই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে ইংরেজি নববর্ষের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ আপাতত কর্মসংস্থান উপযোগী নানা কোর্স খোলা হবে৷ তথ্যপ্রযুক্তি, ম্যানেজমেন্ট (বিশেষত, ডিজিট্যাল ম্যানেজমেন্ট), এন্টারপ্রেনারশিপ ছাড়াও গণিত এবং পদার্থবিদ্যা পড়ানো হবে৷ সেইসঙ্গে সৌরশক্তি, ওয়েব টেকনোলজি, মাল্টিমিডিয়া এবং ই-কমার্স ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে নজর দেওয়া হবে৷ প্রথম থেকে কর্মসংস্থানমুখী কোর্স খোলা হবে৷ বিধানসভায় বিল সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জবাবি ভাষণে বলেন, ‘রাজ্যের নানা প্রান্তে ১৯৯০ থেকে সংস্থাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে৷’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের কাছে আকর্ষণীয় না-হলেও এই উদ্যোগ কেন?
ফাল্গুনীবাবুর জবাব, ‘রাজ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে প্রশিক্ষিতদের দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান ও উদ্যোগপতি হিসাবে গড়ে তুলেছে এই সংস্থা৷ আমাদের নিজস্ব প্লেসমেন্ট সেল আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর আমরা জেলায়-জেলায় প্লেসমেন্ট হাব গড়ে তুলব৷ প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার পর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠান সাড়া ফেলবেই৷ তাই আমাদের প্রথম থেকেই লক্ষ্য অল্প ছাত্র ও ভালো শিক্ষক৷’
পাঁচ বছর আগে বারাসতেই ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট এবং তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ শুরু করেছিল সংস্থা৷ সেগুলি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে৷ তার পরের বছরই পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আরও একটি পেশাদার কলেজ চালু করে৷ সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের স্নাতক ডিগ্রিও দেওয়া হয়৷ বারাসতেই ৯ একর জমির একাংশে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ যা সরকারি নিয়মের তুলনায় বেশি বলেই তাঁর দাবি৷
Source: Ei Samay