Saturday, December 24, 2011
Friday, November 4, 2011
Tuesday, October 18, 2011
যুবভারতীর বিকল্প,বারাসাত স্টেডিয়াম
আই লিগে কলকাতার দলগুলির ম্যাচের জন্য যুবভারতীর বিকল্প মাঠ হতে পারে বারাসাত স্টেডিয়াম। দর্শকহাঙ্গামার জন্য সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কালোতালিকাভুক্ত ছিল এই স্টেডিয়ামটি। এবার আই লিগে অংশগ্রহণ করছে কলকাতার চারটি দল।ইস্টবেঙ্গল,মোহনবাগান,প্রয়াগ ছাড়াও পৈলান অ্যারোজও তাদের হোম ম্যাম খেলবে যুবভারতীতেই।
এর ফলে যুবভারতীর উপর চাপ বাড়বে।তাই আইএফএ কর্তারা চাইছেন,বিকল্প মাঠ হিসাবে বারাসাত স্টেডিয়ামকে প্রস্তুত রাখতে।
Source: Zee News
Friday, October 14, 2011
Friday, September 16, 2011
বারাসাতের ইতিহাসের আর এক অধ্যায়
• ১৮৪৭খ্রিস্টাব্দে কালীকৃষ্ণ মিত্রের উদ্যোগে ও অন্যান্য বিশিষ্ট মানুষের সহযোগিতায় ভারতের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় “কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়” স্থাপিত হয় বারাসাতে।
• বারাসাতের দৃষ্টান্তে দত্তপুকুরের আরেক শিক্ষানুরাগী কালীকৃষ্ণ দত্ত ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ইনি ছিলেন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার যন্ত্রাধ্যক্ষ। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসগরের পৃষ্ঠপোষকতায় ও অর্থসাহায্য এই বিদ্যালয়ের ভিত্তি- জ স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এই অর্থ সাহায্য চালিয়ে গেছেন তাঁর পিতার মৃত্যুর পরেও।
• সিপাহী বিদ্রোহের ৩ বছর পূর্বে বসিরহাটের ভ্যাবলা গ্রামে ২৩ সে জুন ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা ভগবানচন্দ্র বারাসাত আদালতের নামাজাদা উকিল ছিলেন।
• ঐ সময়ি বারাসাতে ডঃ নবিনকৃষ্ণ মিত্রের দুষ্প্রাপ্য বৃক্ষ সমন্বিত যে উদ্যানটি ছিল দেড়শো বিঘের উপর, সেখানে বিলিতি যন্ত্রে চাষ হত। হাইকোর্টের বিচার পতি প্রিন্সেপ, ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক উচ্চপ্রসংসিত এই উদ্যানে পরবর্তীকালে বাস করতেন। পরে ১৯০৬ সালে ওই যায়গায় বারাসাত-বসিরহাট রেলপথ বসান তৎকালীন নামজাদা ইঞ্জিনিয়ার রাজেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ।
• কালীকৃষ্ণ মিত্র তথা বারাসাতের নাগরিক সমাজ বিদ্যাসগরের বিধবা বিবাহ আন্দোলনে সক্রিয় সাহায্য করেন। ৭ই ডিসেম্বর ১৮৫৫ সালে কালীকৃষ্ণ মিত্রের নেতৃত্বে বারাসাত ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩১৬ জন নাগরিক বিধবা বিবাহের সমর্থনে সাক্ষর দিয়ে ভারত সরকারের কাছে পাঠান। ১০ই এপ্রিল ১৮৫৬ তারিখে এই রূপ আরও একটি আবেদন পত্র সরকারের কাছে পাঠানো হয়। ২৭শে ডিসেম্বর ১৮৫৬ তারিখে বিদ্যাসগর মহাশয় বিধবা বিবাহ রহিত করার জন্য সরকারের কাছে একটি আবেদন পত্র পাঠান। এক্ষেত্রেও বারাসাত বাসীর সংগ্রহীত সাক্ষর পাঠান যা ওই তথ্য কে আরও সুগঠিত করে।
• ১৮৫৪ সালে হাটখোলা ডিস্পেন্সি ( বারাসাত জেলা হাসাপাতালের পুর্ব নাম) শুরু হয় বারাসাতের হাটখোলায়। ১৯৬১ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে নাম হয় বারাসাত জেলা হাসপাতাল এবং বর্তমান স্থানে পরিবর্তিত হয়।
• ভারতের প্রথম ডিপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাদ্ধায়ের (১৮৩৮-১৮৯৪) অফিস বারাসাতে ছিল। তিনি ১৮৫৮ সালে ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে আসেন এবং ১৮৯১ সাল পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
• ১৯১০ সালে নাট্যশিল্প চর্চায় গঠিত হয় “বারাসাত ইভিনিং ক্লাব”।
• ১৯১১ সালে বারাসাত ট্রেনিং স্কুল ও বারাসাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়।
• ১৯১৩ সালে বারাসাত অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন পাঠাগার ও জগৃতি সঙ্ঘের হাতে লেখা পত্রিকার প্রকাশ।
• ১৯১৫ সালে কাছারি ময়দানে বারাসাত চ্যালেঞ্জ কাপ নামক খেলার শুভারম্ভ।
• অসহযোগ আন্দোলনের সময় ১৯২১ সালে বারাসাতের ভাগিরথ চট্টোপাধ্যায়ের ভুমিকা উল্লেখ যোগ্য।
• ১৯২১ সালে বারাসাতের প্রথম দৈনিক পত্রিকা “পল্লি বার্তা”-এর প্রকাশিত হয়।
• ১৯৪০ সালে শ্যামবাজার-কলকাতা-বারাসাত বাস চলাচল।
• ১৯৩৯ সালে ছাত্র ফেডারেশনের প্রথম সভা, “বারাসাত গার্লস্ স্কুল” প্রতিষ্ঠা সহ জনয়িক সিন্ধি ব্যবসায়ীর “ছায়াবানি সিনেমা হল” প্রতিষ্ঠা। এই সময় ছটোজাগুলিয়ার প্রিয়নাথ বসুর সার্কাস ভারতের প্রথম সার্কাস।
• ১৯৪৭ সালে গান্ধী ও শহিদ সুরাবর্দি বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে বক্তৃতা রাখেন।
• ১৯৪৬ সালে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহযোগিতায় পেরিচরন সরকার “বারাসাত গভর্নমেন্ট স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন।
• ১৯৭২ সালে বারাসাত রেলে ইলেকট্রিক লাইন আসে।
• বর্তমানে যেখানে বাস স্ট্যান্ড (তিতুমির বাস স্ট্যান্ড) সেখানে আগে ফাসি দেয়া হতো।
• ১৯৭১ সালে জমাত ইসলামরা বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর প্রবল অত্যাচার শুরু করলে ১৬০০ –এর চেয়ে বেশি হিন্দু বিনা পাসপোর্টে বারাসাত সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকতে শুরু করে।