Wednesday, May 12, 2021

করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক

 করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮। কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ হয়ে বাগুইআটির হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক সৌমেন্দ্রনাথ রায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে ওই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, মৃত বিচারক সৌমেন্দ্রনাথ রায় বারাসত আদালতে কর্মরত ছিলেন। আদতে হাওড়ার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে সপরিবারে বারাসতেই থাকতেন তিনি। তাঁর স্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। দম্পতির এক মেয়ে বর্তমানে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরতা।


গত ১৬ এপ্রিল শেষবারের মতো আদালতের কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার দু’‌দিনের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন বিচারক। ১৯ এপ্রিল এয়ারপোর্ট সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় সৌমেন্দ্রনাথবাবুকে। এরপর সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর।

সেখানেই কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি ডায়াবিটিসও ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তার পরই সৌমেন্দ্রবাবুকে তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শেষমেশ তাঁকে ইসিএমও সার্পোটে দিয়ে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোর ৫ টা নাগাদ একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে।

Source: Hindustan Times


Saturday, April 17, 2021

বারাসত জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, প্রচুর কোভিড ভ্যাকসিন নষ্টের আশঙ্কা

 বারাসতে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। দমকলের ১২ টি ইঞ্জিনের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে আগুন। তবে এখনও ধোঁয়ার চাদরে মুড়ে রয়েছে চারিপাশ। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রচুর করোনার ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে আচমকা আগুন লাগে বারাসতের ডেপুটি CMOH-এর অফিসে। মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি প্রথমে টের পাননি কেউ। আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠার পর স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারেন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। আগুনের লেলিহান শিখাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১২ টি ইঞ্জিন। তবে ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দমকল। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে এলাকা। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘটনার নেপথ্যে শর্ট সার্কিট।


উল্লেখ্য, বারাসতের ডেপুটি CMOH-এর ওই অফিসেই মজুত থাকত প্রচুর ওষুধ। জানা যাচ্ছে, প্রচুর পরিমাণ কোভিডের ভ্যাকসিন মজুত করা ছিল সেখানে। এই অগ্নিকাণ্ডে সেই টিকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোটের মরশুমে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভ্যাকসিনের চাহিদাও। এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের।


Source: Sanbad Pratidin

Thursday, March 18, 2021

প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের বিক্ষোভে তপ্ত বারাসত

 আজ ফের ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন বারাসত DPSC অফিসের সামনে।২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের প্রথম মেরিট লিস্টে যাদের নাম এসেছে মূলত তাঁরাই আজ আন্দোলনে সামিল হন। তাঁদের দাবি, গত ১৮ ফেব্রিয়ারি প্রথম মেরিট লিস্টের অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের প্রথম কাউন্সিলিং শুরু হয়। সেদিন ৫৪৭ জনের কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তারপর স্থগিত হয়ে যায় বলে অভিযোগ।এরপর আদালত থেকেও একটা স্থগিতাদেশ আসে।কিন্ত, গত ১৫ দিন আগে সেই স্থগিতাদেশ উঠে যায় অর্থাৎ গত ৪ মার্চ সেই স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও বাকি থাকে পদপ্রার্থীদের কাউন্সিলিং শুরু করা হয়নি।সেই সংখ্যাটাও প্রায় ৬৫০ জন।


আন্দোলনকারীদের দাবি DI কথা দিয়েছিলেন বাকিদের তালিকা চলে এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া চালু করা হবে। সেইমতো গতকাল তালিকা চলে এসেছে। কিন্তু, তালিকা আসার পরও এখনও পর্যন্ত কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া চালু করা হয়নি। আন্দোলনকারিদের মধ্যে দু'জন DI-এর সঙ্গে দেখা করতে যান। DI-এর বক্তব্য, তিনি এখন ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও নোটিশ পাননি। তাই এই কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া তিনি চালু করতে পারছেন না। আন্দোলনকারীদের দাবি, DI ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চাপ সৃষ্টি করুক,ফোন করে জানার চেষ্টা করুক।

হাইকোর্টে নির্দেশ-সহ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেন কাউন্সিলিং শুরু করা হচ্ছে না এই দাবি নিয়ে তাঁরা বারাসত DPSC অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। তাঁদের দাবি,আজই কাউন্সিলিং শুরু করে তাঁদের হাতে নিয়োগ পত্র দিতে হবে, না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগোবেন।পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীদে চার-পাঁচ জনকে DPSC অফিসের ভিতর ঢুকিয়ে নিয়ে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের উপর কোনও অত্যাচার করা হচ্ছে কিনা এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রশাসনও তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ।


Source: Ei Samay 

Thursday, February 4, 2021

বারাসতে মেট্রো যাবে মাটির নীচ দিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাটল জমিজট

 নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে বিমানবন্দর – বারাসত মেট্রোর জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে মমতা জানান, নিউ বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত রাস্তার পাশে জমি অধিগ্রহণ অসম্ভব।


মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ ও প্রধানমন্ত্রীর তৎপরতায় কাটল বিমানবন্দর – বারাসত মেট্রোর জমি জট। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিউ বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো যাবে মাটির নীচ দিয়ে। ফলে প্রয়োজন হবে না জমি অধিগ্রহণের। ওই অংশে জমি অধিগ্রহণে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে বিমানবন্দর – বারাসত মেট্রোর জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে মমতা জানান, নিউ বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত রাস্তার পাশে জমি অধিগ্রহণ অসম্ভব। তাই ওই অংশে মেট্রো যাক মাটির নীচ দিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে রেল মন্ত্রককে এব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। 


উত্তর শহরতলিকে কলকাতার সঙ্গে জুড়তে বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। বিমানবন্দর থেকে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো আসবে যশোর রোড ধরে। কিন্তু তার পর রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় মাটির ওপর দিয়ে মেট্রো নিয়ে যেতে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাটল সেই জট। 

Saturday, January 30, 2021

মোমবাতির আলোয় মুছে গেল বিভেদ, বারাসতে পথশিশুদের জন্য অভিনব উদ্যোগ

 সাম্য-বৈষম্য নিয়ে গলা ফাটানোর লোকের অভাব নেই। কিন্তু ভরপেট খাবার জোগাবে কে? তাই চায়ের দোকানের বিতর্কে কোনও আগ্রহই পায় না ওরা। বরং দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগার করতেই দিন কেটে যায়। তবে রোজকার এই সংগ্রাম থেকে এক দিনের জন্য হলেও তা থেকে নিস্তার পেল বারাসতের পথশিশুরা। নেহাত ‘কাঙালিভোজন’ নয় বরং অতিথিরূপে তাঁদের আপ্যায়ন করলেন এক চিকিৎসক।


বারাসতের বাসিন্দা চিকিৎসক অরুণ গণের নিজের দুই সন্তান রাতুল এবং শ্রেষ্ঠার জন্মদিন পালন করতে বারাসত সমন্বয় পরিবারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন পথশিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চান। সেই উপলক্ষে সঠিক অর্থেই সমন্বয়ের সাক্ষী থাকল বারাসত। মোমের আলোয় কেক কেটে, নাচ, গান, আবৃত্তি এবং খেলার মাধ্যমে শৈশব ফিরে পেল পথশিশুরা। ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘এই একটা দিন শিশুদের সঙ্গে থাকতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’



Source: AnandaBazar

Sunday, January 10, 2021

বারাসাত থেকে দার্জিলিং সচেতনতা যাত্রায় ব্লাড ডোনার্স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্যদের মালদহে সংবর্ধনা

  স্বেচ্ছায় রক্তদান, ভয়াবহ থ্যালাসিমিয়া, পরিবেশদূষণ রোধে বারাসাত থেকে দার্জিলিং সচেতনতা যাত্রা ব্লাড ডোনার্স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের। শনিবার  ৪০ জন মোটরসাইকেল আরোহীদের নিয়ে মালদা জেলার সাদর অভ্যর্থনা ও এল আই সি মোড়ে পথসভা করা হয়। উদ্যোগে সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্স এবং সহযোগিতায় ভারত স্কাউটস্  অ্যান্ড গাইডস্।

 অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অমিতাভ  মন্ডল,  সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্স মালদার  সম্পাদক সৌমিত্র সরকার,  ব্লাড ডোনার্স ওয়েলফেয়ার অর্গানিজেশন বারাসত সম্পাদক সুজন শিকদার, ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদার সম্পাদক নিরঞ্জন প্রামানিক,  ভারত স্কাউটস্ অ্যান্ড গাইডস্ মালদা  জেলা রক্তদান শিবির আহ্বায়ক অনিল কুমার সাহা,  মালদা মেডিকেল কলেজ ব্লাড সেন্টারের চিকিৎসক অশোক চক্রবর্তী ও সুশান্ত ব্যানার্জি প্রমূখ এবং মালদা জেলার ৩৫ টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও আগত যাত্রীদের সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয়।


Source: Newsbazar24

Friday, December 4, 2020

Halum Hulum Food Centre, one of the best street food vendors of Barasat

বাংলায় এম এ পাশ করা এক শিক্ষিত যুবকের দৈনিক লড়াই এর কাহিনী। বারাসাত এর নিবেদিতাপল্লি নিবাসি বিবেক মন্ডল বারাসাত ডাকবাংলো মোড়ের এর কাছে এলাহাবাদ ব্যাংক এর বিপরীত এ ফুটপাত এ চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস, বিরিয়ানি বিক্রি করে তার সংসার চালান। রাস্তার পাশের ফুডস্টল, নাম দিয়েছেন হালুম, হুলুম ফুড সেন্টার


যাতায়াত এর কারনে প্রায় রোজই চোখে পরে, কিন্তু কোনো দিন গিয়ে খাওয়ার সুযোগ বা সময় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু কাল রাতে এই ভিডিও টা চোখে পরায় এটা কে শেয়ার করার সুযোগ হাতছাড়া করলাম না। যিনি এই ভিডিও টা করেছেন, তাকে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। 

Friday, November 27, 2020

ফুটবলের রাজপুত্র, স্টেডিয়াম আর এক রাশ স্মৃতি বারাসতের কাছে

ফুটবল পাগল বাঙালির কাছে দিয়েগো মারাদোনা যেন ঈশ্বরসম। তাঁর সময়ে তাঁকে ছোঁয়া, দেখা, স্পর্শ করা সবই ছিল বাঙালির কাছে কল্পনা, অবাস্তব ভাবনা। উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসতের মানুষের সেই কল্পনা বাস্তব হল, ২০১৭ সালে শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের উদ্যোগে। একটি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে মারাদোনা উপস্থিত হলেন বারাসতে। ‘হ্যান্ড অব গড’-এর মালিক তখন হাতের নাগালে। মারাদোনা আজ শুধুই স্মৃতিতে। বারাসত স্কুলের সেই স্টেডিয়ামে রয়ে গিয়েছে সে দিনের স্মৃতি।


স্কুলের চেয়ারম্যান অনির্বাণ আদিত্য বলেন, “মারাদোনা আসার দিন বেশ কয়েকবার পাল্টে যায় তাঁর অসুস্থতার কারণে। কিন্তু আচমকা যখন দিন ঠিক হল, আমরা চার মাসের মধ্যে গোটা স্টেডিয়ামটা তৈরি করে ফেলেছিলাম। দিয়াগো ভার্সেস দাদা (সৌরভ গাঙ্গুলি) একটি ম্যাচ রাখা হয়েছিল অনুষ্ঠানের দিন। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তিনি ম্যাচটা খেলতে পারেননি। আর তারপরই হঠাৎ তিনি স্কুলের ছেলে মেয়েদের নিয়ে একটি ফুটবল ওয়ার্কশপ শুরু করে দেন।” বাংলাতে মেয়েরা ফুটবলে এই ভাবে অংশ নেয় তা দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন মারাদোনা। সে দিন তাঁর কাছ থেকে ফুটবলের ট্রেনিং পাওয়া এক ছাত্রী অদিতি রায় বলেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান যে এত মানুষের মধ্যে ওনার সঙ্গে  ফুটবলে পা মেলাতে পেরেছিলাম।” অন্য এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র দীপ্তক বিদ্যার্থী বলেন, ‘‘মারাদোনা আমাদের অনুপ্রেরণা। তাঁর দর্শন মানে ঈশ্বরের দর্শন।’’ স্কুলের প্রিন্সিপাল পারমিতা ঘোষাল বলেন, “সে দিনের স্মৃতি বারবার মনে পড়ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত ফুটবলার শ্যাম থাপা,  দীপেন্দু বিশ্বাস, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মনোজ তিওয়ারির মতো বিখ্যাত খেলোয়াড়।’’ 


সেই দিন মারাদোনার সঙ্গে মাঠের পর ওঁর হোটেলের ঘরে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলেন ফুটবলার ও বিধায়ক দিপেন্দু বিশ্বাস। তার সঙ্গে ভারতীয় ফুটবল, ডার্বি, দর্শক এই সব নিয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ফুটবলের ঈশ্বর মারাদোনার বাঁ পা আমি হাত দিয়ে ধরতে পেরেছি সেই দিন। এটা আমার সারা জীবনের বড় স্মৃতি।’’


একটা স্কুলের অনুষ্ঠানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন। বারাসাত টাকি রোড জুড়ে ছিল মানুষের ভিড়। যাঁরা কাছে পৌঁছতে পারেননি, তাঁদের দূর থেকে দেখেই আশ মেটাতে হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহম্মদ আলি বলেন, ‘‘গাড়ির মধ্যে থেকে হাত নাড়তে নাড়তে চলে গিয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র।’’


Source: Ananda Bazar 

বারাসতে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরাও পাবেন সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা

 অনেকেই এখন হোম আইসোলেশনে থেকে করোনার সঙ্গে লড়ছেন। বারাসত পুরসভা এলাকায় এ বার সেই রকম রোগীরাও সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার বারাসত পুরসভায় বৈঠক হয়। কী ভাবে এই পরিষেবা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। গোটা রাজ্যেই এমন পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।


বারাসতের মুখ্য পৌর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের মতে, অনেক সময় করোনা টেস্ট পজিটিভ এলেও সে খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছচ্ছে না বা দেরিতে পৌঁছচ্ছে। ভীতি বা আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে অনেকে বাড়িতে থাকতে চাইছেন। তাই যাতে মানুষ ভীত না হন এবং বাড়িতে বসেই করোনার সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা পান, সে জন্যই এই উদ্যোগ।


হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের টেলিফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা চালানো হবে। যদি অবস্থার অবনতি হয় তবে তাঁদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।


বুধবারের বৈঠকে সুনীল ছাড়াও ছিলেন বারাসতের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা তাপস রায় এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বারাসত শাখার প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ সাহা এবং জেলার কোভিড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বিবর্তন সাহা।


Source: Ananda Bazar

কাজীপাড়া ব্রিজের যানজট! বারাসতে নাজেহাল বাসিন্দারা চান শুধু একটা ব্রিজ

 একটা ব্রিজ চাইছে বারাসত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন এই একটি ব্রিজই দিতে পারে আপাত স্বস্তি। অন্তত জেলা সদর শহরকে কিছুটা যানজটের হাত থেকে বাঁচাতে পারে একটি চওড়া ব্রিজ। বারাসত চাঁপাডালি মোড় থেকে পূর্ব দিকে এগোলেই তিতুমীর বাস স্ট্যান্ডে ঢোকার পথ, মাছ বাজার, তারপর জেলা সদর হাসপাতাল, তারপর কাজীপাড়া রেলগেট আর এই জগদীঘাটা ব্রিজ। বনগাঁ,  হাবরার মত শহরের সঙ্গে জেলা সদর ও কলকাতার যোগাযোগের সহজতম পথ হল যশোর রোড।যাকে ৩৫ নং জাতীয় সড়ক বলে জানেন লোকে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের জন্য এই যশোর রোড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


কলকাতা শহর বা বারাসাত হয়ে গাড়িগুলি বনগাঁর দিকে এগোতে গেলে এই অপরিসর ব্রিজ হয়ে উঠছে প্রধান সমস্যা। দুই দিক থেকে বাস, ট্রাক, অটো, টোটো এসে জট পাকিয়ে যায় এখানে। এমনিতেই বারাসত চাঁপাডালি মোড় একপ্রকার পাকদন্ডির মত। সামান্য দূরত্বে বেশ কয়েকটি মোড় আর রাস্তার সংযোস্থল হওয়ায় যানজট অতি স্বাভাবিক ঘটনা। তার উপর এই কাজীপাড়া ব্রিজের কারনে যানজটে নাজেহাল সাধারন মানুষ।


আর কাজীপাড়া ব্রিজের  জটের রেশ গিয়ে পড়ে সারা শহরে। এই ১০ মিনিটের পথ পাড় হতে তখন সময় লেগে যায় এক ঘন্টা, দাবি এই পথের অটো চালক তারক হাজরার। ছোটবেলা থেকেই এই সরু ব্রিজ চওড়া হবে শুনে আসছেন এনতিয়াজ আলি। কাজীপাড়ার বাসিন্দা এনতিয়াজের দাবি এই ব্রিজের দু’ধারের দোকানগুলি সরানোই ব্রিজ চওড়া হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা। সেই ছোট্ট কাজীপাড়া ব্রিজই এখন শহরের যানজটের অন্যতম সমস্যা। আ্যাম্বুলেন্স হোক আর যাত্রী বোঝাই বাস হোক, নিস্তার নেই কারও। সকালে অফিস টাইম আর সন্ধ্যায় এই পথ সব যাত্রীদের যাতায়াত  বিরক্তিকর ও বিপদজনক।


ছোটখাটো দূর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে মত এই পথের যাত্রীদের। বারাসত পুরসভার পুর প্রশাসক সুনীল মুখার্জি র অভিযোগ গত ১০ বছরে বারবার ন্যাশানাল হাইওয়ের অথরিটিকে বারবার বলা হয়েছে কাজীপাড়া ব্রিজ চওড়া করতে। পুরপ্রশাসকের আক্ষেপ, বারবার বলা সত্বেও সমাধান হয়নি এই ব্রিজের সমস্যার।


Source: News 18