Wednesday, May 3, 2023

ভুবন বাদ্যকর 'আইডল' ! গান করে চা বিক্রি বারাসতের যুবকের

 ফেমের ফাঁদে 'ভুবন পাতা'! কাঁচাবাদাম গান গেয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন বীরভূমের বাদাম বিক্রিতা ভুবন বাদ্যকর। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। হয়েছে ভুবনজোড়াা নাম।


তাঁকে কপালকে ‘ঈর্ষা’ করেছেন অনেকে। অনেকেই আবার ভুবনের মতো হতে চেয়েছেন। ভুবনের মতো ভাইরাল হওয়ার জন্য এবার চা বিক্রি করতে করতে গান গাইছেন বারাসত কাজিপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদা। জানান, তিনিও ভাইরাল হতে চান। আর সেই জন্যই ‘চা বিক্রি করতে করতে করতে ব়্যাপ করছেন তিনি। কোনও রাখঢাক না করেই এই যুবক স্পষ্ট জানালেন, ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল হওয়ার পরেই চা বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। সঙ্গে গাইছেন গান। আশা, একদিন তো ভাইরাল হবেনই।


বারাসত আদালত চত্বরে চা বিক্রি করেন শাহজাদা। সঙ্গে সুর ধরেন "চা খাবে কি দাদা চা,খাবে কি আদা গোলমরিচ লবঙ্গ লিকার দিয়ে চা"। যদিও গান শুনিয়ে চা বিক্রি করলেও এখনও পর্যন্ত ভাইরাল হওয়ার 'সৌভাগ্য' তাঁর হয়নি।


নিজের লক্ষ্যের কথা নিয়ে চুপ চুপ রাখ ঢাক করেননি তিনি। শাহজাদা বলেন, “লকডাউনের সময় ভাইরাল হয়েছিলেন বাদাম কাকু। আমি তাঁকে দেখেই গান গেয়ে চা বিক্রি করা শুরু করেছিলাম। সকলেই চায় জনপ্রিয় হতে এবং সকলের মধ্যে পরিচিত হতে। আমিও ব্যতিক্রম নই। গান গেয়ে চা বিক্রি করি। এতেই অনেক মানুষ আসেন। তাঁরা চা পান করেন। ভালো লাগে। আর কী চাই!”


তাঁর কথায়, “এই গান আমি নিজে গেয়েছিলাম। ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশে তৈরি করেছিলাম।” যদিও এখনও পর্যন্ত নেটপাড়ার নজরে সেভাবে পড়েননি তিনি। স্রোতা যাঁরা তাঁর থেকে চা কিনছিলেন তাঁরাও আহামরি প্রশংসা করছেন না এই গানের। বারাসত কোর্ট চত্বরে তাঁর এক গ্রাহক বলেন, “চা অত্যন্ত ভালো। আদা দিয়ে ও চা করে। তবে আলাদা করে গানের বিষয়ে কিছু বলার নেই।”


গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় ভাইরাল হয়েছেন বহু ব্যক্তি। তালিকায় রয়েছেন ভুবন বাদ্যকর থেকে শুরু করে রাণু মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তাঁরা ক্ষণিকের জনপ্রিয়তা পেয়েও হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এখন দেখার শাহজাদা কি ভাইরাল হবেন?


অন্যদিকে, এই ‘ভাইরাল খিদে’ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে মনোবিদদের একাংশ। এক বিশিষ্ট মনোবিদের কথায়, “আগেও মানুষজনের লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার। কোনও ইচ্ছে কোনওদিন ভুল হতে পারে না। কিন্তু, তার জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন। হঠাৎ কে কবে এসে ভাইরাল করবে, সেই আশায় বসে থাকা একেবারে উচিত নয়।”


Source: Ei Samay 

Monday, February 20, 2023

নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো ট্রেনের ‘মিটিং পয়েন্ট’ হচ্ছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন

 নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো প্রকল্প (ভায়া বিমানবন্দর) তৈরি হচ্ছে। ওই মেট্রো লাইনের একাংশে চলতি বছরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরু করা হবে। তারইমধ্যে সামনে এল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের নয়া ছবি।


কলকাতা মেট্রো এবং লোকাল ট্রেনের ‘মিটিং পয়েন্ট’ দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন হতে চলেছে। কলকাতা মেট্রোর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নোয়াপাড়া-বারাসত (ভায়া বিমানবন্দর) মেট্রোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হতে চলেছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন। যে স্টেশন শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও বটে।


রবিবার মেট্রোর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের একেবারে কাছেই অবস্থিত দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন। তার ফলে বারাসত, বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ এবং বনগাঁর প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। হাওড়া, হুগলি এবং ব্যারাকপুরের মানুষও কম সময় যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। 


মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশা, ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন ৬৬,০০০ যাত্রী দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করবেন। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে যে মেট্রোর নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৭.০৪ কিমি অংশে প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হতে পারে।


কী কী থাকবে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে? রবিবার কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। যাতে যাত্রীরা সহজেই ওঠানামা করতে পারেন। ওই স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট কাউন্টার, বসার জায়গা, ফার্স্ট-এড রুম, শৌচাগার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। 


মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ছ'টি এসক্যালেটর, তিনটি লিফট, সাতটি সিঁড়ি, ১৬ টি অটোমেটেড ফেয়ার কালেকশন (এএফসি) এবং আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে। সেই পরিকাঠামোর মাধ্যমে যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Source: Hindustan Times 

Friday, October 15, 2021

জার্মানির দুর্গাপুজোয় পুরোহিত বারাসতের যুবক

 বারাসতের এক বাড়িতে পুজো (Durga Puja 2021) করার সময় ফেসবুক লাইভ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। জার্মানিতে বসে সেই পুজোর লাইভ দেখেছিলেন প্রবাসী বাঙালিরা। সেই লাইভের জেরে এবার দুর্গাপুজোর জন্য জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুট থেকে ডাক পেলেন বারাসতের গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। ৯ অক্টোবর ফ্র্যাঙ্কফুটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বারাসত শালবাগান সংলগ্ন এলাকার ওই যুবক।


নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই দুর্গাপুজো করেন গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। দশ বছরের বেশি সময় ধরে বারাসত (Barasat) তরুছায়া ক্লাবের পুজো করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বারাসত কলোনি মোড় সংলগ্ন বজরংবলী মন্দিরের পুরোহিত। নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করার জন্য ২০১৬ সালে সেরা পুরোহিত হিসাবে পুরস্কৃত করা হয় গোবিন্দবাবুকে। পুজো করা ছাড়াও জ্যোতিষবিদ্যা, বাস্তুশাস্ত্র এবং নিউমেরোলজি নিয়েও পড়াশোনা করেছেন তিনি। রাজ্য এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিতই পুজো করার জন্য ডাক পান গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়।


বছর দুয়েক আগে একবার মালয়েশিয়া থেকেও দুর্গা পুজো করার ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে সেবার যাওয়া হয়নি। এবার তিনি ডাক পেলেন সুদূর জার্মানি থেকে। সেখানে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্লেনের টিকিট এবং স্পেশ্যাল ভিসাও পেয়ে গিয়েছেন গোবিন্দ। এবিষয়ে গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বারাসতের একজনের বাড়িতে পুজো করার সময় পরিবারের লোকেরা ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। জার্মানিতে বসে সেই লাইভ দেখেন তাঁদের আত্মীয়রা। এরপরই আমার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তাঁরা যোগাযোগ করেন এবং এবারের দুর্গাপুজো ফ্র্যাঙ্কফুটের যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। যেখানে পুজো করতে যাচ্ছি সেখানকার অধিকাংশ মানুষ বাঙালি হলেও এখন তাঁরা জার্মানিরই নাগরিক।”


জানা গিয়েছে, মোট দশ দিনের সফর গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই কুমারটুলি থেকে মাতৃপ্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে জার্মানিতে। দুর্গাপুজোর বেশ কিছু সরঞ্জাম গোবিন্দবাবু নিয়ে যাবেন কলকাতা থেকেই। আগামী প্রজন্মের পুরোহিতদের উদ্যেশে গোবিন্দবাবুর বার্তা, পুজোকে পেশা করতে হলে এই কাজে নিষ্ঠার সঙ্গে মনোনিবেশ করতে হবে। তার মাধ্যমে যদি আরও পুরোহিত বাইরে গিয়ে পুজো করার ডাক পান তারও চেষ্টা তিনি করবেন বলে জানান গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়।

Saturday, May 29, 2021

বারাসতে বিশেষ বাসে অক্সিজেন পাবেন মুমূর্ষু করোনা রোগীরা

 হাসপাতাল বেডের অভাবে অক্সিজেন না পেয়ে, বিনা চিকিত্সায় কোনো রোগীর যেন মৃত্যু না হয়। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে বারাসত হাসপাতালে চালু হল অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাস। মূলত উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার উদ্যোগেই চালু করা হল এই অভিনব উদ্যোগ। এর ফলে এবার বাসে বসেই মুমূর্ষু রোগীরা অক্সিজেন পরিষেবা পাবেন। তার সঙ্গে মিলবে আনুষঙ্গিক অন্যান্য পরিষেবাও।


হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডল জানান, বারাসত হাসপাতালে এমন ১০টি বেড আছে, যেখানে করোনা আক্রান্তরা আপত্কালীন অক্সিজেন কিওর পরিষেবা পেতে পারেন। এর পরেও অনেক করোনা আক্রান্ত মানুষ আসছেন, যাঁদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের হাসপাতালে রাখার মতো কোনো বেড নেই। অথচ সেই সব রোগীকে সেই মুহূর্তে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে এই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বাস সেই সাপোর্ট দেবে রোগীদের। বাসে জায়গা বেশি থাকায় একসঙ্গে অনেক রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া যাবে। 


জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার উদ্যোগেই নেওয়া এই অভিনব উদ্যোমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাস সম্পর্কে জেলাশাসক জানান, সাধারণ বাসের মধ্যে যেমন সিট থাকে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাসেও তেমনই রয়েছে। সিটে বসে প্রত্যেক রোগী যাতে অনায়াসে অক্সিজেন নিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগীকে শুধু অক্সিজেন সাপোর্টই দেওয়া নয়, সঙ্গে আনুষঙ্গিক সমস্ত চিকিৎসাও চালানো যাবে এই বাসের মধ্যে। তারপর হাসপাতালে বেড খালি হলে সেই রোগীকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালের বেডে।


হাসপাতালের সুপার জানান, এই বাসটি ২৪ ঘন্টাই বারাসত হাসপাতালে এমার্জেন্সির সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। কারণ যত ক্রিটিক্যাল রোগী হাসপাতালে আসেন, তাঁদের প্রথমে এমার্জেন্সিতেই নিয়ে আসা হয়। তত্ক্ষণাত্ হাসপাতালে বেড না মিললে সময় নষ্ট না করে যাতে শীঘ্রই অন্তত অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে জরুরি চিকিত্সা পরিষেবা শুরু করা যায়, তার জন্যই এই উদ্যোগ। এই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটার বাস চালু হওয়ায় এলাকাবাসী উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী জেলাশাসক।


Source: Ei Samay

Saturday, May 15, 2021

মানবিক উদ্যোগ, বিনাপয়সায় করোনা আক্রান্তের বাড়ি খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন বারাসতের মা-মেয়ে

 এ যেন এক অদ্ভুত সময়। এমন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছি আমরা, যেখানে আপন হয়ে যাচ্ছে পর আর, পর থেকে আপন হয়ে উঠতে সময় লাগছে এক মুহূর্ত। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ভয় দূরে ঠেলে মানবসেবায় ব্রতী হয়েছেন ওঁরা। সম্পর্কে মা-মেয়ে, শুভ্রা মুখোপাধ্যায় ও ঋদ্ধি ভট্টাচার্য।



বারাসতের (Barasat) নবপল্লির বাসিন্দা পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষিকা শুভ্রাদেবী ও তাঁর মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী ঋদ্ধি মিলে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি দু’বেলা খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে শুনলেই দূরত্ব বাড়িয়ে নিচ্ছেন প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। ফলে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের। এই খবর শোনামাত্রই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শুভ্রাদেবী। মা ও মেয়ে মিলে নিজের বাড়িতে রান্না করে করোনা রোগীদের বাড়িতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।


সাত দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তাঁদের এই উদ্যোগ। এখন কুড়ি জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা। তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাঠিয়ে আবেদন করলেই পরদিন থেকেই বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। মূলত বারাসত পুরসভার এলাকার করোনা আক্রান্তদের পাশে থাকতেই তাঁদের এই উদ্যোগ। মা-মেয়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঋদ্ধির বাবা প্রতীপশংকর ভট্টাচার্য। ঋদ্ধি জানান, হোয়াটসঅ্যাপে কোনও করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত ও তাঁর পরিবার খাবার দেওয়ার কথা বললেই তাঁদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে তা।


খাবারের জন্য কিংবা খাবার পৌঁছতে কোনও টাকা তো লাগবেই না, প্রয়োজনে ওষুধের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন তাঁরা। আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি খাওয়ার পৌঁছে দেওয়ার কাজটা করছেন বন্ধু ও এলাকার কিছু সহৃদয় যুবক। করোনা আক্রান্তদের পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিদিন খাবারের মেনুতে থাকছে ভাত, ডাল, উচ্ছে-আলু ভাজা, শাক, আলু-পটলের তরকারি, আলুপোস্ত, ডিম, মাছ, মাংস। যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের জন্য থাকছে সয়াবিন, পনির। বিনাপয়সায় খাবারের পাশাপাশি ওষুধ কীভাবে তাঁরা বিনামূল্যে দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধি জানালেন, এখনও পর্যন্ত নিজেদের খরচে চালালেও তাঁর আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবীরা তাঁদের সাহায্যের জন্য তৈরি। তাঁদের ধারণা, দুই-একদিনের মধ্যেই সেই সংখ্যাটা প্রায় শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে। কেন এই উদ্যোগ? ঋদ্ধির জবাব, “করোনায় আক্রান্ত হলে অনেকেই অসহায় বোধ করেন। খাবার কীভাবে আসবে, ওষুধ কীভাবে আনবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তাঁদের চিন্তামুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।” যতদিন করোনার এই ভয়াবহতা থাকবে, ততদিন তাঁরা এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান ঋদ্ধি। পাশাপাশি তাঁরা চান, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এগিয়ে আসুন করোনা রোগীদের সাহায্যার্থে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর ৯১৪৩১৫৬৬৭০। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৮৯০২১০৫৮৯৭।


Source: Sanbad Pratidin

Wednesday, May 12, 2021

করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক

 করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮। কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ হয়ে বাগুইআটির হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বারাসত আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক সৌমেন্দ্রনাথ রায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে ওই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, মৃত বিচারক সৌমেন্দ্রনাথ রায় বারাসত আদালতে কর্মরত ছিলেন। আদতে হাওড়ার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে সপরিবারে বারাসতেই থাকতেন তিনি। তাঁর স্ত্রী কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। দম্পতির এক মেয়ে বর্তমানে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরতা।


গত ১৬ এপ্রিল শেষবারের মতো আদালতের কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার দু’‌দিনের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন বিচারক। ১৯ এপ্রিল এয়ারপোর্ট সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় সৌমেন্দ্রনাথবাবুকে। এরপর সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর।

সেখানেই কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি ডায়াবিটিসও ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তার পরই সৌমেন্দ্রবাবুকে তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শেষমেশ তাঁকে ইসিএমও সার্পোটে দিয়ে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোর ৫ টা নাগাদ একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে।

Source: Hindustan Times


Saturday, April 17, 2021

বারাসত জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, প্রচুর কোভিড ভ্যাকসিন নষ্টের আশঙ্কা

 বারাসতে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। দমকলের ১২ টি ইঞ্জিনের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে আগুন। তবে এখনও ধোঁয়ার চাদরে মুড়ে রয়েছে চারিপাশ। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রচুর করোনার ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে আচমকা আগুন লাগে বারাসতের ডেপুটি CMOH-এর অফিসে। মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি প্রথমে টের পাননি কেউ। আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠার পর স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারেন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। আগুনের লেলিহান শিখাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১২ টি ইঞ্জিন। তবে ততক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দমকল। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে এলাকা। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘটনার নেপথ্যে শর্ট সার্কিট।


উল্লেখ্য, বারাসতের ডেপুটি CMOH-এর ওই অফিসেই মজুত থাকত প্রচুর ওষুধ। জানা যাচ্ছে, প্রচুর পরিমাণ কোভিডের ভ্যাকসিন মজুত করা ছিল সেখানে। এই অগ্নিকাণ্ডে সেই টিকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোটের মরশুমে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভ্যাকসিনের চাহিদাও। এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের।


Source: Sanbad Pratidin

Thursday, March 18, 2021

প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের বিক্ষোভে তপ্ত বারাসত

 আজ ফের ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন বারাসত DPSC অফিসের সামনে।২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীদের প্রথম মেরিট লিস্টে যাদের নাম এসেছে মূলত তাঁরাই আজ আন্দোলনে সামিল হন। তাঁদের দাবি, গত ১৮ ফেব্রিয়ারি প্রথম মেরিট লিস্টের অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের প্রথম কাউন্সিলিং শুরু হয়। সেদিন ৫৪৭ জনের কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তারপর স্থগিত হয়ে যায় বলে অভিযোগ।এরপর আদালত থেকেও একটা স্থগিতাদেশ আসে।কিন্ত, গত ১৫ দিন আগে সেই স্থগিতাদেশ উঠে যায় অর্থাৎ গত ৪ মার্চ সেই স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও বাকি থাকে পদপ্রার্থীদের কাউন্সিলিং শুরু করা হয়নি।সেই সংখ্যাটাও প্রায় ৬৫০ জন।


আন্দোলনকারীদের দাবি DI কথা দিয়েছিলেন বাকিদের তালিকা চলে এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া চালু করা হবে। সেইমতো গতকাল তালিকা চলে এসেছে। কিন্তু, তালিকা আসার পরও এখনও পর্যন্ত কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া চালু করা হয়নি। আন্দোলনকারিদের মধ্যে দু'জন DI-এর সঙ্গে দেখা করতে যান। DI-এর বক্তব্য, তিনি এখন ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও নোটিশ পাননি। তাই এই কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া তিনি চালু করতে পারছেন না। আন্দোলনকারীদের দাবি, DI ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চাপ সৃষ্টি করুক,ফোন করে জানার চেষ্টা করুক।

হাইকোর্টে নির্দেশ-সহ তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেন কাউন্সিলিং শুরু করা হচ্ছে না এই দাবি নিয়ে তাঁরা বারাসত DPSC অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। তাঁদের দাবি,আজই কাউন্সিলিং শুরু করে তাঁদের হাতে নিয়োগ পত্র দিতে হবে, না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগোবেন।পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীদে চার-পাঁচ জনকে DPSC অফিসের ভিতর ঢুকিয়ে নিয়ে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের উপর কোনও অত্যাচার করা হচ্ছে কিনা এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রশাসনও তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ।


Source: Ei Samay 

Thursday, February 4, 2021

বারাসতে মেট্রো যাবে মাটির নীচ দিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাটল জমিজট

 নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে বিমানবন্দর – বারাসত মেট্রোর জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে মমতা জানান, নিউ বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত রাস্তার পাশে জমি অধিগ্রহণ অসম্ভব।


মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ ও প্রধানমন্ত্রীর তৎপরতায় কাটল বিমানবন্দর – বারাসত মেট্রোর জমি জট। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিউ বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো যাবে মাটির নীচ দিয়ে। ফলে প্রয়োজন হবে না জমি অধিগ্রহণের। ওই অংশে জমি অধিগ্রহণে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে বিমানবন্দর – বারাসত মেট্রোর জমি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে মমতা জানান, নিউ বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত রাস্তার পাশে জমি অধিগ্রহণ অসম্ভব। তাই ওই অংশে মেট্রো যাক মাটির নীচ দিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে রেল মন্ত্রককে এব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। 


উত্তর শহরতলিকে কলকাতার সঙ্গে জুড়তে বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। বিমানবন্দর থেকে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো আসবে যশোর রোড ধরে। কিন্তু তার পর রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় মাটির ওপর দিয়ে মেট্রো নিয়ে যেতে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাটল সেই জট। 

Saturday, January 30, 2021

মোমবাতির আলোয় মুছে গেল বিভেদ, বারাসতে পথশিশুদের জন্য অভিনব উদ্যোগ

 সাম্য-বৈষম্য নিয়ে গলা ফাটানোর লোকের অভাব নেই। কিন্তু ভরপেট খাবার জোগাবে কে? তাই চায়ের দোকানের বিতর্কে কোনও আগ্রহই পায় না ওরা। বরং দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগার করতেই দিন কেটে যায়। তবে রোজকার এই সংগ্রাম থেকে এক দিনের জন্য হলেও তা থেকে নিস্তার পেল বারাসতের পথশিশুরা। নেহাত ‘কাঙালিভোজন’ নয় বরং অতিথিরূপে তাঁদের আপ্যায়ন করলেন এক চিকিৎসক।


বারাসতের বাসিন্দা চিকিৎসক অরুণ গণের নিজের দুই সন্তান রাতুল এবং শ্রেষ্ঠার জন্মদিন পালন করতে বারাসত সমন্বয় পরিবারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন পথশিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চান। সেই উপলক্ষে সঠিক অর্থেই সমন্বয়ের সাক্ষী থাকল বারাসত। মোমের আলোয় কেক কেটে, নাচ, গান, আবৃত্তি এবং খেলার মাধ্যমে শৈশব ফিরে পেল পথশিশুরা। ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘এই একটা দিন শিশুদের সঙ্গে থাকতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’



Source: AnandaBazar