Wednesday, July 11, 2018

Government is building Packaging house in Barasat to help exporters

To keep vegetables, fruits and foodgrains fresh and export-worthy, the West Bengal Government is building a packaging house of international standards in Barasat.

This infrastructural facility would be specially useful to big farmers who export their products. 

The initiative will also be beneficial for the small farmers as well. Products exported to other countries need to maintain standards strictly.

This information was conveyed by the State Food Processing and Horticulture Minister at a recent programme in Kolkata organised by a chamber of commerce.

He further said at a cost of Rs 5 to 7 crore, another such packaging house is being planned to be constructed for small farmers, those who want to take the help of the latest technology to keep their products fresh.

Source: UNI India

Monday, July 9, 2018

নতুন রূপে সেজে উঠছে বারাসতের হাতিপুকুর

বারাসতের হাতিপুকুর। নামটার সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে আছে। একটু পিছন ফিরে দেখা যাক। বাংলায় তখন রাজ্যপাট সামলাচ্ছেন নবাব সিরাজদৌল্লা। নবাবের মসনদ মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি। মুর্শিদাবাদ থেকে মাঝে মধ্যেই কলকাতায় আসতেন সিরাজ। সঙ্গে থাকত সৈন্য সামন্ত। পথে পড়ত বারাসত। দীর্ঘ যাত্রাপথের ক্লান্তি কাটাতে এই বারাসতেই জিরিয়ে নিতেন নবাব। নবাবের হাতি-ঘোড়াদের জল খাওয়াতে কাছারি ময়দান এবং হেস্টিংস ভিলার কাছে বারাসতেই একটি পুকুর খনন করেন সিরাজদৌল্লা। নবাবের হাতি এই পুকুরের জল খেত বলে পুকুরটির নামই হয়ে যায় হাতিপুকুর। এই হাতিপুকুর থেকে মিনিট পাঁচেক দূরে হেস্টিংস ভিলা। তারও একটা ইতিহাস রয়েছে।



ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের আনন্দ-ফুর্তির জন্য কলকাতার কাছেই বারাসতকে বেছেছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। ব্রিটিশ কর্তাদের থাকা-খাওয়ার জন্য বাড়ি বানায় কোম্পানি। আজও বারাসতে এলে চোখে পড়বে হেস্টিংস ভিলা। সেই হেস্টিংস ভিলার উত্তর পশ্চিমের ফাঁকা মাঠে ঘোড়দৌড় শুরু করে ইংরেজরা। ভারতবর্ষে ব্রিটিশরা প্রথম ঘোড়দৌড় এই বারাসতেই শুরু করে। ইংরেজ আমলের ঘোড়দৌড়ের মাঠের সামান্য অংশই এখন বাতাসতের কাছারি ময়দান। এই হেস্টিংস ভিলা ও হাতিপুকুর ঘিরে তাই ইতিহাসের অন্ত নেই। দুর্ভাগ্যের বর্তমান প্রজন্মের জন্য সেই ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখার কোনও তাগিদ সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে দেরিতে হলেও বর্তমানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে হাতিপুকুরে।


এর আগেও অবশ্য একবার ছোটখাটো সংস্কার হয়েছিল। তা বাম আমলে। কেন ছিল সেই সংস্কার? কাছারি মাঠের খুব কাছেই এই হাতিপুকুর। হাতিপুকুরের মাঝখানে রয়েছে একটি দ্বীপ। বাম আমলে হাতিপুকুরকে ঘিরে একটি পার্ক বানানো হয়। তার পরে অবশ্য ইতিহাস প্রসিদ্ধ পুকুরটির সেভাবে সংস্কার হয়নি। রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত হাতিপুকুর সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন। পুকুর থেকে কচুরিপানা সাফ করে বোটিং চালুর চেষ্টা হয়েছিল। পার্কটির কিছুটা সৌন্দর্যায়নেও বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু ধারাবাহিক নজরদারির অভাবে ফের হতশ্রী চেহারায় ফিরে যায় হাতিপুকুর। বোট দু’টি পড়ে থেকে থেকেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সংস্কারের অভাবে ফের কচুরিপানায় ভরে উঠেছে হাতিপুকুর। পুকুর লাগোয়া পার্কটি জঙ্গলের চেহারা নেয়। ক্রমে ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গাটি সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে নেশাড়ুদের আড্ডার ঠেক। নিত্য মদ, জুয়ার আসর বসতে শুরু করে হাতিপুকুরে।


দীর্ঘ কয়েক দশক এ ভাবেই কাটে। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে, হাতিপুকুরকে ফিরে পাওয়ার আশাও ছেডে় দেন সকলে। পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু হাতিপুকুরের সংস্কারে আটকে না থেকে তৈরি হচ্ছে একটি বিনোদন পার্ক। বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার সাংসদ কোটার টাকা বরাদ্দ করেছেন হাতিপুকুরের সংস্কারে।


২০১১ ক্ষমতায় আসার পর জেলা সফরে বারাসতে এসে মুখ্যমন্ত্রী ইতিহাস প্রসিদ্ধ হাতিপুকুর সংস্কার করে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলেন। এর পরেই হাতিপুকুর সংস্কারে উদ্যোগ নেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার। সাংসদ কোটার তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দেন। ২০১৬ সালে এলাকাটি ৩৪ বছরের লিজ নেয় বারাসত পুরসভা। সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করে পুরসভাও।


হাতিপুকুরের চারধার বাধানো হয়। তবে তার পর কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি ফের সংস্কারের কাজে হাত লাগায় বারাসত পুরসভা। রাজ্য সরকারের গ্রিন সিটি প্রকল্পের আওতায় হাতিপুকুর এবং সংলগ্ন পার্কটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পুকুরের চারিদিকের পাড় বাধানোর কাজ তো আগেই শেষ হয়েছে। পাড়ের চার ধারে সবুজায়নে হাত লাগানো হয়েছে। হাতিপুকুরের মাঝে রয়েছে একটা দ্বীপ। দ্বীপে যাওয়ার জন্য একটি সেতুও আছে। এই দ্বীপে বহু প্রাচীন একটি শিরীষ গাছ ছিল। গাছটি মরে গিয়েছে। তবে প্রাচীন গাছের কান্ডটি উপড়ে ফেলা হচ্ছে না।


কিন্তু লাখ টাকার প্রশ্ন হল জবরদখলকারী হকারদের কী হবে? বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দ্রুত গতিতে সংস্কারের কাজ চলছে। হাতিপুকুরের সামনে কিছু হকার বসে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। তাই তিনি কর্মতীর্থ চালু করেছেন। বারাসতের কর্মতীর্থে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’


পুনর্বাসন জট কেটে গিয়েছে। এখন জোরকদমে চলছে কাজ। আপাতত পুকুরের চারপাশে পায়ে হাঁটার রাস্তা যেমন থাকছে তেমনি ফুল এবং বাহারি গাছ লাগানো হবে। পুকুরকে ঘিরে বসার ব্যবস্থাও থাকবে। শিশুদের মনোরঞ্জনের হাজারো বন্দোবস্ত থাকবে পার্কে। হাতিপুকুর পার্কের ভিতরেই গড়ে তোলা হবে একটি কমিউনিটি হল। থাকবে আর্ট গ্যালারি। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের কাজ দেখা যাবে।


চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এমন একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গা স্রেফ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমানে তা নতুন করে সেজে উঠছে। দ্বীপের মধ্যে বহু প্রাচীন শিরীষ গাছটি কাটা হবে না।’ ইতিহাসকে ধরে রেখেই এই গাছটিকে সুন্দর করে মানুষের আকৃতি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কাশ্মীরের ডাল লেকের শিকারার আদলে হাতিপুকুরেও শিকারা চালানোর ব্যবস্থা থাকছে।

Source: Ei Samay

Sunday, June 10, 2018

Area of Barasat

The city covers an area of 31.6 sq.km spread over 32 wards. As per Census 2011, the total population was 2,83,443 with a population density of 8,216 persons per sq.km. Initially, the Municipality started with 4 wards, which was increased to 18 nos. by including the adjacent rural area. In 1995, the no. of wards were increased to the present figure of 32. Barasat is located on the Ganges-Brahmaputra Delta region. 


The average altitude is 11 metres. No notable river flows by the city. The nearest one is Ganges itself- about 15 km to the west. Barasat is 22 km from Sealdah Station on the Sealdah - Bangaon branch line. It is at one end of the Barasat-Basirhat-Hasnabad branch line of Eastern Railway. Habra Municipality and Madhyamgram Municipality are adjacent to Barasat City. Surrounding Gram-Panchayats are Bamangachhi, Ichhapur-Nilganj, Khilkapur, Kamarpara and Kadambagachhi.

Wednesday, May 16, 2018

History and Evolution of Barasat

During the reign of the mighty Mughal Empire, Ram Sundar Mitra had got the Laminar at Barasat town. Sankar Chakrabrorty, a commander of Pratapaditya, the king of Jessore (At present in Bangladesh), came to Barasat in 1600s and established himself in Barasat town. 

In 1700 AD, Hazrat Ekdil Shah, the Muslim saint, started residing at Kazipara, Barasat. He was known as a social reformer. His tomb, located in Kazipara, is a pilgrimage site for the Muslim community. During the British Raj, Company officials from Calcutta made Barasat a weekend retreat location. They created many garden houses at various places within Barasat town. 

Warren Hastings had made his Villa in the heart of Barasat town. Bankim Chandra Chatterjee, the renowned Author, was the first Indian Deputy Magistrate of this town. Indigo cultivation was a major business in and around the town. The indigo merchants were known for their inhuman treatment towards the farmers. Titumir, a farmer of indigo cultivation, had declared revolution against british Indigo merchants for torturing the farmers and ultimately, he can able to stop the torture against scarification of his life. 

Iswar Chandra Vidyasagar, Pyari Charan Sarkar, Kalikrishna Mitra were known for undertaking several social reformative actions in Barasat, including development of education, along with women education and widow marriages. In the early Nineteenth century, there was a college in Barasat called Barasat Cadet College, for the training of new recruits and cadets who arrived from Europe for the first time to India. The college was shut down in 1811. 

From 1834 to 1861, Barasat was the seat of a joint-magistrate, known as "Barasat District". In 1861, the joint magistracy was abolished, and the Barasat District became a sub-division of the Twenty-four Parganas district. At present it is the district headquarters of North 24 Parganas district. Barasat Municipality was established on 1 April, 1869, but up till 1882, it did not have any independent existence. Like other offices it was controlled by the Magistrate Office. 

After 1882, Barasat Municipality became an autonomous body. Barasat Association, a citizen's organization, had helped Barasat Municipality by donating land for the construction of the Municipal building. Previously, there were 4 no of wards under Barasat Municipality, which were increased to 18 nos. In 1995, after amalgamating with the surrounding Panchayat areas within Barasat Municipality, a total of 30 municipal wards were created. After that before 2010 municipal election that was increased to 32 no of wards and before Last election, the wards increased to 35 no of wards.

Source: Barasat Municipality

Monday, April 9, 2018

ছেলের স্বপ্ন সফলে প্রতিবাদী সৌরভ চৌধুরির মা পঞ্চায়েতে প্রার্থী

 সমাজবিরোধীদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে খুন হয়েছিলেন সৌরভ চৌধুরি। নৃশংস খুনের পর তাঁর দেহ ন’ টুকরো করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বামুনগাছির সেই নিহত প্রতিবাদী যুবকের মা এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। শুক্রবার বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সৌরভের মা মিতা চৌধুরি। গ্রামের পরিবেশকে সুষ্ঠু করে তুলতে তাঁর ছেলে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাকেই বাস্তবায়িত করতে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন, দাবি মিতাদেবীর।



উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এক নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর পার্ট কুলবেড়িয়া গ্রামের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন মিতাদেবী। তবে মিতাদেবী প্রার্থী হওয়ায় এই অঞ্চলের রাজনীতি রোমাঞ্চকর মোড় নিয়েছে। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে সৌরভ খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের আড়াল করার অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার, সেই প্রভাবশালীরই বউদি এই ভোটে সৌরভের মায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তাই লড়াইটা যে শুধু ভোট বাক্সের নয় তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।


বামুনগাছি এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী শ্যামল কর্মকার ও তার দলবলের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন সৌরভ। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই তাঁকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে শ্যামল ও তার সঙ্গীরা। রেললাইনের উপর সৌরভের খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার হয়। বারাসত আদালত অভিযুক্তদের সাতজনকে ফাঁসির সাজা, একজনকে যাবজ্জীবন, তিনজনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাজা দেয়। হাই কোর্টে ফাঁসির সাজা খারিজ করে শ্যামল-সহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। সৌরভ খুনের পর এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তুষার মজুমদারের বিরুদ্ধে শ্যামল ও তার সঙ্গীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সৌরভের পরিবারের লোকেরা। সদস্যের বাড়িও ভাঙচুর করে এলাকার বাসিন্দারা। যদিও তদন্তে তাঁর মদত দেওয়ার কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। যদিও এই ঘটনার কয়েক মাস পর সৌরভের বাবাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তুষারবাবুর বিরুদ্ধে। সেই তুষারবাবুর বউদি এবার মিতাদেবীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাই সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই দুই পরিবার।


এলাকায় বেআইনি মদের কারবারের প্রতিবাদ করতে গিয়েই অকালে প্রাণ হারান বিরাটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ। ২০১৪ সালের ৫  জুলাই বামুনগাছির দত্তপুকুর এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সৌরভকে খুন করে শ্যামল ও তাঁর দলবল। টুকরো টুকরো করে রেললাইনের ধারে ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁর দেহ। ছাত্রের মৃত্যুতে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। দোষীদের গ্রেপ্তারের ৪১ দিনের মাথায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। প্রায় দু’বছর পর ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার রায় ঘোষণা হয়। ১৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১২ জনকেই দোষী সাব্যস্ত  করেছিলেন বারাসত জেলা আদালতের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দামন প্রসাদ বিশ্বাস। বেকসুর খালাস পেয়েছিল রাজসাক্ষী অনুপ তালুকদার। সাজাপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনকে খুন, অপহরণ ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে অভিযুক্তরা। সেই মামলারই রায়ে ৮ অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা মকুব হয়। তবে মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারকে ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Source: Sanbad Pratidin

Thursday, December 14, 2017

বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান পাচ্ছে বারাসত পুরসভা

 বহুতলে আকাশ ঢেকেছে৷ দু’পা হাঁটলেই শপিং মল৷ নার্সিংহোম-স্কুল-কলেজ-সিনেমা হল বাদ নেই কিছুই৷ এত কিছুর মাঝেও বারাসতের শ্মশানে নেই কোনও বৈদ্যুতিক চুল্লি৷ বারাসত পুর এলাকায় মান্ধাতা আমলের কাঠের চুল্লি -ই একমাত্র ভরসা৷ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করাতে হলে যেতে হয় পানিহাটি , বরানগর বা কলকাতার শ্মশানে৷ এ বার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বৈদ্যুতিক চুল্লি পেতে চলছে বারাসত৷ বারাসত পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিপাড়ায় রয়েছে একটি শ্মশান৷ শ্মশানের বয়স ৫০৷


পোশাকি নাম দ্বিজহরি দাস মহাশ্মশান৷ বারাসত পুর এলাকার বড়বরিয়াতেও আর একটি শ্মশান ছিল৷ কিন্ত্ত জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় বড়বরিয়া শ্মশানটি বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভাই৷ ফলে ভরসা বলতে কাজিপাড়ার শ্মশান৷ কিন্ত্ত এখানে একমাত্র কাঠের চুল্লিতেই দাহ করা হয়৷ কাঠের চুল্লিতে দাহ করা এমনিতেই বেশ সময়সাপেক্ষ৷ তার উপর বড়বরিয়ার শ্মশানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজিপাড়ার উপর চাপ বেড়েছে৷ বৈদ্যুতিক চুল্লির বন্দোবস্ত থাকলে অনেক কম সময়ে দাহ করা যেত৷ তা না হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ শ্মশানে অপেক্ষা করতে হয় মৃতের পরিবারকে৷ ফলে বারাসতের অনেকেই শবদেহ নিয়ে চলে যান হয় পানিহাটি -সোদপুর না হয় বরাহনগর অথবা কলকাতার শ্মশানে৷ প্রায় দেড়শো বছর ছুঁতে চলা বারাসত পুরসভার বৈদ্যুতিক চুল্লির অভাব এ বার দূর হচ্ছে৷ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এ বার বৈদ্যুতিক চুল্লি পাচ্ছে বারাসত৷ কাজিপাড়া শ্মশানে তৈরি হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি৷ ইতিমধ্যে ই -টেন্ডার খোলা হয়েছে৷ খুব শিগগির শুরু হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ৷


৪৬ কাঠা জমির উপরে বারাসতের কাজিপাড়া শ্মশান৷ শ্মশানের ধার দিয়ে বয়ে গিয়েছে সুতি নদী৷ শ্মশানের কাঠের চুল্লির পাশে ছ’কাঠা জমিতে বানানো হবে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি৷ এ জন্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৯০ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার৷ পুরসভার এক আধিকারিক জানালেন , শ্মশানের পাশেই আছে গঙ্গা জল প্রকল্পের একটি রিজার্ভার৷ সুতি খালের জল কখনও কমে গেলে রিজার্ভার থেকে গঙ্গার জল ছাড়া হয়৷ অর্থাত্ শবদাহ করতে এসে গঙ্গার জলও পেয়ে যান শ্মশানযাত্রীরা৷ বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন , ‘আমাদের এখানে দুটো শ্মশান ছিল৷ কিন্ত্ত কোনওটাতেই বৈদ্যুতিক চুল্লি ছিল না৷ বারাসত -ব্যারাকপুর রোডের ধারে বড়বরিয়া শ্মশানটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷ কিন্ত্ত সেখানে সৌন্দর্যায়নের কাজ করবে পুরসভা৷ কাজিপাড়া শ্মশানে এ বার তৈরি হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি৷ বরাদ্দ টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছে৷ ’


কাজিপাড়ায় বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির খবরে খুবই খুশি এলাকার লোকজন৷ সকলেই বলছেন , আত্মীয় -পরিজনের মৃতদেহ নিয়ে কলকাতা , বরাহনগর বা পানিহাটি দৌড়নোর দিন এ বার শেষ হতে চলল৷


Source: Ei Samay

Wednesday, October 18, 2017

বারাসতের কালীপুজাতে লোক টানছে মাহিষ্মতী, সূর্যমন্দির

 মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বারাসতে লোকে ইতিমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন৷ আলোকসজ্জায় পুরোপুরি তৈরি বারাসত৷ প্রথম রাউন্ডে ভিড় টানায় বাকিদের বেশ কয়েক কদম পেছনে ফেলে দিয়েছে নবপল্লি সর্বজনীন৷ তাদের থিম বাহুবলী ছবির মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদ৷ কে এন সি রেজিমেন্টের কোণার্কের সূর্যমন্দিরও লড়াইয়ে আছে৷ বারাসত নবপল্লি সর্বজনীন এ বছর ৩৮ -এ পা দিল৷ নবপল্লির মণ্ডপের সামনেই রয়েছে মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের আদলে বিশাল আকারের একটি রথ৷ ছ’টি ঘোড়া সেই রথকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷ মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের আরাধ্য দেবীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হয়েছে কালী প্রতিমা৷ রাজদরবারে প্রতিমার নীচে বসে রয়েছেন রাজমাতা শিবগামী৷ তাঁর এক পাশে রয়েছেন বাহুবলী ও দেবসেনা৷


অন্য পাশে ভল্লাল দেব ও বিজ্জল দেব৷ পায়ের কাছে কাটাপ্পা৷ মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদকে ঘিরে এ বার আগ্রহ তুঙ্গে বারাসতের৷ মঙ্গলবারের ভিড় দেখে আশায় বুক বাঁধছেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা৷ দর্শনার্থীদের আরও ঢল নামবে বলে নিশ্চিত সকলেই৷ পুজো কমিটির সম্পাদক চম্পক দাস বলেন , ‘লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় সামাল দিতে রাখা হয়েছে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী৷ এ ছাড়াও মণ্ডপের ভিতরে -বাইরে থাকবে বারো জন বাউন্সার৷ আট জন পুরুষ , চার জন মহিলা৷ ’ এর বাইরে ক্লাব সদস্যদের হাতে দেওয়া থাকবে ওয়াকিটকি৷ ভিড় সামাল দিতে আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নবপল্লি সর্বজনীন৷ পাশাপাশি ভিড়ে নজরদারি চালাতে রাখা হচ্ছে ড্রোন ক্যামেরা৷ কলোনিমোড় থেকে পুজোমণ্ডপ পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবপল্লি সর্বজনীনের পুজো উদ্বোধন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারও৷ মণ্ডপ যেহেতু রাজপ্রাসাদ , তাই বিশেষ এই অথিতিদের রথে চাপিয়ে আনা হয়৷ নবপল্লি সর্বজনীনের মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের মতোই কে এন সি রেজিমেন্টের কোনার্ক সূর্যমন্দির নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে৷ দেশীয় স্থাপত্য তুলে ধরে এ বার সকলকে চমকে দিতে প্রস্ত্তত উদ্যোক্তারা৷ ওড়িশার বঙ্গোপসাগর উপকূলে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে রয়েছে কোনারকের সূর্যমন্দির৷ রথের আকৃতিই হল মন্দিরের আসল রূপ৷ বারো জোড়া রথের চাকা -সহ সাত জোড়া ঘোড়া , প্রাচীন এই মন্দিরকে যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷


মূল মন্দিরের দেওয়ালে রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি৷ পাশাপাশি রয়েছে নর্তকী -সহ একাধিক মিথুন মূর্তি৷ কোনারকের সেই মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে কে এন সি রেজিমেন্টের পুজোমণ্ডপ৷ শিল্পী বুবু সিংহরায় জানালেন , ‘প্রবেশপথে থাকছে হাতির উপর সিংহের মূর্তি৷ সামনে থাকবে ছ’টি বড় রথের চাকা এবং ঘোড়ার মূর্তি৷’ এখানে মণ্ডপের উচ্চতা ৯০ ফুট৷ চওড়ায় ৭০ ফুট৷ পুজো কমিটির সম্পাদক তথা বারাসত পুরসভার উপপুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন , ‘বরাবর কে এন সি রেজিমেন্টের মণ্ডপ এবং ঠাকুর দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান৷ প্রশাসনের পাশাপাশি লক্ষ মানুষের ভিড় সামলাতে ২৫জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী রাখছি আমরা৷ তা ছাড়া ক্লাবের সদস্যরা তো রয়েইছেন৷ ’ ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে৷ সেলফি তোলার হিড়িকের কথা মাথায় রেখে মণ্ডপের সামনে ‘সেলফি জোন ’ রাখা হয়েছে৷ বারাসতের সাউথ ভাটরাপল্লির পুজোয় সুকুমার রায়ের আবোল তাবোলের প্রেক্ষাপটে মণ্ডপ বানানো হয়েছে৷

Source: Ei Samay

Friday, October 6, 2017

বারাসতে ফের নীল তিমির শিকার স্কুলছাত্র

 বারাসতে আবার নীল তিমির শিকার স্কুলছাত্র। ক্লাস চলাকালীন হাত কাটার চেষ্টা। অঙ্ক স্যারের তত্‍পরতায় প্রাণে বাঁচল ক্লাস নাইনের ছাত্রটি।


বারাসতের আশুতোষপল্লি শতদল শিক্ষায়তন। বৃহস্পতিবার সেকেন্ড পিরিয়ড চলছিল। নাইনের ক্লাস চলাকালিন অঙ্কস্যার দেখেন, ক্লাসে বসেই নিজের কনুইয়ে ব্লেড চালাচ্ছে এক ছাত্র।


কোনও মতে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিসের কাছে। জখম ছাত্র একটু ধাতস্থ হতেই, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। জানা যায়, নেটে ফাঁদ পাতা মৃত্যু উপত্যকায় এভাবেই পা রেখেছিল কিশোর। মারণ খেলায় তরতরিয়ে এগোচ্ছিল সে। ছাত্র নিজেই স্বীকার করেছে, ব্লু হোয়েল খেলার সময় তার মাথা কাজ করত না।


কেন এত বেপরোয়া? কেন নিজেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার এত আকুতি? এখানেও উঠে আসছে ব্লু হোয়েলের পিছনে হ্যাকারের ফাঁদ। মাঝরাতে মোবাইলে আসক্ত ছেলে কী ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাচ্ছে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বাবা-মা।


শুধু বারাসতেই এখনও পর্যন্ত তিমির শিকার ৪। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। ব্লু হোয়েল বিপদ এড়াতে সতর্ক উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিস। মারণ খেলার ভয়ঙ্কর দিক তুলে ধরে অভিভাবকদের লিফলেট বিলি করছে তারা।


Source: Zee24Ghanta

Monday, September 25, 2017

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে মন খারাপ বর্মা কলোনির

কাদামাখা ছোটবড় চলমান পায়ের সারি৷ ছেলে -বুড়ো সকলেরই হাতে মাথায় নানা মাপের পুঁটুলি৷ চোখমুখে আতঙ্ক৷ আদিগন্ত মাঠে আঁকাবাঁকা রেখা৷ টিভিতে প্রকৃতির ক্যানভাস জুড়ে ছিন্নমূল মানুষের এই চলমান ছবি দেখে অনাদির মনে ভেসে উঠছে বছর পঞ্চাশ আগের টুকরো টুকরো কিছু ছবি৷ ইরাবতী নদী৷ মানুষে ঠাসা বড় বড় নৌকো৷ টালমাটাল বঙ্গোপসাগরে দুলতে দুলতে দিন তিনেক পর সুন্দরবনে এসে থামা৷ সেখান থেকে স্টিমারে হাসনাবাদের রিফিউজি ক্যাম্প৷ শরণার্থী শিবির৷



কোনওটা বনগাঁয় , কোনওটা বারাসতে , কোনওটা রানাঘাটে৷ অনাদি রায়৷ ১৯৬৭ তে বছর ১৫ বয়সে পরিবারে সঙ্গে জন্মভূমি বর্মা ছেড়ে উদ্বাস্ত্ত হয়ে ভারতে এসেছিলেন৷ তাঁর কথায় ,‘আমরা শরণার্থী ! আজন্ম রেঙ্গুনে পাকা বাড়িতে থেকে অভ্যস্ত৷ সেই আমাদের থাকতে হবে অপরিচিত মানুষদের সঙ্গে ক্যাম্পে ! খাবারের জন্য থালা হাতে লাইনে দাঁড়াতে হবে ! কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না৷ মনটা ডুকরে কেঁদে উঠছিল৷ ’ টিভিতে রোহিঙ্গাদের ছবি দেখে মনটা ভারী হয়ে উঠছে৷ ফের তাঁর মনে ভেসে আসছে শরণার্থী জীবনের ছবি৷


তিনি বলেন , ‘আস্তে আস্তে রেঙ্গুনের জীবন ফিকে হয়ে গেল৷ এ দেশের সরকার বনগাঁয় জমি -বাড়ি দিল৷ ’ রোহিঙ্গাদের যে জন্য মায়ানমার ছেড়ে উদ্বাস্ত্ত হতে হচ্ছে তার ঠিক উল্টো কারণে অনাদির মতো প্রায় লাখ তিনেকেরও বেশি ভারতীয়কে সেদিনের বর্মা অর্থাত্ আজকের মায়ানমার ছাড়তে হয়েছিল৷ সেদিন বর্মা সরকার সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের বলেছিল , বর্মায় থাকতে হলে বর্মার নাগরিকত্ব নিতে হবে৷ ভারতীয়দের একটা বড় অংশই সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি৷ ইন্দিরা গাঁধী এবং বর্মার জুন্টা সরকারের প্রধান জেনারেল নে উইনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়৷ সেই চুক্তির দরুণ সে দেশে থাকতে অনিচ্ছুক তিন লক্ষেরও বেশি ভারতীয় উদ্বাস্ত্তকে এ দেশে আশ্রয় দেওয়া হয়৷ মূলত পশ্চিমবঙ্গে৷ কারণ ওই ভারতীয় উদ্বাস্ত্তদের অধিকাংশই বাঙালি৷ ইতিহাস বলছে , বর্মায় ভারতীয়দের বসবাস দু’হাজার বছরেরও আগে থেকে৷ শরত্চন্দ্রের গল্পে বারবার উঠে এসেছে বর্মার পটভূমি৷ বর্মা যেন বাংলারই অংশ৷ ব্রিটিশ আমলে সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি দাঁড়ায়৷ বর্মা থেকে ভারতীয়দের ভারতে ফিরে আসাও শুরু হয় ওই ব্রিটিশ আমলেই৷ ১৯৪২ -এ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন জাপানিরা বর্মা পৌঁছয় তখন থেকে৷ ব্রিটিশ সরকারের কর্মচারী হিসেবে ভারতীয়দের ভূমিকা পছন্দ করত না সাধারণ বার্মিজরা৷ জাপানিরা সে দেশে আসার পর তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মূলত সরকারি চাকরি নিয়ে যাওয়া ভারতীয়দের উপর বার্মিজরা অত্যাচার শুরু করে৷ বহু ভারতীয়ের মৃত্যুও হয় বার্মিজদের হাতে৷ সে সময় এক রকম বাধ্য হয়েই বহু ভারতীয় বর্মা ছেড়ে চলে আসে৷


বর্মার নাগরিকত্ব কেন নেননি জানতে চাইলে বারাসতের বর্মা কলোনির বাসিন্দা ৮২ বছরের বৃদ্ধা সাবিত্রী ভট্টচার্য পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন ‘কেন নেবো ?’ একটু থেমে ব্যাখ্যা করে বলেন , ‘লেখাপড়া , কাজকর্ম সব কিছুই তা হলে বার্মিজ ভাষায় করতে হত৷ নিজেদের সংস্কৃতি ছুড়ে ফেলে দিয়ে বর্মার সংস্কৃতিকেই আপন করে নিতে হত৷ তাই , বোধ হয় পরিবারের বড়রা ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ’ ১৯৪৭ -এ রেঙ্গুনে জন্ম রানি মজুমদারের৷ থাকতেন মিনিগাঁওয়ের সাঙ্গন স্ট্রিটে৷ লেখাপড়া , বিয়ে -থা সব কিছুই বর্মাতে৷ ‘এমনকী শাড়ি নয় , পরতাম বার্মিজ লুঙ্গি৷ কিন্ত্ত , যখন দেখলাম আমার বাচ্চা মেয়ে বাংলার বদলে বার্মিজ ভাষায় কথা বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ, তখন থেকেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়৷ এ রপর বর্মার সামরিক সরকার ঘোষণা করল , সে দেশে থাকতে গেলে নাগরিকত্ব নিতে হবে তখন আর উপায় ছিল না৷ তাই৷ ১৯৬৭তে উদ্বাস্ত্ত হয়েই চলে এলাম৷ তার পর , এ দেশের সরকার ‘৬৮ -তে বারাসতের এই বর্মা কলোনিতে জমি আর ঘর দিল৷ ’ ৫০ বছর এ দেশে বাস করলেও রানি কিংবা সাবিত্রীর জন্মভূমি বর্মার প্রতি আজও যে অদম্য টান তা লক্ষ করার মতো৷ দু’জনেই আজও ওঁদের বর্মা -জীবনের ইতিবৃত্ত সযত্নে লালন করে রেখেছেন৷


বারাসতের বর্মা কলোনি থেকে বেরিয়ে আসার সময় কথা হল মুদির দোকানদার শিবশঙ্কর মজুমদারের সঙ্গে৷ মধ্য পঞ্চাশের শিবশঙ্কর বর্মা ছেড়েছেন নিতান্তই ছেলেবেলায়৷৷ চার -পাঁচ বছর বয়সে৷ আজ রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে বিস্মিত শিবশঙ্করের স্বগোতক্তি , ‘কী আশ্চর্য বলুন তো ! আমরা নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম বলে উদ্বাস্ত্ত হয়েছিলাম৷ আর রোহিঙ্গারা সে দেশের নাগরিকত্ব দাবি করছে বলে আজ উদ্বাস্ত্ত !’

Source: Ei Samay