Wednesday, October 18, 2017

বারাসতের কালীপুজাতে লোক টানছে মাহিষ্মতী, সূর্যমন্দির

 মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বারাসতে লোকে ইতিমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন৷ আলোকসজ্জায় পুরোপুরি তৈরি বারাসত৷ প্রথম রাউন্ডে ভিড় টানায় বাকিদের বেশ কয়েক কদম পেছনে ফেলে দিয়েছে নবপল্লি সর্বজনীন৷ তাদের থিম বাহুবলী ছবির মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদ৷ কে এন সি রেজিমেন্টের কোণার্কের সূর্যমন্দিরও লড়াইয়ে আছে৷ বারাসত নবপল্লি সর্বজনীন এ বছর ৩৮ -এ পা দিল৷ নবপল্লির মণ্ডপের সামনেই রয়েছে মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের আদলে বিশাল আকারের একটি রথ৷ ছ’টি ঘোড়া সেই রথকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷ মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের আরাধ্য দেবীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হয়েছে কালী প্রতিমা৷ রাজদরবারে প্রতিমার নীচে বসে রয়েছেন রাজমাতা শিবগামী৷ তাঁর এক পাশে রয়েছেন বাহুবলী ও দেবসেনা৷


অন্য পাশে ভল্লাল দেব ও বিজ্জল দেব৷ পায়ের কাছে কাটাপ্পা৷ মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদকে ঘিরে এ বার আগ্রহ তুঙ্গে বারাসতের৷ মঙ্গলবারের ভিড় দেখে আশায় বুক বাঁধছেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা৷ দর্শনার্থীদের আরও ঢল নামবে বলে নিশ্চিত সকলেই৷ পুজো কমিটির সম্পাদক চম্পক দাস বলেন , ‘লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় সামাল দিতে রাখা হয়েছে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী৷ এ ছাড়াও মণ্ডপের ভিতরে -বাইরে থাকবে বারো জন বাউন্সার৷ আট জন পুরুষ , চার জন মহিলা৷ ’ এর বাইরে ক্লাব সদস্যদের হাতে দেওয়া থাকবে ওয়াকিটকি৷ ভিড় সামাল দিতে আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না নবপল্লি সর্বজনীন৷ পাশাপাশি ভিড়ে নজরদারি চালাতে রাখা হচ্ছে ড্রোন ক্যামেরা৷ কলোনিমোড় থেকে পুজোমণ্ডপ পর্যন্ত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবপল্লি সর্বজনীনের পুজো উদ্বোধন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারও৷ মণ্ডপ যেহেতু রাজপ্রাসাদ , তাই বিশেষ এই অথিতিদের রথে চাপিয়ে আনা হয়৷ নবপল্লি সর্বজনীনের মাহিষ্মতী রাজপ্রাসাদের মতোই কে এন সি রেজিমেন্টের কোনার্ক সূর্যমন্দির নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে৷ দেশীয় স্থাপত্য তুলে ধরে এ বার সকলকে চমকে দিতে প্রস্ত্তত উদ্যোক্তারা৷ ওড়িশার বঙ্গোপসাগর উপকূলে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে রয়েছে কোনারকের সূর্যমন্দির৷ রথের আকৃতিই হল মন্দিরের আসল রূপ৷ বারো জোড়া রথের চাকা -সহ সাত জোড়া ঘোড়া , প্রাচীন এই মন্দিরকে যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷


মূল মন্দিরের দেওয়ালে রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি৷ পাশাপাশি রয়েছে নর্তকী -সহ একাধিক মিথুন মূর্তি৷ কোনারকের সেই মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে কে এন সি রেজিমেন্টের পুজোমণ্ডপ৷ শিল্পী বুবু সিংহরায় জানালেন , ‘প্রবেশপথে থাকছে হাতির উপর সিংহের মূর্তি৷ সামনে থাকবে ছ’টি বড় রথের চাকা এবং ঘোড়ার মূর্তি৷’ এখানে মণ্ডপের উচ্চতা ৯০ ফুট৷ চওড়ায় ৭০ ফুট৷ পুজো কমিটির সম্পাদক তথা বারাসত পুরসভার উপপুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন , ‘বরাবর কে এন সি রেজিমেন্টের মণ্ডপ এবং ঠাকুর দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান৷ প্রশাসনের পাশাপাশি লক্ষ মানুষের ভিড় সামলাতে ২৫জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী রাখছি আমরা৷ তা ছাড়া ক্লাবের সদস্যরা তো রয়েইছেন৷ ’ ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে৷ সেলফি তোলার হিড়িকের কথা মাথায় রেখে মণ্ডপের সামনে ‘সেলফি জোন ’ রাখা হয়েছে৷ বারাসতের সাউথ ভাটরাপল্লির পুজোয় সুকুমার রায়ের আবোল তাবোলের প্রেক্ষাপটে মণ্ডপ বানানো হয়েছে৷

Source: Ei Samay

Friday, October 6, 2017

বারাসতে ফের নীল তিমির শিকার স্কুলছাত্র

 বারাসতে আবার নীল তিমির শিকার স্কুলছাত্র। ক্লাস চলাকালীন হাত কাটার চেষ্টা। অঙ্ক স্যারের তত্‍পরতায় প্রাণে বাঁচল ক্লাস নাইনের ছাত্রটি।


বারাসতের আশুতোষপল্লি শতদল শিক্ষায়তন। বৃহস্পতিবার সেকেন্ড পিরিয়ড চলছিল। নাইনের ক্লাস চলাকালিন অঙ্কস্যার দেখেন, ক্লাসে বসেই নিজের কনুইয়ে ব্লেড চালাচ্ছে এক ছাত্র।


কোনও মতে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিসের কাছে। জখম ছাত্র একটু ধাতস্থ হতেই, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। জানা যায়, নেটে ফাঁদ পাতা মৃত্যু উপত্যকায় এভাবেই পা রেখেছিল কিশোর। মারণ খেলায় তরতরিয়ে এগোচ্ছিল সে। ছাত্র নিজেই স্বীকার করেছে, ব্লু হোয়েল খেলার সময় তার মাথা কাজ করত না।


কেন এত বেপরোয়া? কেন নিজেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার এত আকুতি? এখানেও উঠে আসছে ব্লু হোয়েলের পিছনে হ্যাকারের ফাঁদ। মাঝরাতে মোবাইলে আসক্ত ছেলে কী ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাচ্ছে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বাবা-মা।


শুধু বারাসতেই এখনও পর্যন্ত তিমির শিকার ৪। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। ব্লু হোয়েল বিপদ এড়াতে সতর্ক উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিস। মারণ খেলার ভয়ঙ্কর দিক তুলে ধরে অভিভাবকদের লিফলেট বিলি করছে তারা।


Source: Zee24Ghanta

Monday, September 25, 2017

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে মন খারাপ বর্মা কলোনির

কাদামাখা ছোটবড় চলমান পায়ের সারি৷ ছেলে -বুড়ো সকলেরই হাতে মাথায় নানা মাপের পুঁটুলি৷ চোখমুখে আতঙ্ক৷ আদিগন্ত মাঠে আঁকাবাঁকা রেখা৷ টিভিতে প্রকৃতির ক্যানভাস জুড়ে ছিন্নমূল মানুষের এই চলমান ছবি দেখে অনাদির মনে ভেসে উঠছে বছর পঞ্চাশ আগের টুকরো টুকরো কিছু ছবি৷ ইরাবতী নদী৷ মানুষে ঠাসা বড় বড় নৌকো৷ টালমাটাল বঙ্গোপসাগরে দুলতে দুলতে দিন তিনেক পর সুন্দরবনে এসে থামা৷ সেখান থেকে স্টিমারে হাসনাবাদের রিফিউজি ক্যাম্প৷ শরণার্থী শিবির৷



কোনওটা বনগাঁয় , কোনওটা বারাসতে , কোনওটা রানাঘাটে৷ অনাদি রায়৷ ১৯৬৭ তে বছর ১৫ বয়সে পরিবারে সঙ্গে জন্মভূমি বর্মা ছেড়ে উদ্বাস্ত্ত হয়ে ভারতে এসেছিলেন৷ তাঁর কথায় ,‘আমরা শরণার্থী ! আজন্ম রেঙ্গুনে পাকা বাড়িতে থেকে অভ্যস্ত৷ সেই আমাদের থাকতে হবে অপরিচিত মানুষদের সঙ্গে ক্যাম্পে ! খাবারের জন্য থালা হাতে লাইনে দাঁড়াতে হবে ! কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না৷ মনটা ডুকরে কেঁদে উঠছিল৷ ’ টিভিতে রোহিঙ্গাদের ছবি দেখে মনটা ভারী হয়ে উঠছে৷ ফের তাঁর মনে ভেসে আসছে শরণার্থী জীবনের ছবি৷


তিনি বলেন , ‘আস্তে আস্তে রেঙ্গুনের জীবন ফিকে হয়ে গেল৷ এ দেশের সরকার বনগাঁয় জমি -বাড়ি দিল৷ ’ রোহিঙ্গাদের যে জন্য মায়ানমার ছেড়ে উদ্বাস্ত্ত হতে হচ্ছে তার ঠিক উল্টো কারণে অনাদির মতো প্রায় লাখ তিনেকেরও বেশি ভারতীয়কে সেদিনের বর্মা অর্থাত্ আজকের মায়ানমার ছাড়তে হয়েছিল৷ সেদিন বর্মা সরকার সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের বলেছিল , বর্মায় থাকতে হলে বর্মার নাগরিকত্ব নিতে হবে৷ ভারতীয়দের একটা বড় অংশই সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি৷ ইন্দিরা গাঁধী এবং বর্মার জুন্টা সরকারের প্রধান জেনারেল নে উইনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়৷ সেই চুক্তির দরুণ সে দেশে থাকতে অনিচ্ছুক তিন লক্ষেরও বেশি ভারতীয় উদ্বাস্ত্তকে এ দেশে আশ্রয় দেওয়া হয়৷ মূলত পশ্চিমবঙ্গে৷ কারণ ওই ভারতীয় উদ্বাস্ত্তদের অধিকাংশই বাঙালি৷ ইতিহাস বলছে , বর্মায় ভারতীয়দের বসবাস দু’হাজার বছরেরও আগে থেকে৷ শরত্চন্দ্রের গল্পে বারবার উঠে এসেছে বর্মার পটভূমি৷ বর্মা যেন বাংলারই অংশ৷ ব্রিটিশ আমলে সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি দাঁড়ায়৷ বর্মা থেকে ভারতীয়দের ভারতে ফিরে আসাও শুরু হয় ওই ব্রিটিশ আমলেই৷ ১৯৪২ -এ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন জাপানিরা বর্মা পৌঁছয় তখন থেকে৷ ব্রিটিশ সরকারের কর্মচারী হিসেবে ভারতীয়দের ভূমিকা পছন্দ করত না সাধারণ বার্মিজরা৷ জাপানিরা সে দেশে আসার পর তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মূলত সরকারি চাকরি নিয়ে যাওয়া ভারতীয়দের উপর বার্মিজরা অত্যাচার শুরু করে৷ বহু ভারতীয়ের মৃত্যুও হয় বার্মিজদের হাতে৷ সে সময় এক রকম বাধ্য হয়েই বহু ভারতীয় বর্মা ছেড়ে চলে আসে৷


বর্মার নাগরিকত্ব কেন নেননি জানতে চাইলে বারাসতের বর্মা কলোনির বাসিন্দা ৮২ বছরের বৃদ্ধা সাবিত্রী ভট্টচার্য পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন ‘কেন নেবো ?’ একটু থেমে ব্যাখ্যা করে বলেন , ‘লেখাপড়া , কাজকর্ম সব কিছুই তা হলে বার্মিজ ভাষায় করতে হত৷ নিজেদের সংস্কৃতি ছুড়ে ফেলে দিয়ে বর্মার সংস্কৃতিকেই আপন করে নিতে হত৷ তাই , বোধ হয় পরিবারের বড়রা ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ’ ১৯৪৭ -এ রেঙ্গুনে জন্ম রানি মজুমদারের৷ থাকতেন মিনিগাঁওয়ের সাঙ্গন স্ট্রিটে৷ লেখাপড়া , বিয়ে -থা সব কিছুই বর্মাতে৷ ‘এমনকী শাড়ি নয় , পরতাম বার্মিজ লুঙ্গি৷ কিন্ত্ত , যখন দেখলাম আমার বাচ্চা মেয়ে বাংলার বদলে বার্মিজ ভাষায় কথা বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ, তখন থেকেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়৷ এ রপর বর্মার সামরিক সরকার ঘোষণা করল , সে দেশে থাকতে গেলে নাগরিকত্ব নিতে হবে তখন আর উপায় ছিল না৷ তাই৷ ১৯৬৭তে উদ্বাস্ত্ত হয়েই চলে এলাম৷ তার পর , এ দেশের সরকার ‘৬৮ -তে বারাসতের এই বর্মা কলোনিতে জমি আর ঘর দিল৷ ’ ৫০ বছর এ দেশে বাস করলেও রানি কিংবা সাবিত্রীর জন্মভূমি বর্মার প্রতি আজও যে অদম্য টান তা লক্ষ করার মতো৷ দু’জনেই আজও ওঁদের বর্মা -জীবনের ইতিবৃত্ত সযত্নে লালন করে রেখেছেন৷


বারাসতের বর্মা কলোনি থেকে বেরিয়ে আসার সময় কথা হল মুদির দোকানদার শিবশঙ্কর মজুমদারের সঙ্গে৷ মধ্য পঞ্চাশের শিবশঙ্কর বর্মা ছেড়েছেন নিতান্তই ছেলেবেলায়৷৷ চার -পাঁচ বছর বয়সে৷ আজ রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখে বিস্মিত শিবশঙ্করের স্বগোতক্তি , ‘কী আশ্চর্য বলুন তো ! আমরা নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম বলে উদ্বাস্ত্ত হয়েছিলাম৷ আর রোহিঙ্গারা সে দেশের নাগরিকত্ব দাবি করছে বলে আজ উদ্বাস্ত্ত !’

Source: Ei Samay

Sunday, September 24, 2017

পুজো ম্যানিয়া শুরু; প্রতিমা থেকে মণ্ডপসজ্জায় চমক দিতে প্রস্তুত বারাসত

 পুজো ম্যানিয়া শুরু। প্রতিমা থেকে মণ্ডপসজ্জা, চমক সবক্ষেত্রেই। তাক লাগাতে প্রস্তুত বারাসতের ক্লাবগুলি। তৃতীয়া থেকেই দেবী দর্শনের ধুম।

শিমুলতলা অধিবাসীবৃন্দ

বিরলা কৃষ্ণ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাব ও শিমুলতলা অধিবাসীবৃন্দের মণ্ডপটি। ৩২ বছরে পা দিল পুজো। কাঠের বাটাম, প্লাইউড, রঙ, ফাইবার সহ নানা জিনিস দিয়ে মণ্ডপ তৈরি।  


এগিয়ে চলো সংঘ

চারধামের আদলে তৈরি মণ্ডপ। এবার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করল এই এগিয়ে চলো সংঘের পুজো। প্রতিমা তো বটেই, আলোকসজ্জাও চোখধাঁধানো।


যুবক সংঘ

জাপানের বুদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে যুবক সংঘের মণ্ডপ। ৭৭তম বর্ষে পা দিল এই পুজো। মণ্ডপ তৈরি হয়েছে পাহাড়ি বেগুন, কতবেলের খোসা, রসুন, খেজুর পাতা, আমড়ার বীজ দিয়ে।


শেঠপুকুর সর্বজনীন পুজো সমিতি

শেঠপুকুর সর্বজনীন পুজো সমিতির থিম এবার অসুর নিধন। ৬৩ বছরে পা দিল পুজো। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে কাঠ, বাঁশ, ফাইবার, ফোম।

Source: Zee 24 Ghanta

Saturday, August 12, 2017

হারিয়ে যাওয়া ছেলের সন্ধান বারাসতের কিশলয় হোমে

হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে উদ্ধারের জন্য দিল্লি থেকে বারাসতে এসে নাজেহাল ১ দম্পতি। ৩ বছর আগে নিউদিল্লি স্টেশনে হারিয়ে যায় তাঁদের পুত্র। চলতি বছরের মে মাসে ছেলের সন্ধান পান বারাসতের কিশলয় হোমে। ততক্ষণে ওই হোম থেকে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। পুলিস উদ্ধার করার পর আরও ১ মহিলা তাকে নিজের সন্তান বলে দাবি করে। কোর্টের নির্দেশে আপাতত সেখানেই রয়েছে অর্জুন নামে পরিচিত ওই কিশোর। সে নিজেও ওই মহিলার কাছে তঅ থাকতে চায় বলেই দাবি হোম কর্তৃপক্ষের। তবে বিভ্রান্তি এড়াতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ওই কিশোরেরও DNA পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোম কর্তৃপক্ষ।


Source: Zee 24 Ghanta

Monday, July 10, 2017

তিতুমীর ও বারাসাত বিদ্রোহ

 তিতুমীর, যাঁর প্রকৃত নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী (জন্ম ২৭শে জানুয়ারি, ১৭৮২, ১৪ই মাঘ, ১১৮২ বঙ্গাব্দ, মৃত্যু ১৯শে নভেম্বর, ১৮৩১) ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী। তিনি ওয়াহাবী আন্দোলন এর সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও তার বিখ্যাত বাঁশের কেল্লার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ব্রিটিশ সেনাদের সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় এই বাঁশের কেল্লাতেই তার মৃত্যু হয়।

তিতুমীরের জন্ম হয় চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়া থানার হায়দারপুর গ্রামে (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে)। তার পিতার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মাতার নাম আবিদা রোকেয়া খাতুন। তিতুমীরের প্রাথমিক শিক্ষা হয় তার গ্রামের বিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসাতে লেখাপড়া করেন। ১৮ বছর বয়সে তিতুমীর কোরানে হাফেজ হন এবং হাদিস বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। একই সাথে তিনি বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন।

১৮২২ সালে তিতুমীর মক্কায় হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে যান। তিনি সেখানে স্বাধীনতার অন্যতম পথপ্রদর্শক সৈয়দ আহমেদ শহীদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ও ওয়াহাবী মতবাদে অনুপ্রাণিত হন। সেখান থেকে এসে (১৮২৭) তিতুমীর তার গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের সাথে নিয়ে জমিদার এবং ব্রিটিশ নীলকদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি এবং তার অনুসারীরা তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ধুতির বদলে 'তাহ্‌বান্দ' নামে এক ধরনের বস্ত্র পরিধান শুরু করেন। তিতুমীর হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক মুসলমানদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে আরোপিত 'দাঁড়ির খাজনা' এবং মসজিদের করের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিতুমীর ও তার অনুসারীদের সাথে স্থানীয় জমিদার ও নীলকর সাহেবদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হতে থাকে। আগেই তিতুমীর পালোয়ান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এবং পূর্বে জমিদারের লাঠিয়াল হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তার অনুসারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলেন।

তিতুমীরের অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে এক সময় ৫,০০০ গিয়ে পৌঁছায়। তারা সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ১৮৩১ সালের ২৩শে অক্টোবর বারাসতের কাছে বাদুড়িয়ার ১০ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তারা বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন। বাঁশ এবং কাদা দিয়ে তারা দ্বি-স্তর বিশিষ্ট এই কেল্লা নির্মাণ করেন।

তিতুমীর বর্তমান চব্বিশ পরগনা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্থানীয় জমিদারদের নিজস্ব বাহিনী এবং ব্রিটিশ বাহিনী তিতুমীরের হাতে বেশ কয়েকবার পরাজয় বরণ করে। তন্মধ্যে বারাসতের বিদ্রোহ অন্যতম। উইলিয়াম হান্টার বলেন, ঐ বিদ্রোহে প্রায় ৮৩ হাজার কৃষকসেনা তিতুমীরের পক্ষে যুদ্ধ করেন।

অবশেষে ১৮৩১ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রিটিশ সৈন্যরা তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তিতুমীর স্বাধীনতা ঘোষণা দিলেন, "ভাই সব, একটু পরেই ইংরেজ বাহিনী আমাদের কেল্লা আক্রমণ করবে। লড়াইতে হার-জিত আছেই, এতে আমাদের ভয় পেলে চলবে না। দেশের জন্য শহীদ হওয়ার মর্যদা অনেক। তবে এই লড়াই আমাদের শেষ লড়াই নয়।

 আমাদের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়েই এ দেশের মানুষ একদিন দেশ উদ্ধার করবে । আমরা যে লড়াই শুরু করলাম, এই পথ ধরেই একদিন দেশ স্বাধীন হবে।"[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৪ নভেম্বর কর্নেল হার্ডিং-এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তিতুমীর ও তার অনুসারীদের আক্রমণ করে। তাদের সাধারণ তলোয়ার ও হালকা অস্ত্র নিয়ে তিতুমীর ও তার সৈন্যরা ব্রিটিশ সৈন্যদের আধুনিক অস্ত্রের সামনে দাঁড়াতে পারেন নি। ১৪শে নভেম্বর তিতুমীর ও তার চল্লিশ জন সহচর শহীদ হন। তার বাহিনীর প্রধান মাসুম খাঁ বা গোলাম মাসুমকে ফাঁসি দেওয়া হয়। বাশেঁর কেল্লা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়

Thursday, May 4, 2017

বারাসতের রেজিমেন্ট ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বিধ্বংসী আগুন

 বারাসতের রেজিমেন্ট ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বিধ্বংসী আগুন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত একটি আস্ত বাড়ি। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আনে।

জানা গেছে, আজ বিকেলে বারাসত রেজিমেন্ট ক্লাব সংলগ্ন ওই বাড়িটিতে আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়ির সামনের দোকানঘর ও কোচিং সেন্টারেও। বাড়িটির পিছনে থাকা একটি প্রিন্টিং প্রেসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগুনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। যে বাড়িটিতে আগুন লাগে তার পাশের দুটি ফ্ল্যাটও এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।

Source: Zee 24 Ghanta

Sunday, April 30, 2017

শিগগিরই বারাসতে চালু হয়ে যাবে ই-রিকশা, আশ্বাস পুরপ্রধানের

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। শহরের ওপর দিয়েই গেছে ৩৪ ও ৩৫ নং জাতীয় সড়ক। অথচ, স্টেশন থেকে শহরে ঢুকতে একমাত্র ভরসা ভ্যান গাড়ি।


চাঁদিফাটা গরম হোক বা অঝোর বৃষ্টি। ভ্যানে চড়েই নিত্যযাত্রীদের পৌঁছতে হয় গন্তব্যে। সে হাসপাতাল হোক, আদালত কিংবা সরকারি অফিস। ভ্যানই একমাত্র ভরসা। ভাড়া বেলাগাম, উপরি পাওনা নিরাপত্তার অভাব। আর দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে।


গোদের ওপর বিষফোঁড়া বেআইনি টোটো। যানজটে নাজেহাল বারাসতের মানুষ ভ্যান যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চান। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন পুরপ্রধানও। তাঁর আশ্বাস, ই -রিকশাই একমাত্র ভরসা। শিগগিরি তা চালু হয়ে যাবে।


Source: Zee 24 Ghanta

Sunday, April 16, 2017

নববর্ষে পথের কুকুরদের অবাক জলপান বারাসতে

 অন্য নববর্ষ পালিত হল বারাসতে৷ রাস্তার সারমেয়দের জলপানের সুবিধা করে দিতে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনই এগিয়ে এলেন বারাসতের কয়েকজন পশুপ্রেমী৷ শহরজুড়ে রাস্তার পাশে রাখা হল পাত্র ভর্তি জল৷ প্রচণ্ড দহনেও পথের সারমেয়রা যাতে জলপান করতে পারে , সে জন্যই এই ব্যবস্থা৷ ইংরেজি নববর্ষে পথের সারমেয়দের মাংস -ভাত খাওয়ানোর পরে গরমে নতুন এই উদ্যোগ পশুপতি অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির৷ সকাল হতেই বাংলার নববর্ষ পালন শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ রাজনৈতিক নেতারাও বাদ দেননি এই দিনটিকে৷ গতানুগতিক পন্থা ছেড়ে একটু অন্য রকম ভাবে পথের সারমেয়দের কথা ভাবলেন পশুপ্রেমীরা৷


পোষ্যরা যত্নে থাকলেও রাস্তার কুকুরদের অবহেলাই এখন স্বাভাবিক৷ তাদের জোটে উপেক্ষা৷ এই সময়ে গরমে নানা ধরনের রোগ হয় সারমেয়দের৷ তেষ্টার জলও পায় না অনেক সময়৷ নর্দমার জলই পান করতে হয় তাদের৷ তাই এই উদ্যোগ৷ বারাসতের কলোনি মোড় , তারকেশ্বর মোড় , ছোট বাজার থেকে হাটখোলা , সরোজ পার্ক, বনমালিপুর প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার পাশে সিমেন্টের কয়েকটি পাত্র রাখা থাকছে , তা ভরে দেওয়া হচ্ছে জল দিয়ে৷ এই গরমে রাস্তার কুকুরের পাশাপাশি পাখিরাও এই পাত্র থেকে জল পান করতে পারবে৷ কয়েকটি দোকানের বাইরেও এই ধরনের পাত্র রাখার জন্য দোকানিদের কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা৷ যাতে কেউ ওই সব পাত্রে পিক না ফেলেন , সে দিকে নজর রাখার জন্যও দোকানদারদের কাছে আবেদন করেছেন পশুপ্রেমীরা৷ সংস্থার সম্পাদিক লোপামুদ্রা বসু বলেন , ‘বাংলা নববর্ষ মানেই নতুন জামাকাপড় পরে হালখাতায় যোগ দেওয়া৷


অনেকে অন্য ভাবেও পালন করে থাকেন নতুন বছর৷ আমরা বর্ষবরণ করলাম রাস্তার কুকুরদের কথা মাথায় রেখে৷ ’ তিনি বলেন , প্রতিটা বাড়িতেই যদি একটি করে কুকুর রেখে তাদের নিয়মিত খাবার জল দিয়ে যত্ন করা হয় , তা হলে কিন্ত্ত রাস্তায় কুকুরের ভিড় অনেক কমে যাবে৷ রোদে কুকুরেরও কষ্ট হয় , কেউ কেউ ওদের কথা ভাবেন না বলেও আক্ষেপ পশুপ্রেমীদের৷ অর্পিতা বলেন , ‘আমরা নিয়মিত এসে পাত্রে জল দিয়ে যাব৷ দোকানদারদের কাছেও জল দেওয়ার আবেদনও করেছি৷ আগামী দিনে শহরের সর্বত্র এই জলের পাত্র রাখার ব্যবস্থা করব৷ ’


Source: Ei Samay

Saturday, March 18, 2017

দু’বার শিলান্যাসের পরেও মাতৃসদন হল না বারাসতে

 প্রতিশ্রুতি আছে , দু’বার শিলান্যাসও হয়েছে মাতৃসদনের , যা পরিচালনা করবে পুরসভা৷ প্রথম বার শিলান্যাস হয়েছিল বাম আমলে৷ পরে , বর্তমান তৃণমূল বোর্ডও এক বার শিলান্যাস করেছে , তাও প্রায় তিন বছর আগে৷ কিন্ত্ত দু’বারই কাজ শুরুর পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়৷ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আর তৈরি হয়নি৷ পুরপ্রধান থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর , সকলের এক সুর , ‘কাজ শুরু হয়েছে৷ ’ কিন্ত্ত শিলান্যাসের তিন বছরের মধ্যে কয়েকটা ইট গাঁথা ছাড়া কিছুই হয়নি৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ৷ তাই এখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের দ্রুত চিকিত্সাও শুরু করা সম্ভব৷ তৃণমূল বারাসতে পুরবোর্ড গঠনের পরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দ্বিজহরি নগরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়তে উদ্যোগী হয়৷


২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিলান্যাস করেন৷ ন্যাশনাল হেলথ আরবান মিশনের (এনএইচইউএম ) টাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য এনএইচইউএমে ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে৷ প্রথমে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হলেও পরে কুড়ি আসনের মাতৃসদনের পরিকল্পনা আছে বারাসত পুরসভার৷ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদ্যুত্ ভট্টাচার্য বলেন , ‘প্রথম দিকে এই জমিটা বারাসত পুরসভার অধীনে ছিল না , স্থানীয় কয়েকজন সিপিএম নেতার দখলে ছিল৷ আইনি জটিলতা কাটিয়ে আমরাই বারাসত পুরসভার নামে এই জমি হস্তান্তর করি৷ আগামী দু’মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বারাসতবাসীকে উপহার দিতে পারব৷ ’ সিপিএম নেতা দেবব্রত বিশ্বাস বলেন , ‘জমি হস্তান্তরের পরেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় কাজ এগোয়নি৷ আমার মনে হয় , তৃণমূল এখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি করতে চাইছে না , ওরা অন্য কোথাও জমির খোঁজ করছে৷ ’ বারাসতের পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য ) চম্পক দাস বলেন , ‘এনএইচইউএম প্রকল্পের অর্থে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির পর এটাকে মাতৃসদন হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে৷


এটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য একটি ট্রমা কেয়ার সেন্টারও তৈরি করা হবে৷ ’ পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন , ‘কাজটা শুরু হয়েছে৷ ’ বারাসত পুরসভার উত্তর দিকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের , বিশেষ করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া লোকজনের চিকিত্সার স্বার্থে পুরসভা পরিচালিত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রয়োজন ছিল৷ এ এই সব অঞ্চল থেকে সরকারি ওই হাসপাতালের দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত৷


তা ছাড়া সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপও যথেষ্ট৷ জেলার অধিকাংশ পুরসভার অধীনেই রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদন হাসপাতাল৷ ব্যতিক্রম শুধু বারাসত পুরসভা৷ এই বদনাম ঘোচাতেই বামেদের বোর্ড থাকাকালীন বারাসত পুরসভার বর্তমান ৩ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মাতৃসদন ও চিকিত্সাকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল বামেরা৷ ২০০২ সালের জন্য শিলান্যাস করেছিলেন তত্কালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী৷


Source: Ei Samay