Thursday, October 22, 2020

বারাসতের বাড়ির পুজোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী!‌ ষষ্ঠীতে অপেক্ষা করছে চমক

 বৃহ‌স্পতিবার সকালে বারাসতেও হাজির হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সশরীরে নয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে। বারাসত পুরসভার ৩০ নং ওয়ার্ডের নিশীথ রায়চৌধুরীর বাড়ির পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি। রামকৃষ্ণ মিশন থেকে প্রকাশিত উদ্বোধন পত্রিকার লেখক ও টেলিকম বিভাগের অবসর প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার নিশীথ রায়চৌধুরীর কথায় কর্মজীবনে তিনি অপটিক্যাল ফাইবার বিছিয়ে ছিলেন তিনি। আবার তিনিও রামকৃষ্ণ বিবেকান্দেরও ভক্ত। নরেন্দ্র মোদিও ঠাকুর রামকৃষ্ণ ও বিবেকান্দকে আদর্শ করেছেন। ফলে কর্মজীবনে বিছানো সেই অপট্যিকাল ফাইবারের সাহায্যে আসা ইন্টারনেট দিয়েই তাঁর বাড়ির পুজোর উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।


২৩০ বছর আগে তাঁদের সপ্তম পুরুষ সর্বেশ্বর রায় এই পুজো শুরু করেন। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় দশভূজার পুজো আজও হয়ে আসছে বলে জানান নিশীথ রায়চৌধুরী। বাংলাদেশে বর্তমানে ভাটদি বাবু বাড়ির পুজো হিসাবে সবাই জানে সেই পুজোটিকে। দেশভাগের পর তাঁদের কয়েক জন বংশধর এই দেশে চলে আসেন। ১৯৫৪ সালে অন্যদের মত নিশীথ রায়চৌধুরীও চলে আসেন। পড়াশোনার পর মেধাবী নিশীথ রায়চৌধুরী টেলিকম বিভাগে চাকরি পান। আর্থিক সাচ্ছন্দ ফিরলে ১৯৯২ সাল থেকে বাড়িতে শুরু করেন দেবী দুর্গার পুজো। পারিবারিক পুজোর রীতিনীতি এই দেশে পুজোয় স্বপরিবারে সবাই সামিল হন। সেই অর্থে এই পুজোর কোনও উদ্বোধন কোন বছরই হয়নি। এই বছর করোনা অতিমারির জন্য পুজোর আয়োজন অত্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এবছর আর আসছেন না বলে জানান তিনি। আর তারই মধ্যে চমকে দেওয়ার মত যোগাযোগ এনে দেন পাড়ার কয়েকজন। দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাড়ির পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেম। আক্ষরিক অর্থে এবারই প্রথম তাঁদের বাড়ির পুজো উদ্বোধন হবে। তাও আবার প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে। তাতেই উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে দিল্লী থেকে টেকনিক্যাল টিম চলে এসেছে তাঁদের বাড়িতে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনের ট্রায়াল রানও শুরু হয়ে গেছে। এই বাড়ির কন্যা সুপর্ণা গাঙ্গুলীদের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। কারন ছোট করে আয়োজন করা পুজো দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সারা দেশ দেখবে। তাই চারিদিকে আলপনা দেওয়া ও নান্দনিক ভাবে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত তাঁরা।

সুত্রঃ নিউজ ১৮ বাংলা 


Monday, October 5, 2020

এবছর জৌলুসহীন বারাসাতের কালীপুজোও

 করোনাসুরের দাপটে এবছর যেমন দুর্গা পুজোর যেমন মন মরা, অন্যান্য বছরের মতো জাঁকজমক আরম্ভর নেই ঠিক তেমনই কলকাতার দুর্গাপুজোর মতো এবছরের বারাসাতের কালীপুজোও অন্যান্য বারের মতো জমকালো না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো কমিটিগুলি।


জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বারাসত পুরসভার সঙ্গে বারাসাতের বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলির দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, এবার খোলামেলা মণ্ডপ করা হবে। জমকালো পুজো প্যান্ডেল চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাইয়ের প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সেই টাকায় শহরের দুঃস্থদের সাহায্য ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।


বারাসতের কালীপুজোর সুনাম শুধু এই বাংলা নয়, ওপার বাংলা সহ গোটা দেশে রয়েছে। বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির বাজেট কোটির উপরে। তাই প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুজোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় কালী পূজার প্রস্তুতিও। কিন্তু এবছর পরিস্থিতি ভিন্ন,তাই একদিকে নজরকাড়া পুজো মন্ডপ, আলোকসজ্জা ও দর্শক টানার যে লড়াই, তা থেকে এবার বিরত থাকছে বারাসাতের প্রথম সারির কালীপুজোর কর্মকর্তারা। বারাসত পুরসভার প্রশাসক জানান, এ শহরের তিনটি বড় পুজো কমিটির কর্মকর্তারা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীতে রয়েছেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে আগের মতো পুজো হওয়া সম্ভব নয়। তাই বড় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার আর কেউ আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করবে না।

সুত্রঃ Bengali One India