Tuesday, March 31, 2020

চেম্বারে বসেই রক্তদান বারাসতের ডাক্তারবাবুর

 প্রতি বছর গরমকালে রক্তের আকাল দেখা যায়। এ বছর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লকডাউন। ফলে রাজ্যের হাসপাতাল থেকে ব্লাড ব্যাঙ্ক সর্বত্রই রক্তের সঙ্কট। এই সঙ্কট মোকাবিলায় নিজের সীমিত সামর্থ্যে রক্তের জোগান বাড়াতে এগিয়ে এলেন বারাসতের এক চিকিৎসক। প্রতি রবিবার নিজের চেম্বারকে রক্তদান শিবির বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ভিড় এড়াতে এক দিনে মাত্র দশ জনই রক্ত দেবেন বলে ঠিক হয়েছে।



ধীমান চট্টোপাধ্যায়। বারাসতের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। চেম্বার বারাসতের কলোনি মোড়ের কাছে। লকডাউনের বাজারে এখন চেম্বারে রোগীর সংখ্যা কমেছে। অনেকে ফোনেই ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছেন। তবু প্রতিদিন নিয়ম করে চেম্বার খোলেন ধীমান। জানেন কী ভাবে রক্তের সঙ্কট ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকজন যা নিয়ে সম্যক ওয়াকিবহাল। এই পরিস্থিতিতে রক্তের সঙ্কট কাটাতে ধীমান নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। রবিবার করে নিজের চেম্বারকে রক্তদান শিবির বানাচ্ছেন তিনি। প্রতি রবিবার সর্বোচ্চ দশ জনের রক্ত নেওয়া হবে। এক একজন করে চেম্বারে ঢুকবেন। সংগৃহিত রক্ত তুলে দেওয়া হবে বারাসত হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। ধীমান বললেন, ‘রক্তের যা আকাল, তাতে এই উদ্যোগ হয়তো কিছুই নয়। তবু বিন্দুতেই সিন্ধু হয়।’ ধীমান ডাক্তারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বারাসত কলোনি মোড় এলাকার বাসিন্দারা।


তবে শুধু রক্তদান শিবির করেই ক্ষান্ত হননি ধীমান। প্রতি সন্ধ্যায় বারাসত স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও আশপাশের পথশিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন রুটি, তরকারি। এ ভাবে রোজ প্রায় ৫০ জনের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করছেন তিনি। ধীমান চট্টোপাধ্যায়কে দেখে এগিয়ে এসেছেন রেডিয়োলজিস্ট বিবর্তন সাহা। বাগুইআটিতে থাকলেও তাঁর কর্মস্থল বারাসত। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মৌসুমি ৫০ কেজি চাল এবং সব্জি বিলি করে দেন বারাসতের দুঃস্থদের মধ্যে।

Source: Ei Samay


Thursday, March 26, 2020

বারাসতের প্রবীণদের জন্য ফুড ডেলিভারি জোম্যাটো-র

 লকডাউন পরিস্থিতিতে একাকী প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধার্থে মঙ্গলবারই বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছিল বারাসত জেলা পুলিশ। এ বার সেই হেল্পলাইন নম্বর দেখে প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থা। বুধবার দুপুরে ওই সংস্থার কয়েকজন কর্মী বারাসত থানায় এসে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কী ভাবে সংস্থার কর্মীরা প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবেন, এই কাজে কতজন কর্মী নিযুক্ত থাকবেন তার বিস্তারিত তথ্যও তাঁরা তুলে ধরেন পুলিশের কাছে। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে বারাসত থানার পুলিশ।

লকডাউন চলাকালীন বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী একাকী প্রবীণ নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে (৬২৯২২১২৩৭৮)। এই নম্বরে প্রবীণ নাগরিকরা ফোন করে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসাজনিত কিংবা অন্য যে কোনও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রবীণের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সংস্থার কর্মী অভিজিৎ সরকার বলেন, 'পুলিশের দেওয়া হেল্পলাইনে যে কোনও খাবার অর্ডার করলেই জোম্যাটোর কর্মীরা পৌঁছে যাবেন প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে। তুলে দেওয়া হবে অর্ডার অনুযায়ী খাবার। এ জন্য ২০-২২ জনের একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে।'

Source: Ei Samay




Thursday, March 19, 2020

বিদেশ থেকে ফেরার কথা নিজেই জানিয়েছেন বারাসতের এক সচেতন নাগরিক

 বিদেশ থেকে ফিরে তথ্য লুকিয়ে যাওয়া নয়, বরং পুলিশকে ফোন করে নিজের পরিস্থিতি জানালেন এক সচেতন নাগরিক। পুলিশ এবং বারাসত হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ওই ব্যক্তি ১৪ মার্চ জার্মানি থেকে ফিরেছেন। তিনি বারাসতের শিশিরকুঞ্জের বাসিন্দা। ফিরে আসার পর থেকে তার কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সরকারের সচেতনতা প্রচার শুনে তিনি বুঝতে পারেন বিদেশ থেকে ফেরার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো উচিত।


বুধবার সকালে বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে ফোন আসে ওই ব্যক্তির। তিনি পুলিশকে জানান দিন, বিদেশ থেকে ফিরে বুঝতে পারছেন না কী করবেন। তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এসপি অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। ফোনেই ওই ব্যক্তির বক্তব্য শোনেন ও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে খবর দেন। দ্রুত ওই ব্যক্তির কাছে চলে যায় বারাসত হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল। তাকে পরীক্ষা করে আপাতত কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে ঘরের মধ্যে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। এসপি অভিজিৎ বলেন, 'এই ব্যক্তি যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। তাঁর থেকে অন্যদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।'

Source: Ei Samay

Wednesday, March 4, 2020

বাহারি ছাঁট, বিচিত্র রং ছাত্রদের চুলে! উচ্চমাধ্যমিকের অ‌্যাডমিট দিল না স্কুল কর্তৃপক্ষ

 বাহারি চুল ছেঁটে এলে মিলবে না অ্যাডমিট কার্ড। এমনই ফরমান জারি করলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বারাসত মহাত্মা গান্ধী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়ে। পরে তা স্কুলের শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


কারও ঝাঁকড়া চুলে লাল-হলুদ রং করা কারও আবার একদিক ছেঁটে পরিষ্কার। এরা প্রত্যেকেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ছাত্রদের এমন এমন বাহারি চুলের স্কুলের মান-মর্যাদা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের। স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, স্কুলের সম্মানের কথা মাথায় রেখে ছাত্রদের চুল কেটে আসার কথা বলা হয়েছিল। তবে, অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না এমন কথা বলা হয়নি।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের মহাত্মা গান্ধী উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মঙ্গলবার অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো এদিন দুপুরে ছাত্ররা অ্যাডমিট কার্ড নিতে আসে। ছাত্রদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের বাহারি চুল দেখে প্রধান শিক্ষক অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না বলে জানান। তাদেরকে চুল কেটে এসে অ্যাডমিট কার্ড নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ তৈরি হয়।


শেষ পর্যন্ত স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুলের ৮০ শতাংশ ছাত্রকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক শুভেন্দুবিকাশ মাইতি জানিয়েছেন, আমাদের স্কুলের সুনাম রয়েছে। মাথায় বাহারি চুল নিয়ে অন্য স্কুলে পরীক্ষা দিতে গেলে ছাত্রদের পাশাপাশি স্কুলের সুনামও নষ্ট হতে পারে। তাই চুল কেটে এলে অ্যাডমিট কার্ড দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তা নাহলে বুধবার সকালে এসেও অ্যাডমিট কার্ড নিতে পারে। অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে না একথা বলা হয়নি।

Source: Ei Samay