সারা বিশ্বব্যাপী এই মুহূর্তে সবথেকে বড় আলোচ্য বিষয় হৃদরোগ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আট থেকে আশি সবাই এই রোগের হাত থেকে মুক্তির উপায় খোঁজেন দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে। বিশ্বজুড়ে চলছে গবেষণা, আবিষ্কার সাথে সাথে বাড়ছে সুফলকামী উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবাও।
উত্তর চব্বিশ পরগনায় বারাসাতের নারায়ণ মিউনিসিপাল হাসপাতাল রাজ্যে প্রথম নজির সৃষ্টি করল ইনভাসিব হার্ট ডিজিজ এর রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে। এই সফল চিকিৎসার জন্য তৈরী হয়েছিল সেরা চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড। এই চিকিৎসক দলে ছিলেন নারায়ণ হাসপাতালের মুখ্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অংশুমান ধোল, ডা. কৌশিক পাল সহ বহু বিশিষ্ট চিকিৎসকমন্ডলী।
কয়েকদিন আগে মিত্তল ভাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করার আশায় আসেন হাওড়ার বাসিন্দা পঙ্কজ হাজরা ( ৪২) নামে এক রোগী। নারায়ণ মিউনিসিপাল হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী বারাসাত ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ৩৬৫ দিনই এই সুবিধা দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে পঙ্কজবাবু সেখানে আসায় চিকিৎসকগণ তাঁর চিকিৎসাসেবার দায় নেন। দূরত্ব ও অল্প সময়ের ব্যবধানে উন্নত পরিষেবা দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সঠিক সময়ে সঠিক নির্ণয় ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুললেন পঙ্কজবাবুকে। চিকিৎসার নয়া নজির সৃষ্টি করলেন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার গর্ব বারাসাতের এই হাসপাতাল।
কলকাতার উপকণ্ঠে বারাসাতে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী ও বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেল্থ গ্রুপ যা দেশের মধ্যে হৃদরোগ পরিষেবায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী । মোট ২৪ টি হাসপাতাল সহ ৭ টি হৃদরোগ চিকিৎসাকেন্দ্র নিয়ে বর্তমান ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে এই প্রতিষ্ঠান
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বারাসাত নারায়ণ মিউনিসিপাল হাসপাতালের ফেসিলিটি ডিরেক্টর ডা. রাজীব পাঠক জানান , সারা বিশ্বে অস্বাভাবিক হৃদরোগ বৃদ্ধি , সংক্রমণ , ক্যানসারের বাড়বাড়ন্তের কারণে মারা যাচ্ছেন বহু বহু মানুষ যা রীতিমত আতঙ্কের বিষয়। তাৎক্ষণিক নির্ণয় ও চিকিৎসার উন্নত পরিষেবা না থাকলে বিপদে পড়বেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে বারাসাত নারায়ণ হাসপাতালের এহেন কীর্তি ও চিকিৎসকদের তৎপরতায় আপৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন ও ‘ স্বর্ণমুহূর্ত ‘ বলে চিহ্নিত করেন। একটি প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে তাঁরা বদ্ধপরিকর সে বিষয়েও আলোকপাত করেন।
এক ছাদের নিচে বহু সুবিধাযুক্ত এই হাসপাতাল জেলার মানচিত্রে যে নতুন আলো নিয়ে এলো সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ রাখে না॥
Source: HnExpress