Sunday, April 30, 2017

শিগগিরই বারাসতে চালু হয়ে যাবে ই-রিকশা, আশ্বাস পুরপ্রধানের

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। শহরের ওপর দিয়েই গেছে ৩৪ ও ৩৫ নং জাতীয় সড়ক। অথচ, স্টেশন থেকে শহরে ঢুকতে একমাত্র ভরসা ভ্যান গাড়ি।


চাঁদিফাটা গরম হোক বা অঝোর বৃষ্টি। ভ্যানে চড়েই নিত্যযাত্রীদের পৌঁছতে হয় গন্তব্যে। সে হাসপাতাল হোক, আদালত কিংবা সরকারি অফিস। ভ্যানই একমাত্র ভরসা। ভাড়া বেলাগাম, উপরি পাওনা নিরাপত্তার অভাব। আর দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে।


গোদের ওপর বিষফোঁড়া বেআইনি টোটো। যানজটে নাজেহাল বারাসতের মানুষ ভ্যান যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চান। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন পুরপ্রধানও। তাঁর আশ্বাস, ই -রিকশাই একমাত্র ভরসা। শিগগিরি তা চালু হয়ে যাবে।


Source: Zee 24 Ghanta

Sunday, April 16, 2017

নববর্ষে পথের কুকুরদের অবাক জলপান বারাসতে

 অন্য নববর্ষ পালিত হল বারাসতে৷ রাস্তার সারমেয়দের জলপানের সুবিধা করে দিতে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনই এগিয়ে এলেন বারাসতের কয়েকজন পশুপ্রেমী৷ শহরজুড়ে রাস্তার পাশে রাখা হল পাত্র ভর্তি জল৷ প্রচণ্ড দহনেও পথের সারমেয়রা যাতে জলপান করতে পারে , সে জন্যই এই ব্যবস্থা৷ ইংরেজি নববর্ষে পথের সারমেয়দের মাংস -ভাত খাওয়ানোর পরে গরমে নতুন এই উদ্যোগ পশুপতি অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির৷ সকাল হতেই বাংলার নববর্ষ পালন শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ রাজনৈতিক নেতারাও বাদ দেননি এই দিনটিকে৷ গতানুগতিক পন্থা ছেড়ে একটু অন্য রকম ভাবে পথের সারমেয়দের কথা ভাবলেন পশুপ্রেমীরা৷


পোষ্যরা যত্নে থাকলেও রাস্তার কুকুরদের অবহেলাই এখন স্বাভাবিক৷ তাদের জোটে উপেক্ষা৷ এই সময়ে গরমে নানা ধরনের রোগ হয় সারমেয়দের৷ তেষ্টার জলও পায় না অনেক সময়৷ নর্দমার জলই পান করতে হয় তাদের৷ তাই এই উদ্যোগ৷ বারাসতের কলোনি মোড় , তারকেশ্বর মোড় , ছোট বাজার থেকে হাটখোলা , সরোজ পার্ক, বনমালিপুর প্রভৃতি এলাকায় রাস্তার পাশে সিমেন্টের কয়েকটি পাত্র রাখা থাকছে , তা ভরে দেওয়া হচ্ছে জল দিয়ে৷ এই গরমে রাস্তার কুকুরের পাশাপাশি পাখিরাও এই পাত্র থেকে জল পান করতে পারবে৷ কয়েকটি দোকানের বাইরেও এই ধরনের পাত্র রাখার জন্য দোকানিদের কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা৷ যাতে কেউ ওই সব পাত্রে পিক না ফেলেন , সে দিকে নজর রাখার জন্যও দোকানদারদের কাছে আবেদন করেছেন পশুপ্রেমীরা৷ সংস্থার সম্পাদিক লোপামুদ্রা বসু বলেন , ‘বাংলা নববর্ষ মানেই নতুন জামাকাপড় পরে হালখাতায় যোগ দেওয়া৷


অনেকে অন্য ভাবেও পালন করে থাকেন নতুন বছর৷ আমরা বর্ষবরণ করলাম রাস্তার কুকুরদের কথা মাথায় রেখে৷ ’ তিনি বলেন , প্রতিটা বাড়িতেই যদি একটি করে কুকুর রেখে তাদের নিয়মিত খাবার জল দিয়ে যত্ন করা হয় , তা হলে কিন্ত্ত রাস্তায় কুকুরের ভিড় অনেক কমে যাবে৷ রোদে কুকুরেরও কষ্ট হয় , কেউ কেউ ওদের কথা ভাবেন না বলেও আক্ষেপ পশুপ্রেমীদের৷ অর্পিতা বলেন , ‘আমরা নিয়মিত এসে পাত্রে জল দিয়ে যাব৷ দোকানদারদের কাছেও জল দেওয়ার আবেদনও করেছি৷ আগামী দিনে শহরের সর্বত্র এই জলের পাত্র রাখার ব্যবস্থা করব৷ ’


Source: Ei Samay