Wednesday, August 24, 2016

রণক্ষেত্র বারাসত স্টেডিয়াম, রেফারিকে ফেলে মারলেন সেনা ফুটবলাররা

 লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে হামেশাই এমন ঘটনা ঘটে৷ ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা, পেরু, বলিভিয়ার মতো দেশগুলিতে স্থানীয় ক্লাব ফুটবলে খেলার মাঠে হাতাহাতি-মারামারি গড়পরতা বিষয়৷ দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে মারামারি গড়ায় ড্রেসিং রুম পর্যন্ত৷ তাতে কর্তাব্যক্তিরাও যোগ দেন৷ হিংসা ছড়ায় গ্যালারির দর্শকদের মধ্যেও৷ পরে বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি, দাঙ্গার আখার নেয় তা৷ একবার তো রেফারিই নিজেই পকেট থেকে রিভলবার বের করে ফুটবলারকে গুলি মেরে দিয়েছিল৷ আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে ফুটবল ম্যাচে হিংসার বলি হয়ে ফি বছর মারা যান বহু মানুষ৷


কিন্তু এসবই তো বহির্বিশ্বের ঘটনা৷ তা নিয়ে শহরবাসীর মাথাব্যাথা কী? তবে মঙ্গলবার কলকাতা ফুটবল লিগের একটি ফুটবলে ম্যাচে যা হল তা এই দেশগুলির ঘটনারই সমান৷


এরিয়ান বনাম আর্মি একাদশের ম্যাচ ঘিরে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গন৷ তাও গ্যালারিতে নয়, একেবারে মাঠের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় মারামারি-হাতাহাতি৷ চলতি কেন, কলকাতা লিগে এমন দৃশ্য এর আগে চোখে পড়েনি৷


সেনা দলের তরফে অভিযোগ, প্রথম থেকেই এরিয়ানকে টেনে খেলাচ্ছিলেন কোচ৷ এরিয়ানের ডাগআউট ও সমর্থকদের দিক থেকে সেনাদের তাক করে লাগাতার গালিগালাজ ভেসে আসছিল৷ রেফারিকে সে কথা জানালেও তিনি তা কানে নেননি৷ ঘটনা চরম পর্যায়ে পৌঁছয় ম্যাচের শেষ দিকে৷ তখন খেলার বয়স ৮৯ মিনিট৷ কোনও পক্ষই তখনও গোলের মুখ খুলতে পারেনি৷


এরিয়ানের পরিবর্ত নামার জন্য সময় নষ্ট হচ্ছিল৷ তখনই রেফারি অজিত দত্তর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সেনা দলের কোচ বিবি কার্কি ও কোচিং স্টাফরা৷ কার্কির অভিযোগ, রেফারির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোচকে ধাক্কা মারেন৷ রেগে গিয়ে সেনা দলের ফুটবলাররা রেফারিকে মারতে শুরু করেন৷ সেনাদের ক্ষোভের হাত থেকে রক্ষা পাননি চতুর্থ রেফারি উত্তম সরকারও৷ এমনকী রেফারিকে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়৷ রেফারির গায়ে হাত তোলার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন কোচ৷ গোলশূন্যভাবে শেষ হয় ম্যাচ৷


গোটা ঘটনা ইতিমধ্যেই আইএফএ-এর কানে পৌঁছেছে৷ আইএফএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, রেফারির রিপোর্ট ও ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷


Source: Sanbad Pratidin