বুধবার ২০তম রাজ্য যাত্রা উত্সবের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন বিকেলে বারাসত কাছারি ময়দানে ২০টি ঘণ্টা বাজিয়ে তিনি যাত্রা উত্সবের উদ্বোধন করেন৷ যাত্রার সঙ্গে যুক্ত মোট ১৬ জন শিল্পী ও কলাকুশলীকে সংবর্ধনাও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ এই সংবর্ধনা চলাকালীন এক মহিলা পুলিশের বেষ্টনী অতিক্রম করে নিরাপত্তা বলয়ে ঢুকে পড়ার কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ একটি খাম হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের অভিযোগ জমা দেওয়ার দাবিতে ওই মহিলা চিত্কার জুড়ে দেন৷ খুব দ্রুত মহিলা পুলিশ তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায়৷ পুলিশ সূত্রে ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করা হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কাছে যাত্রা শিল্পীদের আরও বেশি করে উত্সাহিত করার আবেদন জানান৷ তাঁর কথায় , ‘যাত্রার সঙ্গে মাটির সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে৷ ’
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক , উপেন বিশ্বাস -সহ রাজ্য মন্ত্রিসভায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রতিনিধিত্বকারী সব মন্ত্রী , বিধায়ক ও প্রায় সব সাংসদ উপস্থিত ছিলেন৷ তবে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের পাশাপাশি বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত্ চক্রবর্তীর অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়৷ সাম্প্রতিক বিতর্কের কারণেই চিরঞ্জিত্ গরহাজির কি না সেই প্রশ্ন উঠে যায়৷ যদিও বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান , অসুস্থতার কারণেই এ দিনের অনুষ্ঠানে চিরঞ্জিত্ আসতে পারেননি৷ ’ এ দিন পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা আকাদেমির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস জানান , আজ , বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বারাসতে যাত্রা হবে৷ তার পরের দিন থেকে ৩২ দিন ব্যাপী যাত্রা চলবে উত্তর কলকাতার বাগবাজারে ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে৷ অরূপবাবুর দাবি , তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে দুঃস্থ যাত্রা শিল্পীদের জন্য অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷ শিল্পীরা তার সুফলও পাচ্ছেন৷ তাঁদের সরকার যাত্রা শিল্পকে আরও ছড়িয়ে দিতে চায়৷ পরবর্তীকালে জেলায় জেলায় যাত্রা উত্সবের আয়োজন করার কথা ভাবা হচ্ছে৷