যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্য (১৫৬১-১৬১১) ১৬০০ সালে যশোর থেকে কলকাতা পর্যন্ত যশোর রোড তৈরি করেন।
• মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে আরও একজন বারাসাতবাসী যুবক ‘রামসুন্দর মিত্র’ বঙ্গদেশের জমিজারিপের কাজে আকবরের ভুমিরাজস্ব মন্ত্রী টোডরমলকে প্রশংসনীয় সহায়তা করেন। তিনি ‘রায়-রায়ন’ উপাধি ও গয়াজেলার জায়গীরদারি লাভ করেন।• ষোড়শ শতাব্দীতে পীর হজরত একদিল শাহ্ বারাসাতের কাজিপাড়ায় বসবাস করতে শুরু করেন। গৌড়ের হবশী সুলতানি রাজত্বের শেষ সময় ১৭০০ সালের দিকে আথবা উনি হোসেন শাহের রাজত্বকালের প্রথমদিকে বারাসাতে আসেন বলে অনেকে মনেকরেন। কথিত আছে উনি অনেক অলৌকিক শক্তির পরিচয় দেন। এই দরবেশ ইসলাম ধর্ম প্রচারার্থে আসেছিলের বলে অনুমান করা হয়ে থাকে। এখানে প্রাচীন মসজিদ আছে এবং তাঁর স্মৃতিসন্মানে বাৎসরিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওনার নিজের জমিতে ১৮৮৫ সালে “কাজিপাড়া একদিল শাহ্ হাই স্কুল” প্রতিষ্ঠা হয়। কাজিপাড়ায় একদিল শাহ্ -এর সমাধি দেখতে পাওয়া যায়।
• নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৭ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে বারাসাত হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করন। মুর্শিদাবাদের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নাম অনুসারে ওঁই রাস্তার নাম দেন কৃষ্ণনগর রোড।
• হিল মন্তব্যকরেছেন- ১৭৫৬ সালে সিরাজ-উদ-দৌলা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে অভিযান করে ভারতে আসেন।
• ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের কাছে বারাসাত ছিল সপ্তাহ শেষের প্রমোদ নগরী।